নিউ জিল্যান্ডকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা নিউ জিল্যান্ড দলকে বেশ ভালোভাবেই চেপে ধরেছেন বাংলাদেশের বোলররা। চা বিরতি পর্যন্ত স্বাগতিকদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬৮। এখনও তারা পিছিয়ে আছে ৬২ রানে। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছিল ৪৫৮ রান। এগিয়ে ছিল ১৩০ রানে।
প্রথম ইনিংসে চমৎকার বোলিং করার পরও তাসকিন আহমেদ উইকেট শূন্য ছিলেন। শুধু চেয়ে দেখেছেন সহযোদ্ধাদের উইকেট নিয়ে উল্লাস করা। নিজে সেখানে শামিল হয়েছিলেন বাহবা দিতে। কিন্তু তাকে কেউ বাহবা দিতে আসেননি। এবার নিউ জিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই তিনি আঘাত করেন। দলপতি টম লাথামকে ব্যক্তিগত ১৪ ও দলীয় ২৯ রানে তাসকিন বোল্ড করার পর সবাই তাকে নিয়ে উল্লাসে মেতে উঠেন। প্রথম ইনিংসে একটি উইকেট পেলেও খুব ভালো বল করতে পারেননি। এবার তিনিও উইকেট পেয়ে যান। পঞ্চম বোলার হিসেবে বল হাতে তুলে নিয়ে এবাদত ফিরিয়ে দেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়েকে (১৩)। গালিতে তার ক্যাচ ধরেন সাদমান ইসলাম। ৬৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ইয়াং ৩২ ও ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংস খেলতে নামা রস টেলর ৪ রান নিয়ে চা বিরতির পর আবার ব্যাট করতে নামবেন।
এর আগে বাংলাদেশ দল চতুর্থ দিন খুব বেশি সময় টিকতে পারেনি। ২০ ওভার ২ বলে ৫৭ রান যোগ করেই শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় ৪৫৮ রানে। লিড পায় ১৩০ রানের। তৃতীয় দিন শেষে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ১৫০ রানের মতো লিড তারা আশা করছেন। সে পথে বেশ ভালোভাবেই এগুচ্ছিলেন আগের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ ও ইয়াসির আলী। মিরাজ ২০ ও ইয়াসির আলী ১১ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে বেশ আস্থার সঙ্গেই খেলছিলেন। জুটিতে তার পঞ্চাশ রানও যোগ করে ফেলেন। এর মাঝে মিরাজ দুইবার এলবিডব্লিউর শিকার হয়েছিলেন। দুইবার তিনি রিভিউ নিয়ে রক্ষা পান। হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে তিনি আউট হন সেই সাউদির বলে। উইকেটের পেছনে ব্লুন্ডেলের হাতে ধরা পড়ে। জুটিতে তারা যোগ করেন ৭৫ রান। মিরাজের ৮৮ বলে ৪৭ রানের ইনিংসে ছিল ৭টি বাউন্ডাারি। এই রান করার পথে বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এক হাজার রান ও একশ উইকেট নেওয়ার ডাবল স্পর্শ করেন মিরাজ। এর জন্য তাকে খেলতে হয়েছে ৩০ টেস্ট। অপর দুইজন হলেন সাকিব আল হাসান (২৮ টেস্টে) ও মোহাম্মদ রফিক (৩৩ টেস্টে)।
এই জুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর আর বেশি সময় টিকতে পারেননি বাকি ব্যাটসম্যানরা। ৫ রান পরে ফিরে যান ইয়াসির আলীও ব্যক্তিগত ২৬ রানে। জেমিসনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। তাসকিন (৫), শরিফুল (৭) দ্রুত ফিরে যান। বাংলাদেশের শেষ ৪ উইকেট পড়ে মাত্র ১৩ রানে। তৃতীয় নতুন বল নেওয়ার পর বাংলাদেশ দল বোল্ট ৮৫ রানে নেন ৪ উইকেট। ওয়েগনার এ দিন আর কোনো উইকেট পাননি। ১০১ রানে নেন ৩ উইকেট। সাউদি ২ উইকেট নিতে খরচ করেন ১১৪ রান। জেমিসনের ১ উইকেটের পেছনে খরচ হয়েছে ৭৮ রান।
এমপি/টিটি