তরুণদের উপর দুই ম্যাচেই ভরসা হারালো বিসিবি!
পায়ের তলার মাটি যখন নড়বড়ে হয়ে যায়, তখন কোমরের জোরও কমে যায়। টেস্ট ও-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হারতে হারতে বাংলাদেশ দলের অবস্থা এমনই কাহিল হয়ে পড়েছে যে পায়ের তলা মাটি খোঁজে পাচ্ছে না। সেই পায়ের তলার মাটি খোঁজে পেতে জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি (টেস্ট সিরিজ ছিল না) সিরিজে নতুনদের বাজিয়ে দেখার পরিকল্পনা করে। এমনিতেই নেই সাকিব-তামিম। সেখানে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়াসহ মুশফিকুর রহিমকেও বিশ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বিসিবির পক্ষ থেকে বড় বড় বুলি আওড়ানো হয় তরুণদের উপর ভরসা রাখার। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই তরুণরা ১৭ হার মানেন দুর্বল জিম্বাবুয়ের কাছে। দ্বিতীয় ম্যাচে সাত উইকেটে জিতে তারা সিরিজ বাাঁচিয়ে রাখেন। আগামীকাল সিরিজ নির্ধারনী অলিখিত ফাইনাল। সেই ফাইনালের আগে আবার দ্বিতীয় ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ে আগামীকালের ম্যাচসহ ওয়ানডে সিরিজ থেকেই ছিটকে পড়েন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারনী হওয়াতে বিসিবি তরুণদের দিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষার ‘তথ্য’ থেকে সরে এসেছে। তাদের উপর আর ভরসা রাখতে পারেনি। কোনো কারণে যদি শেষ ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয়ে যায়, সেই জন্য মাহমুদউল্লাহকে বিশ্রামে রাখার ‘তথ্য’ থেকেও সরে এসে তাকে দলে নিয়েছে।
মাহমুদউল্লাহকে এভাবে দ্রুত ফিরিয়ে আনার বিষয়টিকে মোটেই ভালোভাবে নেননি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান। ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহকে খেলানো হলে, তা’হবে আনফেয়ার। এতে করে তরুণদের সুযোগ নষ্ট হবে। বিসিবিও তাদের পরিকল্পনা থেকে সরে যাবে। এতো দ্রুত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন মোটেই ক্রিকেটের জন্য ভালো নয়।’ তিনি মনে করেন মাহমুদউল্লাহকে খেলানো হলে এখনো অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা পারভেজ হোসেন ইমনের সুযোগ নাও মিলতে পারে। মুনিম শাহরিয়ারও একাদশের বাইরে চলে যেতে পারে। কিংবা এনামুল হক বিজয়ও। রকিবুল হাসান বলেন, ‘পারভেজ হোসেন ইমনকে একটা সুযোগ দেয়া উচিত। মুনিম শাহরিয়ার ভালো করতে পারছে না। কিন্তু সেও আরেকটা সুযোগ পেতে পারে। বিজয়ও ভালো করছে না। তাকেও সুযোগ দেয়া উচিত। কিন্তু মাহমুদউল্লাহকে খেলানো হলে এদের যে কেউ সুযোগ বঞ্চিত হবে।’
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। নির্বাচক কমিটির অপর দুই সদস্য হাবিবুল বাশার সুমন ও আব্দুর রাজ্জাক দুইজনেরই মুঠোফোন বন্ধ ছিল।
এমপি