নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামে চান পাপন
বিশ্বকাপ ক্রিকেট বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত এককভাবে আয়োজন করতে না পারলেও ২০১৪ সালে নারী-পুরুষ দুই বিভাগেরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজন করেছিল বিসিবি। ১০ বছর আবার ২০২৪ সালে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্বাগতিক হয়েছে বিসিবি। আইসিসিরি সভা শেষ করে রবিবার (৩১ জুলাই) দেশে ফিরে আসার পর হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অবয়াবে ছিল রাজ্য জয়ের হাসি। সেই খৃশিতে তিনি রুমানা ও কয়েকটা খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলি। আমি কয়েকজনকে ফোন করি যে কী কী লাগবে।
আমি আসছি রেডি কর। আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই। এটা একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। বিশ্বকাপে যে দলগুলো খেলে, কয়েকটা দল খুবই শক্তিশালী, চিন্তার বাইরে। উদাহরণ হিসেবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া অবিশ্বাস্য। অন্য যারা আছে তারাও খুব ভালো লড়াই করছে। এদিকে ভারত-পাকিস্তান তো শক্তিশালী আছেই। ধারাবাহিক খেলার মধ্যেও আছে। আমাদের মেয়েদের পরিকল্পনা নিয়ে বসতে হবে। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ হচ্ছে আমাদের মেয়েরা যেন ভালো লড়াই করতে পারে। হার জিত নিয়ে আমি চিন্তিত না, যেন ভালো একটা ফাইট দিতে পারে সেটা আমাদের দেখতে হবে।’
২০২৪ সালের এই আসরে খেলবে ১০টি দেশ। খেলা হবে ২৩টি। বিসিবির সভাপতির ইচ্ছে এই আসরের ফাইনাল এখনো নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়া শেখ হাসিনা আর্ন্তজাতিক ক্রিকেেট স্টেডিয়ামে করার। কিন্তু তা সম্ভব হবে কি না তা তিনি নিজেও জানেন না। তিনি বলেন, ‘আরেকটা ইচ্ছে আছে, যদিও সেটা হবে না। হবে না আমি জানি। তারপরেও আমি বলছি চেষ্টা করব। স্টেডিয়াম যেটা আছে পূর্বাচলে শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম। ওটার কাজ যদি শেষ করতে পারি, যেহেতু আমাদের সবকিছুই শেষ, এখন শুধু কনসালটেন্টের নাম ঘোষণার বাকি। এরপর তারা যত তাড়াতাড়ি করতে পারবে তত ভালো হয়। ওটার মধ্যে যদি হয় তাহলে আমরা শুধু ফাইনালটা আয়োজন করতে পারলে খুব ভালো হয়। এই টার্গেটটা নিয়েই নামব। না হলে বিকল্প তো আছেই।’
বিসিবি সভাপতি কথা বলেন আগামী পাঁচ বছরের (২০২৩-২০২৭) এফটিপি নিয়েও। এই পাঁচ বছরে বাংলাদেশষ ৩৪টিটেস্টে, ৫৯টি ওয়ানডে ও ৫১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। সব মিলিয়ে ১৪৪টি ম্যাচ। যা সর্বোচ্চ ম্যাচ পাওয়া উইন্ডিজের ১৪৬টির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তিনি বলেন, ‘এত বেশি ম্যাচ খেলব কীভাবে? আইসিসির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত অনেক ছিল। একটা ছিল, খেলা বণ্টন। এফটিপি আছে। অফিসিয়ালি ঘোষণা না দেওয়া পযন্ত আমরা বলছি না। এক সপ্তাহের ভেতরে দিয়ে দেওয়ার কথা।
এফটিপি যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে, যে পরিমাণে খেলা আছে, আমার মনে হয় এখন আমাদের দুঃশ্চিন্তার বিষয় খেলবো কীভাবে? এত ম্যাচ খেলা আসলেও কঠিন।’ তিনি রোটেশন পদ্ধতির কথা জানান। বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এখন আমাদের দল আলাদা করা ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব না। কয়েকটা খেলোয়াড়ের উপর চাপ এত বেশি পড়বে, যেটা আসলে ওদেরকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। অদল-বদল করে খেলতে হবে। এ ছাড়া কোনো উপায় নেই।’
এমপি/এমএমএ/