শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জিম্বাবুয়েতে নতুনের কেতন ওড়েনি বাংলাদেশের

’ঐ নতুনের কেতন ওড়ে কাল বোশেখীর ঝড়, তোরা সব জয়োধ্বনী কর।’

না হলো না। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই কথাগুলোকে এক সুতোয় গাঁথতে পারলেন না টি-টোয়ন্টি ক্রিকেটে নতুন দিনের সন্ধানে থাকা বাংলাদেশের তরুণরা। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে দুর্বল মনে করে সিনিয়র ক্রিকেটারদের বাদ দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নুরুল হাসান সোহানকে অধিনায়ক করে এক ঝাঁক তরুণকে সঙ্গী হিসেবে দেওয়া হয়েছিল সফরে।

‘যদি লাইগ্যা যায়’-এর মতো যদি এতে করে কাটে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দুর্দশা। কিন্তু না কাটেনি। সেই একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি। মুখ থুবড়ে পড়েছে নতুন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে খুবই বাজে সময় পার করতে থাকা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পেরে ওঠেনি সোহান বাহিনী। হার মেনেছে ১৭ রানে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের করা তিন উইকেটে ২০৫ রানের জবাব দিতে গিয়ে বাংলাদেশ করে ছয় উইকেটে ১৮৮ রান। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল রবিবার হারারে স্টেডিয়ামেই।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচ সেরা সিকান্দার রাজার বিস্ফোরক ২৬ বলে অপরাজিত ৬৫ রানের সঙ্গে মাধেভেরের ৪৬ বলে ৬৭ (অবসর) আর শন উইলিয়ামসের ১৯ বলে ৩৩ রানের কার্যকরী ইনিংসে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের সামনে তিন উইকেটে ২০৫ রানের পাহাড় যখন দাঁড় করায়, তখনই এক প্রকার বাংলাদেশের হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। একদিকে জিম্বাবুয়ের এই রান ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের দলগত সর্বোচ্চ। আবার এই রান তাড়া করার মতো বাংলাদেশ দলে নেই কোনো পাওয়ার হিটার। আছে স্কিল ব্যাটসম্যান। কিন্তু তা দিয়েতো আর পাহাড় চপকানো যায় না। পরে হয়েছেও তাই। জয় থেকে ১৮ রান দূরে থাকতে বাংলাদেশ আটকে যায় ১৮৮ রানে।

স্কিল ব্যাটসম্যান আর পাওয়ার হিটারের ব্যবধান যে কি ব্যাপক তা বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুর দিকে দৃষ্টি ফেরালেই সহজেই আন্দাক করে নেওয়া যায়। ইনিংস শুরু হতে না হতেই দুই ম্যাচ পর আবার সেরা একাদশে ফিরেই আট বলে চার রান করেই আউট মুনিম শাহরিয়ার। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এনামুল হক বিজয় হাজার রান করে জাতীয় দলে ফিরলেও তাকে ওয়ানডে ম্যাচে কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। খেলানো হয় টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি। দুই জায়গাতেই তিনি ব্যর্থ। আজও আরেকবার ব্যর্থ হলেন ২৭ বলে ২৬ রান করে। তারপরও বাংলাদেশ ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ৬০ রান সংগ্রহ করেছিল। এর যোগানদাতা ছিলেন লিটন দাস। তিনি মাত্র ১৯ বলে ছয় বাউন্ডারিতে ৩২ রান করেন। তিনি হন রান আউট। তার রান আউট ছিল বাংলাদেশের হারের পূর্বাভাস। দারুণ খেলতে থাকা লিটন শন উইলিয়ামসের বলে স্কুপ খেলেছিলেন। শর্ট ফাইন লেগে এনগারাভা ক্যাচ ধরলেও মুঠোতে ধরে রাখতে পারেননি। কিন্তু লিটন আউট হয়েছেন মনে করে ড্রেসিং রুমের দিকে হাঁটা ধরেন। কিন্তু তিনি আউট হননি তা বুঝতে পেরে সতর্ক জিম্বাবুয়ের ফিল্ডাররা। এনগাভারার থ্রো থেকে উইলিয়ামস নন স্ট্রাইকিংয়ের দিকে থাকা লিটনের স্ট্যাম্প ভেঙ্গে দেন। আসলে তিনি ফিরছিলেন ড্রেসিং রুমের দিকে। ৩২ রানের ইনিংস খেলার পথে বাংলাদেশের ষষ্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিটন এক হাজার রান পূর্ণ করেন। তার আগে এ কীর্তি গড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।

