সবাই জয়ের জন্য ক্ষুধার্থ ছিল: তামিম
টেস্ট সিরিজে হার। টি-টোয়েন্টি সিরিজে হার। এক একটি হার আবার খুবই বিভৎস। এমন হারে যেকোনও দলেরই পায়ের নিচের মাটি নরম করে দেয়। বাংলাদেশ দলের অবস্থাও হয়েছিল অনেকটা সে রকমই। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে হলে নরম মাটিকে শক্ত করে তুলতে হয়। বাংলাদেশের কাছে সেই মাটি শক্ত করার ‘টনিক’ ছিল ওয়ানেড সিরিজ। যেখানে বাংলাদেশ পরাক্রমশালী। সর্বশেষ তারা দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাটিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়ে এসেছে। জিতেছে টানা ৪টি সিরিজ। তাই ওয়ানডে মঞ্চই বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ছিল উপযুক্ত মঞ্চ। অবশেষে সেখানে বাংলাদেশ ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে জেতার পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছে ৯ উইকেটে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হয় সিরিজ। টানা পঞ্চম সিরিজ জয়। এমন অর্জন এসেছে সেরা একাদশের নিয়মিত তিন ক্রিকেটার (সাকিব, মুশফিক, ইয়াসরি আলী) ছাড়াই। এটা সম্ভভ হয়েছে সবাই জয়ের জন্য ক্ষুধার্থ ছিলেন বলে মনে করেন তামিম।
তামিম ইকবাল বলেন, ‘দেখেন সেরা একাদশের তিনজন ক্রিকেটার না খেললে আত্মবিশ্বাস উঠা-নামা করবেই। তারপরও আমার মনে হয়েছে সবাই জয়ের জন্য ক্ষুধার্থ ছিল। টেস্ট সিরিজ বলেন, টি-টোয়েন্টি সিরিজ বলেন সবাই ওখানে চেষ্টা করেছে। কিন্তু রেজাল্ট যখন আসেনি তখন আমরা সবাই জিততে চেয়েছি। একটা কিছু দেশে নিয়ে যেতে হবে। এটা শুধু আমি নই, সবাই ভেবেছে। ওদের রোলটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ইচ্ছের কারণেই হয়তোবা এই রেজাল্ট।’
টার্গেট কম, মাত্র ১০৯ রান করতে হবে। তারপরও ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল সঙ্গী পরিবর্তন করে লিটনকে না নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে মাঠে নামেন। এর পেছনে লিটনের পরামর্শ ছিল জানিয়ে তামিম ইকবাল বলেন, ‘আমাকে বলতেই হবে শান্তকে নিয়ে ওপেন করা এটা লিটনের চমৎকার পরামর্শ ছিল। আমাদের ফিল্ডিংয়ের শেষ দিকে সে এসে আমাকে বলল, ভাই যদি আপনারা দুজন ওপেন করেন কেমন হয়?’ কারণ ওদের মূল অস্ত্র বাঁহাতি দুই স্পিনার। আমার মনে হয়, তার ভাবনাটা দরুণ ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘বল অনেক স্পিন করছিল। আমি আর শান্ত যখন ব্যটিং করতে গেলাম আমরা বলছি যে যদি রান নাও হয় সমস্যা নেই। ওদের ওভারগুলোও যদি শেষ হয়ে যায় তারপরও ৩০ ওভার থাকবে। আলহামদুলিল্লাহ আমরা ভালো জুটি গড়েছি। ৪৮ রান এসেছে। ৪৮ সংখ্যাটা দেখতে ছোট লাগেই কিন্তু এই উইকেটে এটি শতরানের জুটির মতোই।'
এমপি/এসআইএইচ