মোস্তাফিজ শিখছেন এখনও!
মোস্তাফিজ এখন নিজের ছায়া! ২০১৫ সাল ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে তার আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে পথ চলা শুরু। সেই ম্যাচে পাকিস্তানের বিশ্বসেরা ব্যাটারদের তার বলে রান করতে সংগ্রাম করতে হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে তুলে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তিনি ছিলেন আরও দুর্বার।
পাকিস্তানের চেয়েও বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানদের নিয়ে গড়া ভারতের ব্যাটিং লাইন ধসে পড়েছিল মোস্তাফিজের তোপে পড়ে। কিন্তু সেই মোস্তাফিজ এখন নিজেকে খোঁজে ফিরছেন। তার বলে ধার নেই। বিষাক্ত সেই কাটার নেই। ব্যাটাররা অনায়েসে তার বল মোকাবিলা করে রান সংগ্রহ করেন। ম্যচের পর ম্যাচ থাকছেন উইকেট শূন্য। বাড়ছে ওভার প্রতি রান দেওয়ার গড়ও। তার এ রকম বাজে খেলা বজায় ছিল সর্বশেষ ডোমিনিকাতে উইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও। যেখানে তিনি ৪ ওভার বোলিং করে ছিলেন উইকেট শূন্য। রান দিয়েছিলেন ৩৭। কিন্তু মোস্তাফিজ মনে করেন না তিনি আগের মতো নেই। গায়ানা থেকে বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় মোস্তাফিজ বলেন, ‘আপনারা না পেতে পারেন (আগের মোস্তাফিজকে না পাওয়া)। আমি তো মনে করি অপারেশনের পর আমার এক-দেড় বছর ভালো পারফরম্যান্স ছিল না। এরপর তো আমি মনে করি...তবে শেখার শেষ নেই। প্রতিদিনই শেখা যায়। আমিও চেষ্টা করছি আরও উন্নতি করতে— যেন বিশ্বের অন্য ভালো বোলারদের মতো কীভাবে হওয়া যায়। ফিটনেসে উন্নতি আনা বলেন, কোচদের পরামর্শ নেওয়া বলেন, আমি শিখছি এখনও।’
তিনি আরেকটু গভীরে গিয়ে বলেন, ‘এশিয়ার উইকেট একরকম। এশিয়ার বাইরের উইকেট আরেকরকম। এশিয়ার বাইরে ট্রু উইকেট থাকে। এটা কারণ হতে পারে। আমি চেষ্টা করি আমার সেরাটা দেওয়ার। এশিয়ার মধ্যে দেখবেন অন্য দলের ১৫০ রান করতেও কষ্ট হয়। আর এশিয়ার বাইরে দেখবেন ২০০ রানও নিরাপদ না। এ কারণে আপনার ইকোনমি বাড়তে পারে। আমার যেটা মনে হয়।'
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশের সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচ। জিততে না পারলে সিরিজ রেখে আসতে হবে। আগের ম্যাচে মোস্তাফিজসহ বাকি দুই পেসার তাসকিন এবং শরিফুলও ভালো বোলিং করতে পারেননি। কালকের ম্যাচে কিভাবে আরও ভালো বোলিং করা যায় তা নিয়ে পেস বোলিং কোচ ডোনাল্ডের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে জানিয়ে মোস্তাফিজ বলেন, ‘যেভাবে আমরা বোলিং করেছি, আরও কী করলে ভালো করতে পারব, এটা নিয়ে কথা বলেছি।’
এমপি/আরএ/