'খেলোয়াড়রা ইনজুরিতে পড়বে, ছুটি নেবে'
বাংলাদেশ দলে পঞ্চপাণ্ডবের যুগ এখন আর নেই। মাশরাফি বিন মর্তুজার না খেলার মাধ্যমে এই ‘বিশেষণ’ এর অবসান হয়েছে। এখন আছে চার পাণ্ডব। কিন্তু এই চার পাণ্ডব যেন থেকেও নেই। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন। তাকে পাওয়া যায় দুই ফরম্যাটে। তাই চারজনকে এখন একসঙ্গে কোনো ম্যাচে পাওয়া বিশাল এক ব্যাপার।
এবারের উইন্ডিজ সফরের কথাই ধরা যাক। পবিত্র হজ পালনের জন্য মুশফিকুর রহিম সফর শুরুর আগে থেকেই নেই। উইন্ডিজ সফরে আছেন তাই তিন পাণ্ডব। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনজন তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে দেখা গেছে দুই পাণ্ডব অধিনায়ক সাকিবের সঙ্গে তামিমকে। মাহমুদউল্লাহ তো টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে তামিমের ছয় মাসের ছুটির কারণে সেখানেও ছিলেন দুই পাণ্ডব অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে সাকিব। এই দুই ফরম্যাটের খেলা শেষ হয়েছে। এখন বাকি আছে ওয়ানডে সিরিজ। শুরু হবে আগামীকাল। কিন্তু এখানেও তিন পাণ্ডব থেকেও নেই। সাকিব ওয়ানডে সিরিজ খেলবেন না বলে ছুটি নিয়েছেন। তাই এই ফরম্যাটে দেখা যাবে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহকে।
সাকিবের না খেলা নিয়ে তামিম বলেন, ‘খেলোয়াড়রা ইনজুরিতে পড়বে, ছুটি নেবে। যে স্কোয়াড আছে সেখান থেকেই আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে সেরা একাদশ। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করছি। আমার কাছে সেরা যে অপশনগুলো আছে, ওটা নিয়ে আমরা যতটুকু সম্ভব ভালো একটা দল গড়তে পারি।’
সাকিব না খেলায় সেখানে হয়তো কেউ না কেউ খেলবেন। কিন্তু তাতে কী সাকিবের শূন্যস্থান পূরণ হবে? জবাবে তামিম বলেন, ‘বাংলাদেশে খুব বেশি প্রোপার অলরাউন্ডার নেই। এ কারণেই হয়তো বারবার আমাকে একই প্রশ্নের (সাকিবের ব্যাপারে) উত্তর দিতে হয়। আপনাদেরও একই প্রশ্ন করতে হয়। আমাদের যদি ২-৩ জন অলরাউন্ডার থাকত যারা ৫০-৫০ বা ৬০-৪০ তাহলে এই প্রশ্নগুলো উঠত না।’
তামিম মনে করেন যারাই খেলতে নামবেন, তারা দেশের হয়েই প্রতিনিধিত্ব করবেন। তারা জানেন তাদের দায়িত্ব কী? এখানে নতুন করে অনুপ্রাণিত করার কিছু নেই বলে মনে করেন তামিম। তিনি বলেন, ‘হার আনন্দের কিছু না এটা আমরা সবাই জানি। আমরা সবাই এই সিরিজ জিততে চাই। সবাই মুখিয়ে আছে। আমি গিয়ে সবাইকে প্রেরণা দেওয়ার দরকার পড়ছে না। কারণ সবাই দেশের হয়ে খেলছে। এর চেয়ে বেশি প্রেরণার দরকার আছে বলে মনে হয় না। এরপরও কারও সঙ্গে আলাদা করে কথা বলার দরকার হলে অবশ্যই বলব। ওয়ানডেতে আমরা ভালো করতে চাই। যতই কথা বলি না কেন, মাঠে ভালো খেলতে হবে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
এমপি/এসজি/