লিটন রান আউট হয়ে বিদায় নেওয়ার পরই নুরুল হাসান সোহান আসার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের রানের এই গতি আর বজায় থাকেনি। লিটনের পর এনামুল বিজয়ও আউট হন। এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুবও টিকতে পারেননি আট বলে ১০ রান করে ফিরে গিয়ে। চারে নামা নাজমুল হোসেন শান্তও আগ্রাসী ব্যাটিং করতে পারেননি। ২৫ বলে এক ছক্কা আর তিন চারে তিনি ৩৭ রান করে বিদায় নেন। এ সময় বাংলাদেশের রান চিল পাঁচ উইকেটে ১৬ ওভারে ওভারে ১৪৬। সেখান থেকে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত পরে ছয় উইকেটে ১৮৮ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছিল মূলত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের আগ্রসাী ব্যাটিংয়ের কারণে। এ সময় মোসাদেদক হোসেন সৈকত তাকে দারুণ সাপোর্ট দিয়ে যান। এই দুই জন ষষ্ট উইকেট জুটিতে তিন ওভারে ৩২ রান যোগ করেন। মোসাদ্দেক ১০ বলে করেন ১৩ রান। কীভাবে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে হয় কিংবা পাওয়ার হিটিং করতে হয় তা দেখিয়েছেন নরুল হাসান সোহান তার ব্যাটিংয়ে। মাত্র ২৬ বলে চারটি ছক্কা আর একটি বাউন্ডারিতে তিনি ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার এ রকম ব্যাটংয়ের কারণেই বাংলাদেশ শোচণীয় হার এড়াতে পেরেছিল।

এমপি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

বেড়েছে সিগারেটের দাম, অভ্যাস ছাড়বেন যেভাবে

বেড়েছে সিগারেটের দাম, অভ্যাস ছাড়বেন যেভাবে। ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝে এসে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এতে বাড়ছে সিগারেটের শুল্ক ও দাম। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

অধ্যাদেশ জারির পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। এর মাধ্যমে সিগারেটের মূল্যস্তর ভেদে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহার এবং মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আদায়ের দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মূলত চলতি অর্থ বছরের শেষ ৬ মাসে রাজস্ব আদায় বাড়াতে ভ্যাট বসানোর এই উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

সিগারেটের অভ্যাস ছাড়তে বহু মানুষই নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন। এর পেছনে রয়েছে শারীরিক এবং মানসিক কারণ, যা বেশিরভাগ সময়ই খুব শক্ত হয়ে দাঁড়ায়। তবে সঠিক উপায় এবং মানসিক প্রস্তুতি থাকলে সিগারেট ছাড়া সম্ভব। এখানে কয়েকটি সহজ এবং কার্যকরী উপায় তুলে ধরা হলো, যা আপনার সিগারেটের অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করতে পারে।

১. বিশেষ সাপোর্ট প্রোগ্রাম ব্যবহার করুন
যদি একাই সিগারেট ছাড়তে না পারেন, তবে বিশেষ সাপোর্ট প্রোগ্রাম বা কাউন্সেলিং সেশন নেয়া যেতে পারে। অনেক চিকিৎসক এবং ক্লিনিক সিগারেট ছাড়ানোর জন্য বিশেষ চিকিৎসা এবং সেবা প্রদান করে। সেগুলি আপনার অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করবে।

২. পুনরায় চেষ্টা করুন এবং ধৈর্য্য রাখুন
সিগারেট ছাড়ার সময় পিছু হটলে হতাশ হবেন না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। ভুল হলে আবার চেষ্টা করুন, আত্মবিশ্বাস হারাবেন না। ধৈর্য্য রেখে যাত্রা চালিয়ে যান, কারণ সাফল্য আসবেই।

৩. ইনহেলার বা নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি ব্যবহার করুন
কিছু মানুষ নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি ব্যবহার করে সিগারেট ছাড়ে। এই থেরাপি শরীরে নিকোটিনের চাহিদা মেটানোর জন্য ইনহেলার, গাম, প্যাচ বা লজেনজ ব্যবহার করতে সাহায্য করে। এটি সিগারেট ছাড়ার প্রক্রিয়া সহজ এবং ঝুঁকি মুক্ত করে

