খুলনার ব্যাটিং বিপর্যয়

ঢাকার বিপরীত চিত্র দিয়ে শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম পর্ব। ঢাকায় প্রথম দিন প্রথম ম্যাচ ছিল লো স্কোরিং, দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল হাই স্কোরিং। চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচ হয়েছে হাই স্কোরিং, দ্বিতীয় ম্যাচ লোস্কোরিং। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খুলনা টাইগার্স ১৯.৪ ওভারে ১৩০ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। শারজিল খানের পরিবর্তে হাবিবুর রহমান সোহানকে পাঠানো হয় তামিম ইকবালের সঙ্গে। কিন্তু দুজনেই ব্যর্থ হন। তামিম ১ ও হাবিবুর ৪ রান করে ফিরে যাওয়ার পর ওপেনিং থেকে ওয়ান ডাউনে নেমে যাওয়া শারজিল খানও ফিরে যান ১২ রান করে। হাবিবুরকে রকিবুল ও তামিম-শারজিলকে আজমতউল্লাহ ওমরজাই আউট করেন। দলের রান তখন ৪.৩ ওভারে মাত্র ১৮।
দলের এরকম বিপর্যয়ে হাল ধরেন এই মৌসুমে প্রথম সেঞ্চুরি করা আজম খান ও ইয়াসির আলী। তারা ৫৮ রান যোগ করেন ৮ ওভারে। ২২ বলে ২ ছক্কায় ২৫ রান করে ইয়াসির আলী রবিউলের শিকার হওয়ার পর আবার ধস নামে খুলনার ইনিংসে। ৩ উইকেটে ৭৬ রান থেকে দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৯১ রান। রবিউল ও রকিবুল ২টি করে উইকেট নেন। এর মাঝে ছিল আজম খানের উইকেটও। তিনি ২৩ বলে ১ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে ৩৪ রান করে রকিবুলের বলে আজমতউল্লাহর হাতে ধরা পড়েন।
দলের এমন গুরুতর বিপদে হাল ধরেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও নাহিদুল। তারা অষ্টম উইকেট জুটিতে ৩.১ ওভারে ৩২ রান যোগ করেন। নাহিদুল ৮ বলে ১৫ রান করে হাসান মাহমুদের বলে আউট হন। সাইফউদ্দিনকে ২২ রানে আউট করে রবিউল চতুর্থ উইকেট নেন।
রবিউল ২২ রানে ৪টি, রকিবুল ২২ ও আজমতউল্লাহ ৪১ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
এমপি/এসজি
