‘সাকিবও আমার কেউ না রিয়াদও আমার কেউ না’
ব্যর্থতার ডাল-পালা এতই বিস্তার লাভ করেছে যে কিছুতেই তা রোধ করা যাচ্ছে না। অবস্থা সামাল দিতে গিয়ে লেজে-গোবরে অবস্তা বিসিবির। জিম্বাবুয়ে সফরে মাহমুদউল্লাহকে নেতৃত্বের পাশাপাশি দল থেকেও বাদ দেওয়া হয়। বিসিবির ভাষ্য ছিল বিশ্রাম। পরে সেই মাহমুদউল্লাহকেই আবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে জরুরি ভিত্তিতে দলে নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলানো হয়। এবার আবার মাহমুদউল্লাহকে এশিয়া কাপের দলে নেওয়া হয়েছে।
জিম্বাবুয়েতে মাহমুদউল্লাহকে খেলানো নিয়ে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘রিয়াদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। শেষ টি-টোয়েন্টিতে (জিম্বাবুয়ে) আমি যখন তাকে বলেছি খেলতে সে রাজি হয়েছে। আমি তাকে ফোন করে বলি যে পরের ম্যাচে খেলতে হবে। কারণ, সোহানের চোট আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে মিডল অর্ডারে।
রিয়াদ না করেনি, সে বলল আমি খেলব অসুবিধা নাই। আমার মনে হয় এসব নিয়ে আমরাই প্যানিক তৈরি করি। তারা সবাই বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার, দেশের জন্য খেলে। কে আজকে তামিম ওয়ানডে দলের অধিনায়ক, সাকিব টেস্টের পর এখন টি-টোয়েন্টিতে হয়েছে। পরে অবশ্যই তরুণ ছেলেরা আসবে। অধিনায়ক কে তা মূল বিষয় না। অধিনায়ককে কেবল অনুসরণ করা...মাঠেতো অধিনায়কের একটা গুরু দায়িত্ব থাকে। সবাই দেশের ক্রিকেটের চিন্তা করে, এটাই তো বড় গর্বের। লাল-সবুজের জন্য খেলার চাইতে বড় গর্বের আর কিছু আছে?
মাহমুদউল্লাহকে বাদ দিয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি সিরিজে জন্য নুরুল হাসান সোহানকে অধিনায়ক করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ইনজুরিতে পড়লে শেষ ম্যাচে দায়িত্ব দেওয়া হয় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। এবার অনেক নাটকের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত সাকিবকে অধিনায়ক করা হয়েছে। এ নিয়ে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘রিয়াদের সঙ্গেও কথা হয়েছে সাকিবের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আমি যেহেতু এখন দলের সাথে জড়িত কথাতো হবেই। কথা না বলার কিছু নাই। বোর্ডের একটা অবস্থান ছিল যে সাকিব যেহেতু এই ফরম্যাটে বেশি অভিজ্ঞ। ওর অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওর পারফরম্যান্স সব মিলিয়ে আমাদের মনে হয়েছে সেইই সেরা পছন্দ সত্যি কথা বলতে গেলে। বিষয়টা এমন না যে রিয়াদ খারাপ। তবে হয়তো রিয়াদের চেয়ে সাকিবকে সেরা বিকল্প মনে হয়েছে। দিন শেষে আমরা সবাই বিসিবিতে কাজ করি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ভালো করার জন্য। এখানে আমাদের কোনো স্বার্থ নেই। সাকিবও আমার কিছু না রিয়াদও আমার কিছু না। বলতে গেলে আমাদের সতীর্থ ক্রিকেটার। হয়তো আমরা সিনিয়র ওরা জুনিয়র। ওরা এখনো খেলতেছে, আমরা ওদের সঙ্গে কাজ করি, আমরা চাই বাংলাদেশ দলের সাফল্য। সাফল্যটা কীভাবে আসবে কার হাত ধরে আসবে আমরা জানি না। মনে হয়েছে সাকিব আমাদের সেরা বিকল্প। আমি বিশ্বাস করি সাকিব সেরা বিকল্প।’
এমপি/এমএমএ/