শেখার জন্য নয় জয়ী হতে এসেছেন সোহান
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে তারুণ্যের জয়গান। দলে নেই কোনো সিনিয়র ক্রিকেটার। একঝাঁক তরুণ পায়রা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জিম্বাবুয়ের আকাশে। দলনেতা নুরুল হাসান সোহান থেকে শুরু করে সবার হাতে তারুণ্যের ঝান্ডা। আজ (শনিবার) শুরু হবে তাদের প্রথম পরীক্ষা। ঘণ্টা বাজবে বাংলাদেশ সময় বিকাল পাঁচটায়। কাটবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দুদর্শা। মিলবে জয়- এই মন্ত্রে উজ্জীবিত নুরুল হাসান সোহানের দল।
অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান তাই মনে করেন এই ক্ষেত্র তরুণদের শেখার মঞ্চ নয়, জেতার মঞ্চ। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তার কথায় ছিল সে রকমই আভাস। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় ভালো একটা সিরিজ হবে। হ্যাঁ, আমরা তরুণ একটা দল। কিন্তু আমরা এখানে শিখতে আসিনি। আমরা জেতার জন্যই এখানে এসেছি।’
দল তরুণ হলেও সোহান মনে করেন না দলে অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে। দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ৬-৭ বছর যাবৎ খেলছে মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘বলতে পারেন না যে আমরা অনভিজ্ঞ দল। অনেক খেলোয়াড়ই আছে যারা ৬-৭ বছর ধরে খেলছে। তাই আমার মনে হয় অভিজ্ঞতা ঠিক আছে। কন্ডিশন হয়তো একটু আলাদা। তবে এটি অজুহাত হতে পারে না।’
অধিনায়ক নতুন, দলে তারুণ্যের ছড়াছড়ি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভালো করার জন্য তরুণদের দিয়ে একটি মঞ্চ বানিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কেমন করেন তারা? কিন্তু নতুন অধিনায়কের কণ্ঠে পুরোনো বাংলাদেশের থিউরি ‘ব্র্যান্ড’ ক্রিকেট খেলা। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি। নিজেদের ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে চাই। অনেক দলই হয়তো পাওয়ার হিটিং ভালো পারে। তবে আমরা যদি স্মার্ট এবং সেনসিবল থাকি, ওভার বাউন্ডারি থেকে বাউন্ডারিও মারতে পারব। নিজেদের ব্র্র্যান্ড ক্রিকেট খেলা। অন্য দলগুলো কী করছে অবশ্যই আমরা খুব বেশি চিন্তিত না। নিজেদের ব্র্যান্ড তৈরি করতে চাই।’
তরুণ তরুণ রব উঠলেও অধিনায়ক সরাসরি জেতার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘কোনো অজুহাত দিতে চাই না। তিন ম্যাচের জন্য এসেছি। চ্যালেঞ্জ থাকবে, সেটি নিতে আগ্রহী।’
এমপি/এসজি/