সমুদ্র থেকে রক্ষা পেলেও গায়ানাতে হার এড়াতে পারবে তো বাংলাদেশ?
উইন্ডিজের এক একটি দ্বীপ রাষ্ট্রে বাংলাদেশের ক্রিকেটার যাচ্ছেন, ছাড়ছেন তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে। শুরুটা অ্যান্টিগা থেকে। এরপর সেন্ট লুসিয়া। হারের রাজ্যে হারিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই টেস্টেই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। পরের যাত্রা ছিল ডোমিনিকা। কিন্তু এখানকার অভিজ্ঞতা ছিল আরও ভয়াবহ। সেন্ট লুসিয়া থেকে ফেরিতে করে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে যেতে হয়েছিল ডোমিনিকায়। এই ফেরি যাত্রা ছিল ভয়াবহ। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে কয়েক ফুট উচ্চতার ঢেউ হজম করতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান, শরিফুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন। বমি করতে করতে কাহিল হয়ে পড়েছিলেন। একপর্যায়ে মার্টিনেকে যাত্রা বিরতেতে বাকি পথ যেতে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন। বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়ায় অগত্যা তাদের সেই ভয়ংকর ঢেউয়ের মুখোমুখি হয়েই যেতে হয়েছিল ডোমিনিকায়। কিন্তু ডোমিনিকায় ৫ বছর পর ফেরা আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ নিজেদের বিপর্যয় কাটাতে পারেনি। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বৃষ্টি এসে বাঁচিয়ে দিলেও পরের ম্যাচে আর বাঁচতে পারেনি উইন্ডিজের কাছ থেকে। হেরেছিল ৩৫ রানে। এবার গায়ানা। কী অপেক্ষা করছে সেখানে? জানা যাবে ৭ জুলাই সিরিজের শেষ ম্যাচে।
ডোমিনিকা থেকে বাংলাদেশ দল আজ (সোমবার) বিমানযোগে গায়ানা গিয়ে পৌঁছেছে। বিমানে যাওয়ায় এবার আর তাদের তাড়া করেনি সমুদ্রের ঢেউ। বাংলাদেশ দল সমুদ্রের ঢেউ থেকে রক্ষা পেলেও উইন্ডিজের কাছে হার থেকে কি নিজেদের রক্ষা করতে পারবে? উইন্ডিজের সামনে সিরিজ জয়ের হাতছানি, বাংলাদেশের সামনে সিরিজ বাঁচানোর।
টেস্টে ক্রিকেটে যে ব্যাটিং ব্যর্থতার সাগরেব হাবুডুবু খেলেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা, সেই একই দৃশ্য ছিল টি-টোয়েন্টির দুই ম্যাচেই। বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ম্যাচে ১৩ ওভারে ৮ উইকেটে মাত্র ১০৫ রান করার পর আর খেলা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। পরের ম্যাচে উইন্ডিজের ৫ উইকেটে ১৯৩ রানের জবাবে বাংলাদেশ করেছিল ৬ উইকেটে ১৫৮ রান। দুই ম্যাচেই সর্বোচ্চ রান এসেছিল সাকিবের ব্যাট থেকে যথাক্রমে ২৯ ও অপরাজিত ৬৮। সাকিব ছাড়া প্রথম ম্যাচে নুরুল হাসান সোহান ২৫ ও দ্বিতীয় ম্যাচে আফিফ হোসেন ৩৪ রান করেন। বাকিরা ছিলেন ব্যর্থ। বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতার মূলেই রয়েছে এই ব্যাটিং ব্যর্থতা। এখান থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে গায়ানাতেও ভাঙা সম্ভব হবে না হারের বৃত্ত।
এমপি/এসজি/