ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে রোমাঞ্চিত নিগার
একটা সময় বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলাই ছিল আকাশ-কুসুম কল্পনা। সেই আকাশ কুসুম কল্পনা এখন হাতের মুঠোয়। ছেলেদের পর মেয়েরাও খেলছে বিশ্বকাপ। এরপর আসে আয়োজনের পালা। সেখানেও অপূর্ণতা দূর করতে পেরেছে বাংলাদেশ। ২০১১ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনের পর ২০১৪ সালে নারী-পুরুষের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে এককভাবে। তবে সবার আগে আয়োজন করেছিল ১৯৯৯ সালে নক আউট বিশ্বকাপ। যেটি পরে পরিবর্তন হয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হিসেবে এখন আইসিসি আয়োজন করে থাকে। সেই আসরে অবশ্য বাংলাদেশ শুধুই আয়োজক ছিল। খেলার সুযোগ পায়নি। তাই আইসিসির মেগা ইভেন্ট আয়োজন বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১০ বছর আবারও বিশ্বকাপ আসর আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে বিসিবি।
২০১৪ সালের সঙ্গে ২০২৪ সালেল আয়োজনের বিস্তার ফারাক আছে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট হাটি হাটি পা পা করে এগুচ্ছিল। এখন বিশ্বক্রিকেট বেশ শক্ত এক নাম। একবার জিতেছে এশিয়া কাপের মুকুট। ২০১৪ সালের আসর খেলেছিলেন এমন ক্রিকেটারদের মাঝে এখনো খেলছেন সালমা খাতুন, জাহানারা আলম, রুমানা আহমেদ, ফাহিমা খাতুন, খোদিজা-তুল-কোবরা, ফারজানা হক, শামীমা সুলতানা, লতা মন্ডল। কিন্তু বর্তমান অধিনায়ক নিগার সুলতানা জোৗতি তখন খেলেননি। তিনি দারুণ রোমাঞ্চিত। মঙ্গলবার রাতে খবরটা শুনার পর থেকেই তার হৃদয়ে আনন্দের ঢেউ লেগেছে। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে খেলার অনুভুতিই আলাদা বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘খবরটা শোনার পর আমি খুব রোমাঞ্চিত। কারণ নিজের দেশে বিশেকাপ খেলার মতো সৌভাগ্য সবার হয় না। জানি না কি হবে। বেঁচে থাকলে খেলার সুযোগ পেলে আমাদের জন্য বড় একটা বিষয়। নিজের দেশের একটা বাড়তি সুবিধা থাকে, দর্শকদের সমর্থন থাকে যা দলকে বুস্ট আপ করতে অনেক বেশি সাহায্য কর।’
বাংলাদেশ স্বাগতিক হওয়া নিয়ে নিগার সুলতাান জৌাতি বলেন, ‘আইসিসি যখন থেকে নারীদের ইভেন্টগুলো ভাগাভাগি করছিল তখন থেকে ইন্টেনশন কিন্তু এটাই ছিল যেন আইসিসি নারী ক্রিকেটকে আরও বেশি প্রোমোট করতে পারে। আমার কাছে মনে হয় যেহেতু শুধু এটা নারীদের বিশ্বকাপ, বিশ্বজুড়ে ভালো নজরে থাকবে, আর বাংলাদেশ ক্রিকেটেও ফোকাস থাকবে।
২০২৪ সালে আসর। হাতে প্রচুর সময়। এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করা যায়। কিন্তু নিগার সুলতানা জ্যোতির ভাবনায় তা নেই। তার ভাবনায় তার আগের আসর। তিনি বলেন, ‘এখনও কিন্তু আমাদের হাতে অনেক বেশি সময় আছে। এখনই ওটাতে এগোতে চাচ্ছি না। আমাদের পরের যে বিশ্বকাপ বাছাই, যেটা না হলে হয়তো পরের বিশ্বকাপটা খেলতে পারবো না আমরা সেটাতে নজর দিচ্ছি। সামনের বিশ্বকাপের জন্য অনেকগুলো টি-টোয়েন্টি খেলতে পারবো। অনেকগুলো দ্বিপক্ষীয় সিরিজও আছে যেগুলোতে অন্তত তিনটা টি-টোয়েন্টি খেলবো, যেটা পরের বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করে ফেলবে। আমার কাছে মনে হয় ধাপে ধাপে এগোনো ভালো।’
এমপি