ফেক ফিল্ডিং: চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন শ্রীধরনও
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাচ শেষ হয়েছে ৩ দিন আগে। আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের রেশ এখনো শেষ হয়নি। চলছে আলোচনা সমালোচনা।
ভারতকে জেতাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে আম্পায়ারদের দুটি সিদ্ধান্ত ছিল পক্ষপাতিত্বমূলক। একটি মাঠ ভেজা থাকার পরও খেলা শুরু করা, অপরটি বিরাট কোহলি ফেক ফিল্ডিং থেকে পেনাল্টি হিসেবে বাংলাদেশকে ৫ রান না দেওয়া।
বাংলাদেশ সেই ৫ রানে হারাতেই ফেক ফিল্ডিং এর বিষয়টা খুব বেশি করে আলোচনা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা তো হচ্ছেই এমনকি সাবেক অনেক ক্রিকেটাররাও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন।
অনেকেই সরাসরি আইসিসির দিকে ইঙ্গিত করে ভারতের প্রতি তাদের দুর্বলতার প্রসঙ্গটি সামনে নিয়ে এসেছেন। ভাযতকে জেতাতে সেমিফাইনালে নিয়ে যেতে আম্পায়ারদেরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বাদ যাননি ম্যাচ রেফারিও। বিল্ডিং নিয়ে বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামও চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেছেন আজ জুমে সংবাদ সম্মেলনে জানান।
শ্রীধরন বলেন, ‘আমরা কোনো অজুহাত দিতে চাই না। এটি (ফেইক ফিল্ডিং) ঘটার পরপরই আমি চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে জানানো হলো যে এটা মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। যাইহোক, আমরা কোনো অজুহাত দিচ্ছি না।’
শ্রীধরন জানান ম্যাচের আগে যদি বাংলাদেশ ভারতের কাছে ৫ রানে হারবে বলে কেউ পূর্বাভাস দিতেন বা মন্তব্য করতেন তা যে কেউ মেনে নিতে।
তিনি বলেন, ‘ম্যাচের আগে যদি কেউ বলতো, আমরা ভারতের সঙ্গে ৫ রানে হারব। এটা যে কেউ মেনে নিত।’
ভারতকে হারানোর কাছাকাছি বাংলাদেশ দল চলে গিয়েছিল বলে তিনি জানান। শ্রীধরন বলেন, ‘আমার মনে হয় ভারতকে হারানোর মতো একটা জায়গায় চলে গিয়েছিলাম। এত কাছে আসায় ছেলেদের অনেক আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।’
বৃষ্টি ,আম্পায়ার ও ভারত-এই তিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত ৫ রানে হারের দলের সবাই হতাশ বলে জানান শ্রীধরন।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় শেষ অবধি মাত্র ৫ রানে হারার পর, ড্রেসিং রুমে সবাই হতাশ ছিল। তারা বুঝতে পেরেছে কত বড় সুযোগ হারিয়েছে। এটা তাদের জন্য অনেক বড় শিক্ষা। দলকে এটা অনেক আত্মবিশ্বাস দেবে। ভারতের মতো দলকে চ্যালেঞ্জ জানানো আর এত কাছে আসা বোঝায়, আমরা খুব বেশি দূরে নেই।’
এমপি/এমএমএ/