ওপেনিংয়ে ডোমিঙ্গোর কাছে মিঠুনের প্রয়োজনীয়তা শেষ!
মোহাম্মদ মিঠুনকে যারা চিনেন, অবশ্য না চেনার কথা না, জাতীয় দলে এক সময় নিয়মিত মুখ, সাফল্যও পেয়েছিলেন বেশ, পরে ভালো করতে না পারার কারণে ছিটকে পড়েন, তিনি খেলতেন মিডল অর্ডারে। কিন্তু গত বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস লিগে (বিসিএল) হঠাৎ করে দেখা গেলো মিঠুন ইনিংসের ওপেন করছেন। পরে জানা যায় এটা ছিল জাতীয় দল থেকে ম্যানেজ। আরও সরাসরি বললে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর চাওয়া। ডমিঙ্গোর সেই চাওয়া মিঠুন বেশ ভালোভাবেই পূর্ণ করেছিলেন একটি করে ডাবল সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরিসহ ৪৬৮ রান করে।
মিঠুন তার কাজ শেষ করার পর তখন কাজ বাকি থাকে কোচ ডোমিঙ্গোর। তার কাছ থেকে ডাক আসবে। কিন্তু সেই ডাক আজও আসেনি। ডিসেম্বর খেলেছিলেন। এখন জুলাই মাস শেষ প্রায়। পার হয়ে গেছে আট মাস। মিঠুন তাই রয়ে গেছেন জাতীয় দলের বাইরেই। এখন তার জায়গা হয়েছে ‘এ’ দলে। পেয়েছেন নেতৃত্ব। যাচ্ছেন উইন্ডিজ। কেন ডোমিঙ্গো তাকে ডাকেননি তার জবাব নেই মিঠুনের কাছে। অবশ্য থাকার কথাও নয়ি। কিন্তু তিনি যখন ‘এ’ দলের দায়িত্বে, উইন্ডিজ খেলবেন চারদিনের দুইটি ম্যাচ। সেখানে কী তা’হলে তাকে ইনিংসের ওপেন করতে দেখা যাবে। আজ মিরপুরে ‘এ’ দেল নিয়ে উড়াল দেয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে উঠে এসেছিল এই প্রশ্ন। মিঠুন জানান, ‘এই জিনিসটা কোনোভাবেই আমার ওপর না। আমার সিদ্ধান্তে কিছু হবে না। এটা হচ্ছে নির্বাচক, টিম ম্যানেজ্যামন্ট আছে; এটা সম্পূর্ণ উনাদের চিন্তা। আমাকে একটা পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছিল, আমি সেই অনুযায়ী কাজ করেছি। এখন যদি আমাকে কোনো আলাদা দায়িত্ব দেওয়া হয়, সেখানে কীভাবে সর্বোচ্চ দেওয়া যায় ওই চেষ্টা করব।’
‘এ’ দলের সঙ্গে যাচ্ছেন কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। তার কাছেও জানতে চাওয়া হয়েছিল মিঠুন ওপেন করবেন কি না? তিনি বলেন, ‘আমাদের নীতিনির্ধারক যারা আছেন, আমাদের ক্রিকেট নিয়ে যারা ভাবেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে যারা চিন্তা করেন, তাদের হয়তো একসময় ভাবনা ছিল সময়ের তাগিদে মিঠুনকে হয়তো ওপেনিংয়ে খেলানো হবে। এখন হয়তো ওই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসছে। সুতরাং এটা নীতিনির্ধারকরাই চিন্তা করেন, ওভাবেই আমরা যারা নীতিনির্ধারক তাদের সঙ্গে আলাপ করে আমরা চিন্তা করেছি যে, এখন আর ওই প্রয়োজনটা নেই, মিঠুন যেখানে খেলার দরকার সেখানে খেলবে।’
এমপি/এএস