মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

দুপুরে ভারত-পাকিস্তান মহারণ

ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বিরল। সাধারণত বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে দেখা হয় দুই চিরশত্রুর। এ যাত্রায় ক্রিকেট অনুরাগীদের এমন উপলক্ষ্য উপহার দিয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চ। আইসিসি ইভেন্টে মুখোমুখি লড়াই দিয়ে আজ টুর্নামেন্ট শুরু করবে দুই দল। আবহাওয়া যদি অনুমতি দেয়, তা হলে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় গড়াবে মহারণ।

মাত্র এক মাস আগেই দুবার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। এশিয়া কাপের ম্যাচ দুটোতে তারা প্রমাণ করেছে মহারণের উত্তেজনা থাকবে চিরকাল। দুটো ম্যাচেই হয়েছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। একটিতে ভারত জিতেছিল দুই বল বাকি থাকতে এবং অপরটিতে পাকিস্তান জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলেছিল এক বল হাতে রেখে। মজার বিষয় হলো, দুই ম্যাচেই জয় এসেছিল ৫ উইকেট ব্যবধানে!
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেও কী আরেকটি শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই উপহার দেবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী? যথাযথ উত্তরটা হয়ত ম্যাচ শেষেই পাওয়া যাবে। তবে রোহিত শর্মা আর বাবর আজমদের শক্তি-সামর্থ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে ওমন কিছুই। একদিকে ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত পাকিস্তানের পেসাররা। আরেকদিকে, শাহিন শাহ আফ্রিদিদের মোকাবিলা করতে সেরা প্রস্তুতিই নিয়েছে ভারতীয় ব্যাটাররা।

ভারতের অধিনায়ক রোহিত বলেছেন, ‘আমি চাপ শব্দটিকে ব্যবহার করতে চাই না, কারণ চাপ থাকবেই, আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে চাই। এই পাকিস্তান দল খুবই চ্যালেঞ্জিং দল। পাকিস্তানের বোলাররা আমাদের চ্যালেঞ্জ জানাবে, আমরাও প্রস্তুত চ্যালেঞ্জ নিতে। আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং আমাদের চ্যালেঞ্জ জয় করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর বলে রেখেছেন, ‘আমাদের পেসাররা দারুণ পারফর্ম করছে। শাহিন দলে ফিরেছে, মোহাম্মদ ওয়াসিম এবং হারিস রউফ বোলিংয়ে উন্নতি করেছে। আমাদের বোলিং ইউনিটের প্রতি আমাদের আস্থা অনেক বেশি। সুতরাং ম্যাচের দিনে আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।’

আজকের ম্যাচে অতীত পরিসংখ্যান এগিয়ে রাখছে ভারতকে। টি-টোয়েন্টিতে দুই দল এখন অবধি মুখোমুখি হয়েছে ১১ বার। ভারত জিতেছে ৮টিতে, পাকিস্তান ৩টিতে। বিশ্বকাপের বছরে ক্রিকেটের ছোট ফরম্যাটে দারুণ ছন্দে আছে ভারত। ২০২২ সালে খেলা প্রত্যেকটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতেছেন রোহিত-কোহলিরা।

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ-ডের ২০ দিন আগে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমায় ভারত। এই অ্যাসাইনমেন্টকে সামনে রেখে সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষের পর থেকেই পরিকল্পনা প্রস্তুতির মিশনে ছিল দলটি। কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং অধিনায়ক রোহিতের দলে নতুন আবিষ্কার সূর্যকুমার যাদব। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বকাপে ভারতের তুরুপের তাস হতে পারেন এই বিধ্বংসী ব্যাটার।

অপরদিকে, পাকিস্তান দলে ব্যাটিংয়ে ভরসা বাবর আর মোহাম্মদ রিজওয়ান। সাম্প্রতিক অতীত বলছে, তেমন ছন্দে নেই তাদের মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। যদিও এ নিয়ে মোটেও ভাবছেন না বাবর। বোলিং ইউনিটসহ পুরো টিমের ওপর আস্থা রাখছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। বিশ্বকাপের শুরুতে ভারত বধ করে ভক্তদের উৎসবের উপলক্ষ্য উপহার দিতে চান তিনি।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

৯১ দিনে কোরআনের হাফেজ ৬ বছরের আব্দুর রহমান

হাফেজ আব্দুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

মাত্র ৯১ দিনে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করে বিস্ময়কর কৃতিত্ব অর্জন করেছে ৬ বছর বয়সী শিশু আব্দুর রহমান। রাজধানী ঢাকার ৩০০ ফিট এলাকার পুলিশ হাউজিংয়ে অবস্থিত স্বনামধন্য ইংলিশ ভার্সন স্কুল ও মাদ্রাসা ‘আল ইন্তিফাদা ইনস্টিটিউট’-এর দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সে। বর্তমানে হিফজ শেষ করে রিভিশন বিভাগে অধ্যয়নরত রয়েছে।

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার জৌনপুরি গ্রামের সন্তান আব্দুর রহমান প্রবাসী ফরাদ হোসেন ও তাহমিনা দম্পতির সন্তান।

