কুশালকে জীবন দিয়ে ভুক্তভোগী বাংলাদেশই!
শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের গত দুইবারের রানার্সআপ বাংলাদেশের বিদায় ঘণ্টা বেজেছে। ২ উইকেটে হারলেও এই ম্যাচ বাংলাদেশের পকেটেই ছিল। যেমনটি ছিল আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও। আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে ১২৭ রান করে। শ্রীলঙ্কার কাছে ১৮৩ রান করে। আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে মূলত শেষ ৪ ওভারে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছে মিস ফিল্ডিং, রিভিউ না নেওয়া আর নো-ওয়াইড বলের কারণে।
এই মিস ফিল্ডিং, রিভিউ না নেওয়া আর নো বলের জন্য আউট হয়েও বেঁচে যাওয়া সবই হয়েছে একজন ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে। তিনি হলেন ওপেনার কুশাল মেন্ডিস।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের ফিল্ডিং ছিল দেখার মতো। তারপরও সেখানে মিস ফিল্ডিং ছিল দৃষ্টি কটু। শুরুতেই কুশাল ২ রানে জীবন পান। তাসকিনের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিম দুইবারের চেষ্টায়ও বল গ্রিপে নিতে পারেননি। ২৯ রানে আবার জীবন পেয়েছিলেন। শেখ মেহেদী হাসানের বলে সুইপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন। এরপর হাঁটা ধরেন ড্রেসিং রুমের দিকে। কিন্তু আম্পায়ারের কলে ফিরে আসেন তিনি। কারণ শেখ মেহেদীর বলটি ছিল নো। ৩১ রানে এবাদতের বল গ্লাভস ছুঁয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে জমা পড়ে। কিন্তু আম্পায়ার আউট দেননি। আবার বাংলাদেশও রিভিউ নেয়নি। কারণ কোনো শব্দ শুনতে পাননি মুশফিকুর রহিম কিংবা অন্য কেউ। এরপর ৪৪ রানে আবার মিস ফিল্ডিং। তাসকিনের বলে অধিনায়ক শানাকা পুল করতে গিয়েছিলেন। হয়নি। বল চলে যায় মিড অফে সাব্বিরের কাছে। এদিকে মেন্ডিস ক্রিজ ছেড়ে অনেকটা বের হয়ে আসেন রান নেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি ফিরে আসার অনেক আগেই খুব কাছে থেকে সাব্বিরের থ্রো স্ট্যাম্পের নাগাল পায়নি। এই চারটির যেকোনো একটি কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচে আর বাংলাদেশ হারত না।
মিস ফিল্ডিং বা নো বলের কথা বাদ দিলেও রিভিউ নিতে না পারাটা ছিল হতাশজনক। টিভি রিপ্লেতে বারবার গ্লাভসে লাগার দৃশ্য ভেসে আসছিল। খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান জানান, তিনি নিজে কিংবা অন্য কেউই শব্দ শুনতে পাননি বা কেউ বলেনি রিভিউ নেওয়ার জন্য। সাকিব বলেন, ‘কেউই শুনেনি আসলে। এখন কী বলব। আমি কাভারে ছিলাম, আমি শুনতে পারিনি। পয়েন্টে যে ছিল, শর্ট মিড উইকেটে, কেউই বলেনি যে ভাই নেন রিভিউটা বা রিভিউটা নেওয়া যেত? বোলার থেকে শুরু করে কেউই বলেনি।’
চার চারবার জীবন পেয়ে সেই কুশাল মেন্ডিসই ৬০ রানের ইনিংস খেলে বনে যান ম্যাচের রাজা।
এমপি/এসএন