কুমিল্লার সংগ্রহ ১৪৯ রান

বিপিএলের নবম আসরের তৃতীয় দিনও প্রথম ম্যাচে খুব বেশি রান হয়নি। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস টস হেরে ব্যাট করতে নাম রান করেছে ৬ উইকেটে ১৪৯ রান। ওভার প্রতি ৭.৪৫ করে। দলের পক্ষে জাকের আলী ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে কুমিল্লা ৩ উইকেট হারালেও রান সংগ্রহ করে ৪৭। গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান লিটন দাস প্রথম ম্যাচের পর এই ম্যাচেও রান করতে পারেননি। তবে শুরু করেছিলেন দারুণ।
শুরু করেছিলেন ২টি বাউন্ডারিতে ৪ বলে ৮ রান করে তিনি থিসারা পেরেরার বলে মোহাম্মদ হারিসের হাতে ধরা পড়েন। এ দিন লিটনের সঙ্গে ওপেন করতে আসা ডেবিড মালান ও সৈকত আলী দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩.৪ ওভারে ২৯ রান যোগ করেন। সৈকত ছিলেন মারমুখি। মাশরাফির প্রথম ওভারেই ৩ বাউন্ডারিতে ১৫ রান তুলে নেন। পরে ১২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২০ রান করে ইমাদ ওয়াসিমের বলে বোল্ড হন। ইমরুল কায়েস এসে ৩ রান করে বোল্ড হন মোহাম্নদ আমিরের বলে উইকেটের পেছনে আকবর আলীর হাতে ধরা পড়েন।
ইমরুল কায়েস আউট হওয়ার পর মালান ও জাকের আলী মিলে কুমিল্লার পক্ষে ৫৩ রানের জুটি গড়ে তুলেন ৮.১ ওভারে।জুটি ভাঙ্গে মালান ৩৯ বলে ৩৭ রান করে পেরেরার বলে উইকেটের পেছনে আকবর আলীর হাতে ধরা পড়েন।মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত দ্রুত ৫ রান করে মোহাম্মদ আমিরের শিকার হয়ে ফিরে যাওয়ার পর মোহাম্মদ নবীও ফিরে যান ৭ বলে ৮ রান করে মাশরাফির বলে বোল্ড হয়ে। পাঁচে নামা জাকের আলী শেষ পর্যন্ত ৪৩ বলে ৩ ছক্কা ২ চারে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেন ৩৫ বলে।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) মাশরাফি তিনি নিজেসহ ৫ জন বোলিং করেন। ২টি করে উইকেট নেন পেরেরা ২৬ রানে ও মোহাম্মদ আমির ২৯ রানে। ইমাদ ওয়াসিম ২৯ ও মাশরাফি ৩২ রানে নেন ১টি করে উইকেট নেন। মাশরাফি প্রথম ওভারে ১৫ রাম দেয়ার পর পরবর্তী সময়ে দারুণভাবে ফিরে আসেন। এ সময় ৩ ওভারে তিনি ১৭ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন। আগের ২ ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়া রেজাউর রহমান রাজা ৩৯ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।
এমপি/এমএমএ/