প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে আব্দুর রহমান ‘আল ইন্তিফাদা ইনস্টিটিউটে’ ভর্তি হয় এবং ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে পড়াশোনা শুরু করে। প্রথমে দেখে দেখে কোরআন পড়া শুরু করলেও মাত্র ৯১ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করতে সক্ষম হয়। ইংরেজিতেও তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে, যা শিক্ষক ও সবার জন্য মুগ্ধতার বিষয়।

শিক্ষকদের নিবিড় পরিচর্যায় কোরআনের এই হাফেজ এখন অন্যদের জন্য এক অনুপ্রেরণা। ভবিষ্যতে ইসলামিক স্কলার হয়ে বিশ্বব্যাপী ইসলামের খেদমত করতে চায় আব্দুর রহমান।

এ বিষয়ে আব্দুর রহমান বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, ওস্তাদদের সহযোগিতায় ৯১ দিনে হিফজ সম্পন্ন করেছি। আমি বড় হয়ে একজন ইসলামিক স্কলার হতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।”

তার এই অসাধারণ অর্জন সম্পর্কে আল ইন্তিফাদা ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা আশরাফুল ইসলাম বলেন, “কোনো কাজে নিরন্তর প্রচেষ্টা মানুষকে সফলতা এনে দেয়। আব্দুর রহমান নিয়মিত অধ্যবসায়ের মাধ্যমে মাত্র ৯১ দিনে হিফজ সম্পন্ন করেছে। সে দুই ঈদের ছুটি ও মাদরাসার নির্ধারিত ছুটি ছাড়া কোনো দিন অনুপস্থিত ছিল না। তার কঠোর পরিশ্রম, উস্তাদদের দোয়া এবং আল্লাহর বিশেষ রহমতেই এই সফলতা এসেছে।”

হাফেজ আব্দুর রহমানের এই অর্জন তার পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সমগ্র দেশের মুসলিম উম্মাহর জন্য এক অনন্য গৌরবের বিষয়। তার বাবা-মা আশাবাদী যে, একদিন তাদের সন্তান বড় আলেম হয়ে ইসলামের খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত করবে।

Header Ad
Header Ad

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট

ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে চাইলে শিক্ষার্থীদের জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যদি কোনো শিক্ষার্থীর ডোপ টেস্টের ফলাফল পজিটিভ আসে, তাহলে তিনি ভর্তির জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট করানো হবে। যদি কারও পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে, তাহলে তিনি ভর্তি হতে পারবেন না।”

এছাড়া, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সাবজেক্ট চয়েস প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আগামী ১৩ মার্চ থেকে সাবজেক্ট চয়েস শুরু হতে পারে এবং এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হতে পারে।”

এর আগে, গত ২ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় ভর্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে জাবির স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ৯ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ১,৮১৪টি আসনের বিপরীতে ২ লাখ ৬২ হাজার ৪৫০ জন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ভর্তি পরীক্ষা মোট ছয়টি ইউনিট ও একটি ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়।

Header Ad
Header Ad

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

সহকারী অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলামকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন।

আগামীকাল (৫ মার্চ) সকালে শপথ গ্রহণ করে নতুন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম গত বছরের ১০ নভেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পান। অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এবং ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্বে ছিলেন।

এছাড়া, তিনি জানুয়ারি ২০১৮ থেকে আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ মেডিকেল ফিজিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সাল থেকে টিএমএসএসের অ্যাডভাইজার এবং ২০২১ সাল থেকে টিএমএসএস ক্যান্সার কেয়ার সেন্টার বাস্তবায়নের স্টিয়ারিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৯১ দিনে কোরআনের হাফেজ ৬ বছরের আব্দুর রহমান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট
উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম
নতুন দলের বেশিরভাগ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে: এম এ আজিজ
রোজাদারকে ইফতার করানোর বিশেষ পুরস্কার
প্রধান উপদেষ্টার আপত্তিতেই ‘ডেভিল হান্ট’ নাম বদলের সিদ্ধান্ত
ভারতের প্রতিশোধ নাকি আবার অস্ট্রেলিয়া?
শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই চা শ্রমিক নিহত, আহত ১৮
নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
মার্কিন অনুদান বন্ধে ভারতে ট্রান্সজেন্ডার হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম স্থগিত
পদত্যাগ করেছেন ইরানের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জাভেদ জারিফ
পুরোনো সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয় : নাহিদ ইসলাম
খালেদা জিয়ার শারী‌রিক অবস্থা স্থি‌তিশীল: ডা. জা‌হিদ  
রাবির তথ্য অফিসার পদে নিয়োগ পেলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা
বধ্যভূমিতে জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল এনসিপি  
অনিয়মের অভিযোগে কুবির রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ছুটি  
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিতের নির্দেশ ট্রাম্পের  
নুরের ‘দলত্যাগ’ প্রসঙ্গে হান্নান মাসউদের বক্তব্যের প্রতিবাদ গণঅধিকার পরিষদের  
মধ্যরাতে ধোলাইখালে জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ  
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা