হৃদয়-শান্তর হাফ সেঞ্চুরিতে সিলেটের সংগ্রহ ২০১

নবম বিপিএলের সেনসেশন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য তৌহিদ হৃদয়ের (৮৪) আরেকটি নজরকাড়া হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্তরও (৫৭) হাফ সেঞ্চুরিতে সিলেট স্ট্রাইকার্স রানের পাহাড় গড়ে এবারের বিপিএলে প্রথম দল হিসেবে দুইশ অতিক্রম করে সংগ্রহ করেছে ৮ উইকেটে ২০১ রান। তোহিদ হৃদয়ের এটি ছিল টানা তৃতীয় ও নাজমুল হোসেন শান্তর দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি।
প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে এবারের বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জয় একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। টস জেতা মানেই চোখ বুঝে ফিল্ডিং নেওয়া। এসময় প্রতিপক্ষ যত রানই করুক না কেন, দ্বিতীয় ইনিংসে তা ধরে রাখা কঠিন হয়ে উঠে। কারণ এসময় বোলার ঠিকমতো বল গ্রিপ করতে পারেন না। হয় প্রচুর মিস ফিল্ডিং আর হাতছাড়া হয় ক্যাচ। এই সিলেটের বিপক্ষে ফরচুন বরিশাল আগে ব্যাট করে ১৯৪ রান করেও ম্যাচ জিততে পারেনি।
আজ ঢাকা ডমিনেটরসের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রিত হওয়ার পর বিষয়টি বেশ ভালোভাবেই মনে ছিল সিলেটের ব্যাটসম্যানদের। জিততে হলে অন্তত দুইশ'র উপরে রান করতে হবে। তাও যদি শেষ পর্যন্ত নিরাপদ হয়। সিলেটের ব্যাটসম্যারা সেই কাজটি করে রেখেছেন তহবিলে ২০১ রান জমা করে। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুইশ রান তাড়া করার টার্গেট থাকলে তা অনেক সময় প্রতিপক্ষের জন্য বাড়তি চাপ হয়ে উঠে। সেই চাপ কাটিয়ে উঠে সিলেটের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ঢাকার ব্যাটসম্যানরা কী করতে পারেন তাই এখন দেখার বিষয়।
সিলেটের রান যে দুইশ অতিক্রম করেছে, সেখানে অবদান মাত্র দুইজনের। একজন তৌহিদ হৃদয়। যিনি এই আসরে একটি করে ম্যাচ খেলছেন আর ক্রমেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। প্রথম ম্যাচে ৫৫, দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৬ রান করার পর আজ সেঞ্চুরির কাছকাছি গিয়ে আউট হয়েছেন ৮৪ রানে। প্রথম ম্যাচে হাফ সেঞ্চরি করেছিলেন ৩৩ বলে, দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৫ বলে আর আজ ৩২ বলে। ৪৬ বলে ৮৪ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি করে চার ও ছক্কা।
১৭ রানে ওপেনার মোহাম্মদ হারিসকে (৬) হারানোর পর নাজমুলের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭৯ রান যোগ করেন ৯.২ ওভারে। নাজমুল ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর বেশি দূর যেতে পারেননি। ৫৯ রানে আউট হয়ে যান। তিনি ৩৯ বলে খেলে ২টি ছক্কার সঙ্গে ৭টি চার মেরেছিলেন। সিলেটের ২০১ রানের মধ্যে এই দুইজন যোগ করেন ১৪৩ রান। তৃতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল থিসারা পেরেরার ১১। এরপর জাকির হাসান করেন ১০ রান। আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। সিলেটের ইনিংসে ছক্কা ছিল ৮টি, বাউন্ডারি ১৮টি। ডট বল ছিল ৪১টি।
মূলত তৌহিদ হৃদয় আর নাজমুল হোসেন শান্তর আগ্রাসী ব্যাটিংয়েই ঢাকার শক্তিশালী বোলিং লাইন এলোমেলো হয়ে পড়ে। অধিনায়ক নাসির হোসেন তিনি নিজেসহ ৭ জন বোলার ব্যবহার করেও সিলেটের রানের চাকা আটকে রাখতে পারেননি। ৩ উইকেট নেওয়া আল আমিন হোসেনই দিয়েছেন সবচেয়ে বেশি ৪৫ রান। তাসকিন ২ উইকেট নেন ৩৬ রানে।
এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচের ৩ ইনিংসে ব্যাট করে ১৯৫ রান করেছেন তৌহিদ হৃদয়। ছক্কা মেরেছেন ১০টি। চার ১৫টি। গড় ৬৫.০০ আর স্ট্রাইকরেট ১৬৬.৬৬।
এমপি/এসজি
