ডাচদের বিরুদ্ধে মাস্ট উইন ম্যাচ প্রোটিয়াদের
জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত। বিশ্বকাপে এমন সমীকরণ মাথায় রেখে আগামীকাল (৬ নভেম্বর) মাঠে নামছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
গত বিশ্বকাপে রান রেটের মারপ্যাচে পড়ে সেমিফাইনাল খেলতে পারেনি প্রোটিয়ারা। এবার সেমিতে উঠে গত আসরের দুঃখ ভুলতে চায় তারা। অন্যদিকে আগেই বিদায় নিলেও শেষটা ভালো করতে মরিয়া নেদারল্যান্ডস।
গ্রুপ-২ এ সব দলই ৪টি করে ম্যাচ খেলেছে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ভারত। টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট ৫। সমান ৪ করে পয়েন্ট আছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের। এই গ্রুপ থেকে এই চার দলের সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ থাকছে। আগামীকাল ভারত খেলবে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।
শেষ রাউন্ডে নিজ নিজ ম্যাচে জিতলেই সেমিতে খেলবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। তখন বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ম্যাচের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না। বিদায় নেবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। তবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে কোনো দল যদি হেরে যায়, তাহলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে জয়ী দল পৌঁছে যাবে সেমিতে।
গতবারের মতো এবার আর রান রেটের কোনো ঝামেলা নেই দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। জিতলেই সেমি নিশ্চিত হবে প্রোটিয়াদের। দলের স্পিনার কেশব মহারাজ বলেন, ‘গত আসরের স্মৃতি এখনো আমরা ভুলিনি। রান রেটে পিছিয়ে থাকায় সেমিতে উঠতে পারিনি আমরা। এবার আমাদের সামনে একটাই সমীকরণ- জিতে সেমির টিকিট নিশ্চিত করা। শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেরা পারফরম্যান্স দিয়ে জয় তুলে নিতে চাই আমরা।’
অন্যদিকে ৪ ম্যাচে ১ জয় ও ৩ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে নেদারল্যান্ডস। আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সুপার টুয়েলভ পর্বে প্রথম জয়ের দেখা পায় ডাচরা। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় দিয়ে এবারের বিশ্বকাপ মিশন শেষ করার লক্ষ্য নেদারল্যান্ডসের।
দলের টপ-অর্ডার ব্যাটার টম কুপার বলেন, ‘সুপার টুয়েলভে প্রথম তিন ম্যাচ হারার পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। ওই জয় শেষ ম্যাচে কাজে দিবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করতে চাই আমরা।’
টি-টোয়েন্টিতে এর আগে একবার দেখা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা-নেদারল্যান্ডসের। সেটি ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে ৬ রানে জিতেছিল প্রোটিয়ারা।
এসজি