নতুন এফটিপিতে বাংলাদেশের ছেলেদের ম্যাচ সবচেয়ে বেশি
আইসিসি ঘোষণা করার আগে বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল ২-২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত আইসিসির নতুন এফটিপিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৪টি ম্যাচ খেলবে। বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলবে উইন্ডিজ ১৪৬টি।
বাংলাদেশের ১৪৪টি ম্যাচের মাঝে ছিল ৩৪টি টেস্টে, ৫৯টি ওয়ানডে ও ৫১টি টি-টোয়েন্টি। কিন্তু আজ আইসিসি যে পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছে, তাতে বাংলাদেশের ম্যাচ আরও বেড়েছে। এখন বাংলাদেশ মোট ম্যাচ খেলবে ১৫০টি। যেখানে আছে টেস্ট ৩৪টি, ওয়ানডে ৫৯টি ও টি-টোয়েন্টি ৫৭টি। নতুন এফটিপিতে বাংলাদেশেরই ম্যাচ বেশি। এরপরই আছে উইন্ডিজ। তারা ম্যাচ খেলবে ১৪৭টি
নতুন চক্রে বাংলাদেশ ২০০৩ সালের পর অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে আবার টেস্ট খেলার সুযোগ পাবে। কিন্তু ইংল্যান্ডে নেই কোনো টেস্ট সিরিজ। তবে ইংল্যান্ড দুইবার আসবে বাংলাদেশে। ভারতেও আছে বাংলাদেশের একটি সিরিজ। এ ছাড়া অন্য সব দেশের বিপক্ষেই বাংলাদেশের হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে সিরিজ আছে। আইসিসির সর্বশেষ টেস্ট মযার্দা পাওয়া দুই দেশ আফগানিস্তান ও আয়ার্যান্ডের বিপক্ষেও আছে বাংলাদেশের হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে সিরিজ।
নতুন এফটিপির মেয়াদ হবে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত। আইসিসির ১২টি পূর্ণ সদস্য তিন ফরম্যাটে ম্যাচ খেলবে ৭৭৭টি। এর মাঝে ১৭৩ টেস্ট, ২৮১ ওয়ানডে ও ৩২৩টি টি-টোয়েন্টি।
বাংলাদেশ তাদের খেলা শুরু করবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ দিয়ে। ফেব্রুয়ারি মাসে তারা খেলবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আর সূচির শেষ ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া সফরে মার্চে দুইটি টেস্ট। এক নজরে বাংলাদেশের নতুন এফটিপিতে যত খেলা।
২০২৩
মার্চ-ইংল্যান্ড আসবে । খেলবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।
মে-আয়ারল্যান্ড সফর। তিন ওয়ানডে ও চার টি-টোয়েন্টি।
জুন-জুলাই-আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ (ভারত)
জুন- আফগানিন্তান আসবে। খেলবে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি।
সেপ্টেম্বর-এশিয়া কাপ
সেপ্টেম্বর-নিউ জিল্যান্ড আসবে তিন ওয়ানডে খেলতে।
নভেম্বর-ডিসেম্বর-নিউ জিল্যান্ড আসবে। খেলবে দুই টেস্ট।
ডিসেম্বর-নিউজিল্যান্ডে সফরে খেলবে তিনটি করে ওয়ানডে ওটি-টোয়েন্টি।
২০২৪
ফেব্রুয়ারি-মার্চ- শ্রীলঙ্কার আসবে দুইটি টেস্ট ও তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে।
এপ্রিল-জিম্বাবুয়ে আসবে। খেলবে দুই টেস্ট ও পাঁচ টি-টোয়েন্টি।
জুন-টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যুক্তরাষ্ট্র)
জুলাই-আফগানিস্তান সফরে দুইটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।
আগস্ট-সেপ্টেম্বর৪-পাকিস্তান সফরে দুইটি টেস্ট খেলবে।
সেপ্টেম্বর-অক্টোবর-ভারত সফর। খেলবে দুইটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি।
অক্টোবর-নভেম্বর-দক্ষিণ আফ্রিকা আসবে। খেলবে দুইটি টেস্ট ।
নভেম্বর-ডিসেম্বর- ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খেলবে দুইটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।
২০২৫
ফেব্রুয়ারি-মার্চ- চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (পাকিস্তান)
মার্চ-এপ্রিল- জিম্বাবুয়ে আসবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে।
মে-পাকিস্তান সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে।
জুন-জুলা- শ্রীলঙ্কার সফর। খেলবে দুইটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।
আগস্ট-ভারত আসবে। খেলবে তিনটি করে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ।
সেপ্টেম্বর-এশিয়া কাপ
অক্টোবর-ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসবে তিনটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে।
নভে.-ডিসে.-আয়ারল্যান্ড আসবে।খেলবে দুইটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি
২০২৬
মার্চ-এপ্রিল- পাকিস্তান আসবে। খেলবে দুইটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।
এপ্রিল- নিউজিল্যান্ড আসবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে।
জুন- অস্ট্রেলিয়া আসবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে।
জুলাই-আগস্ট- জিম্বাবুয়ে সফরে খেলবে দুইটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে।
আগস্ট- আয়ারল্যান্ড সফরে খেলবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।
অক্টো-নভে.- ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসবে দুইটি টেস্ট খেলতে।
নভে.-ডিসে.- দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুইটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে। ু
২০২৭
ফেব্রুয়ারি-ইংল্যান্ড আসবে। খেলবে দুইটি টেস্ট।
মার্চ অস্ট্রেলিয়া সফরে খেলবে দুইটি টেস্ট।
এমপি/এমএমএ/