ঢাকা পর্ব ছিল সিলেটের

রান খরা দিয়ে বিপিএলের যে নবম আসর শুরু হয়েছিল, ঢাকা প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে রান ফোয়ারায়। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ২০ ওভার খেলেও অলআউট না হয়ে ৯ উইকেটে মাত্র ৮৯ রান করেছিল। সেই রান সিলেট টপকে গিয়েছিল ১২.৩ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে। সেখানে শেষ ম্যাচ দেখেছে দু্ইশোর্ধ রানের ইনিংস। ঢাকা ডমিনেটরসের বিপক্ষে সিলেট স্ট্রাইকার্স করেছিল ৮ উইকেটে ২০১ রান। জবাব দিতে গিয়ে ঢাকা অবশ্য ৩ বল বাকি থাকতে অলআউট হয়েছিল।
ঢাকা পর্বে ৪ দিনে খেলা হয়েছে ৮টি। সেখানে প্রথম তিন দিনের প্রথম ম্যাচ তিনটি শুধু রান খরায় ভুগেছিল। বাকি ম্যাচগুলা হয়েছে রান বন্যার। সিলেটের করা ২০১ রান ঢাকা জবাব দিতে না পারলও ফরচুন বরিশালের করা ৭ উইকেটে ১৯৪ রান আবার ঠিকই সিলেট টপকে গিয়েছিল।
ঢাকা পর্ব আসলে ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের। বলা যায় মিলে-মিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে সিলেট। প্রতিদিনই তারা ম্যাচ খেলেছে। একমাত্র অপরাজিত দল তারা। পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষেও তারা। প্রতিপক্ষকে যেমন সবচেয়ে কম রানে আউট করেছে সিলেট, তেমনি সবচেয়ে বেশি রানও তাদের। চট্টগ্রামকে তারা ২০ ওভার খেলতে দিয়েও ৯ উইকেটে শতরান করতে দেয়নি। মাত্র ৮৯ রান করতে পেরেছিল। আবার ঢাকার বিপক্ষে দলগত সর্বোচ্চ ৮ উইকেটে ২০১ রানও সিলেটের।
সিলেটের অর্জন এখানেই শেষ নয়। রানের ব্যবধানে বড় জয়ও সিলেটের। ঢাকা ডমিনেটরসকে তারা হারিয়েছিল ৬২ রানে। উইকেটের ব্যবধানে বড় জয় সিলেটের না হলেও দ্বিতীয় বড় জয় তাদের। চট্টগ্রামকে তারা হারিয়েছিল ৮ উইকেটে। উইকেটের ব্যবধানে বড় জয় চট্টগ্রামের ৯ উইকেটে। প্রতিপক্ষ ছিল খুলনা।
সিলেটের দলগত এই সব অর্জন হয়েছে ব্যক্তিগত অর্জনের কারণে। যে কারণে ব্যক্তিগত অর্জনেও এগিয়ে সিলেটের ক্রিকেটাররা। সর্বোচ্চ রান তৌহিদ হৃদয়ের। ৪ ম্যাচের ৩ ইনিংসে ব্যাট করে টানা ৩ হাফ সেঞ্চুরিতে ১৯৫ রান করে সবার উপরে তৌহিদ হৃদয়। দ্বিতীয় স্থানেও সিলেটের নাজমুল হোসেন শান্ত। তার রান ৪ ম্যাচের ৪ ইনিংসে ১৬৭। বল হাতে উইকেট প্রাপ্তিতে গড় রানে দ্বিতীয় স্থানে সিলেটের কাপ্তান মাশরাফি মর্তুজা। ৭টি করে উইকেট নিয়েছেন তিনি ও ঢাকার আল আমিন। ২ ম্যাচে আল আমিনের গড় ১০.৪২। ৪ ম্যাচে মাশরাফির গড় ১৬.০০। এরপর দুইটি স্থানও সিলেটের বোলারদের। ৬টি করে উইকেট নিয়ে গড় রানে তিনে মোহাম্মদ আমির, চারে রেজাউর রহমান রাজা।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতার দিকেও সিলেটের ক্রিকেটারার এগিয়ে। চারটি ম্যাচ জেতাতে তাদের কোনো পুরস্কার হাতছাড়া হয়নি। সবচেয়ে বেশি তিনবার ম্যাচ সেরা হয়েছেন তৌহিদ হৃদয়। আর কেউ একাধিকবার হতে পারেননি।
খুলনা ও চট্টগ্রামের ম্যাচে যথাক্রমে আজম খান ও ওসমান খান সেঞ্চুরি করাতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি সিলেটের ব্যাটসম্যানদের থাকেনি। আজম খান অপরাজিত ১০৯ ও ওসমান খান অপরাজিত ১০৩ রান করেছিলেন। এরপর তৌহিদ হৃদয়ের ৮৪ রানের ইনিংস। তৌহিদ হৃদয় কোনো সেঞ্চুরি করতে না পারলেও একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে একাধিক (৩টি) হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।
এভাবেই ঢাকা পর্বকে সিলেট স্ট্রাইকার্স নিজেদের করে নিয়েছিল।
এমপি/আরএ/
