স্বাধীনতা কাপের শিরোপা বসুন্ধরার
বিশ্বকাপ ফুটবলের জমজমাট আয়োজনে আড়াল পড়ে গেছে অন্য সব খেলা। ঘরের মাঠে শুরু হয়েছে স্বাধীনতা কাপ। কিন্তু এর খবর কজনই বা রেখেছেন। আজ আসরের ফাইনাল খেলা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বসুন্ধরা কিংস। অনেকটা নিরবেই বলা যায় তারা এক বছর পর শিরোপা পুনরুদ্ধার করল।
ভাসা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে বসুন্ধরা কিংস টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে পরাজিত করে। নির্ধারিত সময় খেলা ২-২ গোলে ড্র ছিল।
বসুন্ধরার জয়ের নায়ক গোলরক্ষক আতিকুর রহমান জিকো। তিনি ট্রাইবেকারে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের দুটি শট আটকে দেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের হয়ে চতুর্থ শট নিয়ে জয়সূচক গোলটি করেন।
নির্ধারিত সময়ে যে চারটি গোল হয়েছিল তার সব কটি ছিল প্রথমার্ধে। খেলা শুরুর প্রথম মিনিটেই ব্রাজিলের মিগুয়েলের গোলে বসুন্ধরা কিংস এগিয়ে যায়।১২ মিনিটে নাইজেরিয়ার এমফন সানডের গোলে খেলার সমতা আনে শেখ রাসেল। ৩২ মিনিটে আইভরি কোস্টের চার্লস দিদিয়ের গোলে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র এগিয়ে যায়। প্রথমার্ধের খেলার শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে ব্রাজিলের রবসন গোল করে খেলায় আবার সমতা নিয়ে আসেন।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে কোনো দলই গোল করতে পারেনি। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তখনো ম্যাচের বন্ধ্যাতা ঘুচায়নি। এরপর ফাইনাল খেলার নিষ্পত্তি আনতে টাইব্রেকারের শরণাপন্ন হতে হয়।
টাইব্রেকারে বসুন্ধরার হয়ে প্রথম তিনটি শটে গোল করেন রবসন, ডরিয়েলটন ও রেজা খানজাদে। শেখ রাসেলের প্রথম তিন শটের মাঝে শুধু হেমন্ত ভিনসেন্ট গোল করেন। সোহেল রানা ও খালেকুজ্জামানের শট জিকো ঠেকিয়ে দেন। চতুর্থ শটে গোল করলেই বসুন্ধরা চ্যাম্পিয়ন, তখন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের চতুর্থ শট নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। দুটি শট আটকে জিকো চতুর্থ শট নিতে এসে গোল করলে বিজয়ের মাসে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মেতে উঠে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়রা।
এমপি/আরএ/