‘তামিম টি-টোয়েন্টি খেলবেন কি না এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ’
ফাইল ছবি
একদিকে ২২ গজে বাংলাদেশের অবস্থা খুবই নাজুক। বিশেষ করে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। টেস্টে ও টি-টোয়েন্টিতে বাজে খেলার কারণে চারদিক থেকে সমালোচনার ঝড় উঠছে। এর মধ্যে আবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেলছেন না তামিম ইকবাল। সেটাও এক-দুদিন নয়, সেই ২০২০ সালের ৯ মার্চ খেলেছিলেন সর্বশেষ ম্যাচ। এরপর ইনজুরির কারণে ছিলেন দলের বাইরে। কিন্তু ইনজুরিমুক্ত হলেও তিনি কিছুটা অভিমানে নিজেকে এই ফরম্যাটে খেলা থেকে দূরে রেখেছেন। এরপর চলতি বছর বিপিএলে ২৭ জানুয়ারি তিনি পরবর্তী ছয় মাসের জন্য শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে ছুটি নেন। তার সেই ছুটির মেয়াদ শেষ হবে চলতি মাসের ২৭ তারিখ। কিন্তু ছুটি শেষ হলেই যে তামিম আবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফিরে আসবেন তা কিন্তু নয়। এরপর তিনি তার নিজের সিদ্ধান্ত জানাবেন। কিন্তু এ নিয়ে বিসিবি তামিমের উপর খুব একটা সন্তুষ্ট নয়। তামিমকে ফেরানোর জন্য তারা বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তামিম নিজের সিদ্ধান্তে ছিলেন অনঢ়। তাই তারা আগ বাড়িয়ে তামিমকে কোনো কিছু বলবে না।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) মিরপুরে ক্রিকেট অপরেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘তামিমই সেটা জানাবে, অপেক্ষা করুন। হয়তো এই সিরিজের পর বা জুলাই শেষে। জুলাই পর্যন্ত সময় নিয়েছে, আগস্টে জানানোর কথা। জুলাইয়ের শেষ বা আগস্টের প্রথম দিকে হয়তো জানিয়ে দিবে। আমাদের কোনো রিমাইন্ডার নেই। তার সঙ্গে অনেক মিটিং হয়েছে। মনে করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। তামিমই বলবে, তামিমই জানানোর কথা।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সময় ভালো না গেলেও অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই চলছে সব প্রস্তুতি। উইন্ডিজ সফর শেষে জিম্বাবুয়েতে খেলবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এ সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও আছে। এরপর আছে এশিয়া কাপ ও নিউ জিল্যান্ড সফরে তিন জাতির টি-টোয়েন্টি আসরও। এরপর বিশ্বকাপ। কিন্তু তামিম ইকবাল এখনো ছুটিতে এবং ছুটি শেষে সিদ্ধান্ত কি আসে সেটাও অজানা। যে কারণে বিসিবি তাকে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা করতে পারছে না।
এ নিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘বিশ্বকাপে খেলবে কি না সেটা তো তামিম বলেনি এখনও। এভেইলেবল কি না তা তো আমাদেরও বলেনি। বিশ্বকাপ তো পরে, তামিম টি-টোয়েন্টি খেলবে কি না এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তো ইতিবাচক ছিলাম সবসময়। আমরা তো তাকে চাচ্ছিলাম। সিদ্ধান্ত তার কাছে, আমাদের কাছে না।’
এমপি/এসজি/