জিম্বাবুয়েকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে বাংলাদেশ
চব্বিশ ঘন্টারও কম সময়ের মাঝে জিম্বাবুয়ে মুদ্রার উল্টো-পিঠও দেখে ফেলেছে। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে যেখানে তারা মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশকে জিততে দেয়নি ম্যাচ। ১৭ রানে জিতেছিল তারা।
সেখানে রবিবার (৩১ জুলাই) একই ভেন্যুতে একইভাবে টস জিতে আবারও ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল। কিন্তু এবার আর রানের ফাল্গুধারা তারা ছুটাতে পারেনি। মুথ থুবড়ে পড়েছে। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংয়ে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বাংলাদেশ বেশ ভালোভাবেই তাদের চেপে ধরেছে। ২০ ওভার খেলে আট উইকেটে করেছে ১৩৫ রান। দলের পক্ষে সিকান্দর রাজা করেন সর্বোচ্চ ৬২ রান। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার হিসেবে চার ওভার বোলিং করে ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। তার আগের সেরা বোলিং ছিল ২১ রান দুই উইকেট। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন তিন পেসার মোস্তাফিজ, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল।
জিম্বাবুয়েকে এ দিন রান করতে দেননি মোসাদ্দেক হোসেন। তার ডান হাতি স্পিন ভেল্কিতে ধরাশায়ী হয়ে পড়েন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। বল হাতে ইনিংসের সূচনা করতে এসে প্রথম বলেই উইকেট নিয়ে সেই যে শুরু করেছিলেন, তারপর টানা চার ওভারের স্পেলে প্রতি ওভারেই নিয়েছেন একটি করে উইকেট। প্রথম ওভারে ছিল দুই উইকেট। তার শিকার ছিলেন একে একে রেজিস চাকাভা, ওয়েসলি মাধেভেরে, অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন, অভিজ্ঞ শন উইরিয়ামস ও মিল্টন সুম্বা। এদের কেউই দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি। মোসাদ্দেক টানা চার ওভার বোলিং করে ২০ রানে নেন র্পাঁচ উইকেট। মোসাদ্দেকের আগে বাংলাদেশের হয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন ইলিয়াস সানি, মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিবক আল হাসান।
মোসাদ্দেক কীর্তিতে জিম্বাবুয়ের রান এক সময় ছিল সাত ওভারে পাঁচ উইকেটে ৩২ রান। তাদের অলআউট হওয়া ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অলআউট না হওয়ার কারণ ছিল আগের দিন বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধুনো করা সিকান্দার রাজা। দলেল বিপর্যয়ে তিনি নিজেকে গুটিয়ে নেন। সেখানে তিনি বেশ ভালোভাবে সফলও হন। তার ব্যাট থেকে আসে ৫২ বলে দুই ছক্কা ও চার চারে ৬২ রানের ইনিংস। হাফ সেঞ্চুরি করেন ৪৪ বলে। রায়ান বার্লকে নিয়ে ষষ্ট উইকেট জুটিতে ১০.৫ ওভারে যোগ করেন ৮০ রান। জুটিতে এই রানই জিম্বাবুয়ের সংগ্রহকে শতরান পার হতে বড় ভুমিকা রাখে। রায়ান বার্ল করেন ৩২ রান। জুটি ভাঙে রায়ান বার্লকে হাসান মাহমুদ বোল্ড আউট করলে। সিকান্দার রাজাকে শিকার করেন মোস্তাফিজ। এই দুই জন ছাড়া দলের আর কোনো ব্যাটসম্যানর দুই অংকের রান করতে পরেননি।
আজকের মাচে বাংলাদেশের বোলাররা ৫৫টি ডট বল দেন। সবচেয় বেশি ডট বল ছিল মোসাদ্দেকের ১৫টি। ১০টি করে ডট বল দেন শেখ মেহেদি হাসান,মোস্তাফিজ্রু রহমান ও হাসান মাহমুদ। শরিফুলের ডট বলের সংখ্যা ছিল আটটি। আফিফ এক ওভার বোলিং করে ডট বল দিয়েছিলেন দুইটি।
জিম্বাবুয়ে রান খুব বেশি করতে না পারলেও বাংলাদেশের তিন পেসার আজও ভালো বোলিং করতে পারেননি। তিন জনই ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ছয়ের উপরে। যেখানে দুই স্পিনার মোসাদ্দেক ও মেহেদি হাসানের ওভার প্রতি রান ছিল ছয়ের নিচে। মেহেদি তিনও ভারে মাত্র ১০ রান দেন। আফিফ এক ওভার হাত ঘুরিয়ে রান দেন ১২টি। আগের দিনও তিনি এক ওভার বোলিং করে ছয় রান দিয়েছিলেন।
এমপি/এমএমএ/