৪. নিজের উদ্দেশ্য পরিষ্কার করুন
সিগারেট ছাড়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো আপনার উদ্দেশ্য স্পষ্ট করা। আপনি কেন সিগারেট ছাড়তে চান, তা ভাবুন—স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক কারণে, অথবা পরিবারের জন্য। এই উদ্দেশ্য মনে রেখে কাজ করুন এবং যখনই সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা হবে, তখন এই উদ্দেশ্যগুলো আপনাকে শক্তি দেবে।

৫. প্রত্যাহারের লক্ষণ মেনে চলুন
সিগারেট ছাড়ার সময় আপনার শরীরে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে, যেমন তীব্র মাথাব্যথা, একাগ্রতার অভাব, বিরক্তি, এবং উৎকণ্ঠা। এগুলো হলো সিগারেট থেকে বের হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। সেগুলো মেনে চলুন এবং ধীরে ধীরে সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকুন।

৬. পর্যায়ক্রমে সিগারেটের সংখ্যা কমান
সিগারেটের অভ্যাস একদিনে পুরোপুরি ছাড়া সম্ভব নাও হতে পারে। শুরুতে আপনার দৈনিক সিগারেটের সংখ্যা কিছুটা কমান এবং এটি ধীরে ধীরে আরও কমাতে থাকুন। যেমন, এক সপ্তাহে একটি সিগারেট কমানোর চেষ্টা করুন এবং পরে পুরোপুরি ছেড়ে দিন।

৭. নতুন অভ্যাস গড়ে তুলুন
সিগারেট খাওয়ার বদলে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিয়মিত ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, বা প্রাকৃতিক খাবার খাওয়া আপনার মনোযোগ অন্যদিকে ফিরিয়ে আনবে। চা বা জলপান গ্রহণেও অভ্যস্ত হতে পারেন।

৮. বন্ধুদের সহায়তা নিন
আপনি একাই এই যাত্রা শুরু করতে পারেন, কিন্তু অন্যদের সহযোগিতা এবং উৎসাহ অনেক সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধু, পরিবার বা সহকর্মীদের সহায়তা নিন যারা আপনাকে সমর্থন করতে পারেন। তারা আপনাকে শক্তি যোগাবে এবং আপনিও তাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে অন্যদের সাহায্য করতে পারবেন।

৯. স্ট্রেস ব্যবস্থাপনা
অনেকের জন্য সিগারেট একটি স্ট্রেস কাটানোর মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু, দীর্ঘমেয়াদে এর পরিবর্তে আপনি মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। এটি আপনাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।

সিগারেট ছাড়ার পথ মোটেই সহজ নয়, তবে এটি অসম্ভবও নয়। সঠিক মানসিকতা, পরিকল্পনা, এবং সহায়তা নিয়ে আপনি সিগারেটের অভ্যাস ছাড়তে পারবেন। এতে আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য উপকৃত হবে এবং আপনি একটি নতুন, স্বাস্থ্যকর জীবন শুরু করতে পারবেন। মনে রাখবেন, আপনার এক একটি পদক্ষেপ সাফল্যের দিকে।

 

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের অভিষেকে যাচ্ছেন না চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শি জিন পিং। ছবি: সংগৃহীত

২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের অভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেও উপস্থিত হচ্ছেন না চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। বরং, তিনি তার পক্ষে উচ্চপদস্থ একজন প্রতিনিধিকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এ খবর জানিয়েছে, যা ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সও প্রকাশ করেছে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শি জিন পিংয়ের বদলে চীনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমের সঙ্গে বৈঠকও করবেন। প্রতিবেদনে দুই সম্ভাব্য প্রতিনিধির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং, যিনি বেশ কিছু আন্তর্জাতিক আনুষ্ঠানিকতায় শি জিন পিংয়ের প্রতিনিধিরূপে অংশগ্রহণ করেছেন। আরেকজন সম্ভাব্য প্রতিনিধি হতে পারেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।

