কুমিল্লাকে হারিয়ে সিলেটের তিনে তিন

বিপিএলে একমাত্র দল হিসেবে ফাইনাল খেলতে না পারা সিলেট স্ট্রাইকার্স এবার মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে দুরন্ত-দুর্বার। তিন ম্যাচে তুলে নিয়েছে টানা তৃতীয় জয়। তৃতীয় জয় পেতে তারা হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে।
প্রথম দুই ম্যাচে যেমন তারা সহজেই জয় পেয়েছিল, এই ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কুমিল্লার করা ৬ উইকেটে ১৪৯ রান তারা পাড়ি দিয়েছে ২.২ ওভার হাতে রেখে ৫ উইকেট হারিয়ে।
আগের ম্যাচে ফরচুন বরিশালের রানের পাহাড় টপকাতে গিয়ে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে সিলেটকে পথ দেখিয়েছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য তৌহিদ হৃদয়। পরে ম্যাচ শেষে তিনি জানিয়েছিলেন, অধিনায়ক মাশরাফি তাকে বলেছিলেন তিনি ছিলেন তার প্রথম পছন্দ। মাশরাফি যে রতন চিনতে ভুল করেননি তৌহিদ হৃদয় তার প্রমাণ রেখেছেন আজ কুমিল্লার বিপক্ষেও।
আজ টার্গেট বেশি ছিল না। ১৪৯ রান তাড়া করা। সেখানে হৃদয়ের ব্যাট থেকে আবারও এসেছে হাফ সেঞ্চুরি। তার ৫৬ রানের ইনিংস সিলেটকে আরেকটি সহজ জয় পেতে রেখেছে বড় ভূমিকা। এবারের আসরে তিনি প্রথম ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পাননি। আজও তিনি ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন।
আগের ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে তৌহিদ হৃদয়কে নামতে হয়েছিল প্রথম ওভারেই। আজ নামতে হয়েছে দ্বিতীয় ওভারে। প্রথম দুই ম্যাচে ১ রান করে ব্যর্থ হওয়া নেদারল্যান্ডসের কলিন অ্যাকারম্যানকে বাদ দিয়ে সেরা একাদশে নেওয়া হয়েছিল মোহাম্মদ হারিসকে। এই অলরাউন্ডারকে নামানো হয়েছিল ওপেনিংয়ে। কিন্তু তিনিও হতাশ করেন ৬ রান আউট হয়ে। তখন দলের রান ১২। এরপর তৌহিদ হৃদয় এসে জুটি বাঁধেন নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে। এবার শতরানের জুটি গড়তে না পারলেও জুটিতে ৪.১ ওভারে রান আসে ৪৩। তৌহিদ ছিলেন যথারীতি আক্রমণাত্মক। তার কারণেই ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে রান আসে ১ উইকেটে ৫২।
এরপর তৌহিদ হৃদয় এক প্রান্তে হাল ধরে দলকে জয়ের কিনারায় নিয়ে গিয়ে আউট হন। আউট হওয়ার আগে তিনি নাজমুলের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি ছাড়াও জাকিরের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩ ওভারে ৩০, মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৪.৫ ওভারে ৪২ রান যোগ করেন। নাজমুল ২১ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে ১৯ রান করে খুশদিলের বলে আউট হন। জাকির খেলেন যথারীতি ঝড়ো ইনিংস। ১০ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে ২০ রান করে মোহাম্মদ নবীর বলে লিটন দাসের হাতে স্টাম্পিং হন।
এরপর আউট হন তৌহিদ হৃদয়। ৩৫ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় বিপিএলের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেওয়ার পর পরের বলে মারেন নিজের চতুর্থ ছয়। এরপরই তিনি আউট হয়ে যান খুশদিলের বলে লিটন দাসের হাতে স্টাম্পিং হয়ে। তৌহিদ আউট হওয়ার সময় সিলেটের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৩ রানের। বাকি কাজ সারেন মুশফিকুর রহিম। এসময় থিসারা পেরেরার উইকেট হারায় সিলেট। পেরেরা ৬ বলে ৮ রান করে মোহাম্মদ নবীর বলে খুশদিলের হাতে ধরা পড়েন।
জয়সূচক রান আসে আকবর আলীর ব্যাট থেকে বাউন্ডারির মাধ্যমে। তিনি ৪ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থাকেন ২ চারে ২৫ বলে ২৮ রান করে। মোহাম্মদ নবী ২৯ ও খুশদিল ২৮ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
এমপি/এসজি
