অস্ট্রেলিয়ার শ্রীলঙ্কা সফর এশিয়া কাপ আয়োজনের সবুজ সংকেত
এশিয়া কাপের ১৫তম আসরে আয়োজনে একটার পর একটা বাধা যেন লেগেই আছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এই আসরের ভেন্যু ছিল পাকিস্তান। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত করা হয়। পরে নতুন করে তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২০২১ সালের জুন মাসে। ভেন্যু পরিবর্তন করে নেওয়া হয় শ্রীলঙ্কাতে। এ সময় পাকিস্তান আবার আয়োজন করতে চাইলে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল গত বছরের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কাকেই ১৫তম আসরের ভেন্যু ঠিক রেখে ২০২৩ সালে ১৬তম আসর আয়োজনের ভেন্যু করে পাকিস্তানকে। সমাধান হলেও কিন্তু সমস্যা এখানেই শেষ হয়ে যায়নি। নতুন করে সমস্যা দেখা দেয় আয়োজক শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সরকার পরিবর্তন হয়। দেশের অর্থনীতিতে মন্দা অবস্থা বিরাজ করে। এ রকম অবস্থায় শ্রীলঙ্কার পক্ষে আসর আয়োজন করা আবার কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডে হাল ছাড়তে রাজি ছিল না। তারা সময় চায়। এসিসিও মেনে নেয়। যে কারণে বাংলাদেশ বা ইউএই বিকল্প ভেন্যু হওয়ার যে গুঞ্জন ছিল তা গুঞ্জনই থেকে যায়। এখন নির্ধারিত সময়েই এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে।
শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। অস্ট্রেলিয়ার মতো দল শ্রীলঙ্কা সফর করছে। অস্ট্রেলিয়ার এই সফরই এশিয়া কাপ নির্ধারিত সময়ে আয়োজনের একটি সবুজ সংকেত বলে মনে করেন বিসিবির প্রধান নির্বাহি নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। আজ তিনি মিরপুরে সাংবাদিকদের বলেন, 'এখন পর্যন্ত যা জানি- শ্রীলঙ্কাই আয়োজন করছে। ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া শ্রীলঙ্কা সফর করেছে। তাদের হোস্টিংয়ের চ্যালেঞ্জ হয়ত কাটিয়ে উঠেছে। আমরা আশা করছি নির্ধারিত সময়েই এশিয়া কাপ হবে।'
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ সব সময় তাদের সেরা দলই পাঠিয়ে থাকে। অন্যদলগুলোও তাই করে। মাঝে মাঝে অবশ্য ভারত তাদের সেরা দল পাঠায় না। এটা এশিয়ান ক্রিকটে কাউন্সিলের (এসিসি) বিষয় জানিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, 'বাংলাদেশের সাথে ভারত-পাকিস্তানের মত হাই প্রোফাইল দলগুলোও যাবে। তাই আমাদের চেয়ে এসিসিই এটা নিয়ে বেশি ভাবছে। আশা করি বিষয়টা তারা সেভাবেই সামাল দিবে।'
এমপি/এএস