এছাড়া, একটি সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের উপদেষ্টা দল চীনের পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছাই চিই-কে পাঠানোর অনুরোধ করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, ছাই চিই শি জিন পিংয়ের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও প্রভাবশালী সহযোগী হিসেবে পরিচিত, তার প্রভাব হান ঝেং ও ওয়াং ইয়ের চেয়ে অনেক বেশি।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস ও ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোন পক্ষই সাড়া দেয়নি।

গত মাসে, ডোনাল্ড ট্রাম্প শি জিন পিংকে তার অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। যদিও বিশেষজ্ঞরা এটিকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষের নেতাকে অভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো একটি বিরল ঘটনা।

এদিকে, ট্রাম্প সোমবার মন্তব্য করেছেন যে, তিনি শি জিন পিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, দ্বিতীয় মেয়াদে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

Header Ad
Header Ad

মাজার, কাওয়ালি গানের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না: ফারুকী

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি: সংগৃহীত

মাজার, বাউল সংগীত, কাওয়ালি গানের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে চীন দূতাবাস আয়োজিত বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, মাজার বা বাউল সংগীত, কাওয়ালি গানের ওপর কোথাও কোথাও (হামলা) হচ্ছে, সব জায়গায় না। একটি জায়গায় হলেও আমরা টলারেট করবো না, আমরাদের অবস্থানটা খুব পরিষ্কার—এই ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণু।

উপদেষ্টা বলেন, শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে প্রতি মাসে অনেকগুলো আয়োজন হচ্ছে। কোনো মাসে ৫২, ৭০, ৭৫। বাউলদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারি, এই মাসে ১২টি সাধু মেলা ছিল, আমরা আগামী মাসে দ্বিগুণ করেছি। আগামী মাসে ২৪টি সাধু মেলা হবে। এটা আমাদের উদ্যোগ। এ ছাড়া, বেসরকারি উদ্যোগে হতেই থাকবে। শিল্প-সংস্কৃতির ব্যাপারে আমাদের সরকারের অবস্থান পরিষ্কার।

গত বুধবার ময়মনসিংহ শহরে শাহ সুফি সৈয়দ কালু শাহর মাজারে হামলা চালিয়ে মাহফিল, দোয়া ও সামা কাওয়ালি অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গভীর রাতে কয়েকশ মাদ্রাসা ছাত্র হামলা চালিয়ে ২০০ বছরের পুরনো মাজারের একটি অংশ ভেঙে ফেলে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন শহরের রাজনৈতিক নেতা, সংস্কৃতিকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বেড়েছে সিগারেটের দাম, অভ্যাস ছাড়বেন যেভাবে
ট্রাম্পের অভিষেকে যাচ্ছেন না চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং
মাজার, কাওয়ালি গানের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না: ফারুকী
বেঙ্গলে দুই দিনের সংগীতানুষ্ঠান: শীতের সন্ধ্যায় রবীন্দ্রসংগীতের সুরধারা
মেজাজ হারিয়ে শাস্তি পেলেন তামিম ইকবাল
দুর্নীতির শঙ্কায় মাল্টার নাগরিকত্ব পাননি টিউলিপের চাচি
ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল নেভাতে নামানো হলো কারাবন্দিদের
শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
সাবেক ওসি শাহ আলমকে গ্রেফতারে সারাদেশে রেড অ্যালার্ট জারি, ধরতে চলছে যৌথ অভিযান
লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল: জো বাইডেনের সমালোচনা করে চটেছেন ট্রাম্প
দেশে পাঁচজনের শরীরে নতুন ভাইরাস শনাক্ত
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিনেত্রী নিপুণকে ছেড়ে দিল পুলিশ
নারী শিক্ষার্থীদের ওয়াশরুমে ভিডিও ধারণ, যুবক আটক
বিমানবন্দরে নায়িকা নিপুণ আটক, লন্ডন যাত্রা বাতিল
কাতারের আমিরের উদ্দেশে ফেসবুকে তারেক রহমানের বার্তা
টিউলিপকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর চিন্তা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর
ইসরায়েলি হামলায় ৯ দিনে ৪৯০ ফিলিস্তিনি নিহত
আপাতত হাসপাতালেই থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ৭.৮ ডিগ্রি
পাচারের টাকায় দুবাইয়ের দ্বীপে ট্রান্সকমের সিমিন ও ছেলের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট