কোহলির রেকর্ডময় ম্যাচে ভারতের জয়

বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিখরা এখন দূরের স্মৃতি। স্বরূপে ফিরেছেন ভারতীয় ব্যাটার। তিন বছরে প্রথমবার ওয়ানডেতে ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। ভেঙেছেন স্বদেশি কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের একটি রেকর্ড এবং ভাগ বসিয়েছেন তার আরেক রেকর্ডে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) গৌহাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৫তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন কোহলি। ৮৭ বলে ১১৩ রানের ইনিংস সাজান ১২ চার এবং ১ ছক্কায়। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বছর শেষ করেছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।
মাইলফলক স্পর্শের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে ৩৭৩ রানের বড় সংগ্রহ পাইয়ে দেন কোহলি। তার রেকর্ডময় ম্যাচে ভারত তুলে নিয়েছে ৬৭ রানের অনায়াস জয়।
ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নবম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন কোহলি। তাতে ভেঙেছেন টেন্ডুলকারের রেকর্ড। দ্বীপ দেশটির বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৮ সেঞ্চুরির রেকর্ড এতদিন যৌথভাবে দুজনের দখলে ছিল।
৫০ ওভারের ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও সমান সংখ্যক সেঞ্চুরি রয়েছে কোহলির। এই ফরম্যাটে দুই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৯ বা তারও বেশি সেঞ্চুরি হাঁকানো একমাত্র ক্রিকেটার এখন ভারতীয় এই ব্যাটার। টেন্ডুলকার এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন কেবল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
স্বদেশি কিংবদন্তি আরেকটি রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন কোহলি। দেশের মাটিতে দুজনের সেঞ্চুরি সংখ্যা এখন সমান ২০। এই উচ্চতায় উঠতে টেন্ডুলকারের লেগেছিল ১৬০ ইনিংস। তাকে স্পর্শ করতে ৬১ ইনিংস কম লেগেছে কোহলির।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি থেকে এখনো ঢের দূরে কোহলি। ওয়ানডে ও টেস্ট মিলিয়ে মোট ১০০ সেঞ্চুরির মালিক সাবেক এই লিজেন্ডারি ব্যাটার। আর তিন ফরম্যাটে কোহলির সেঞ্চুরির সংখ্যা ৭৩: টেস্টে ২৭টি, ওয়ানডেতে ৪৫টি এবং টি-টোয়েন্টিতে ১টি।
কোহলির রেকর্ডময় দিনে ভারতকে দুর্দান্ত শুরু উপহার দেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল। উদ্বোধনী জুটিতে ১৯.৪ ওভারে দলের খাতায় ১৪৩ রান যোগ করেন তারা। তাদের প্রতিরোধ ভাঙেন দাসুন শানাকা। লঙ্কান অধিনায়ক আউট করেন ৭০ রান করা শুভমানকে।
খানিকবাদে রোহিতকে (৮৩) প্যাভিলিয়নে পাঠান দিলশান মাদুসানকা। দ্রুত দুই ওপেনার হারালেও ভারতকে সঠিক পথে রাখেন কোহলি। ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়ে ইনিংসের ৪৯তম ওভারে আউট হন তিনি।
তিন টপ-অর্ডার ব্যাটারের দিনে ছোট অবদান ছিল শ্রেয়ার আইয়ার (২৪ বলে ২৮ রান) এবং লোকেশ রাহুলের (২৯ বলে ৩৯)। সবমিলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৭৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় ভারত।
রান তাড়ায় কখনোই সঠিক পথে ছিল না শ্রীলঙ্কা। প্রাপ্তি কেবল শানাকার সেঞ্চুরি এবং পাথুম নিসাঙ্কার হাফসেঞ্চুরি। ইনিংসের অর্ধেকের বেশি সময় লড়ে গেছেন নিসাঙ্কা। খেলেছেন ৭২ রানের ইনিংস।
এরপর ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে ছিলেন শানাকা। শেষ ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন লঙ্কান অধিনায়ক। ম্যাচের শেষ বলে হাঁকান ছক্কা। তার ১০৮ রানের হার না মানা ইনিংসে কেবল কমেছে দলের হারের ব্যবধানে। সতীর্থদের ব্যর্থতায় নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৬ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
আরএ/
