বাংলাদেশের অস্বস্তির দ্বিতীয় সেশন
বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের সুখ যেন ক্ষনস্থায়ী। সাফল্য যেমন ধারাবাহিকভাবে আসে না। হঠাৎ করে আসে এক একটি জয়। তারপর আবার সেই ব্যর্থতার চোরাবালিতে হাবুডুবু। তেমনি ম্যাচেও। অ্যান্টিগা টেস্টের ভয়াবহ স্মৃতি ভুলে সেন্ট লুসিয়া টেস্টে ভালো করার প্রত্যয় ছিল। সেই প্রত্যয় বাস্তবায়নে দিনের প্রথম সেশন বাংলাদেশ স্বস্তিতেই পার করে দিয়েছিল দুই উইকেটে ৭৭ রান করে। কিন্তু সেই সুখ ছিল খুবই ক্ষনস্থায়ী। দ্বিতীয় সেশনেই বাংলাদেশ ফিরে আসে নিজেদের চিরচেনা রূপে। হারিয়ে বসে চার উইকেট। রান যোগ করে প্রথম সেশনের মতো ৮২। চা বিরতিতে গিয়েছে ছয় উইকেট হারিয়ে রান ১৫৯।
সেন্ট লুসিয়া টেস্ট শুরুর আগে অধিনায়ক সাকিবের ভাবনার কারণ ছিল প্রথম সেশন। যে কারণে তিনি মনে চেয়েছিলেন টস জিতে ফিল্ডিং নিতে। যাতে করে ওযেস্ট ইন্ডিজের পেসব্যাটারির সামনে পড়ে নাকানি-চুবানি খেতে নেয় মনোবল তলানিতে থাকা দলের ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু সাকিব টস জিততে না পারায় তার সে পরিকল্পনা আর বাস্তবায়ন হয়নি। কিন্তু তার ভাবনা দূর করে দিয়েছিলেন দুই ওপেনারসহ টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। দুই ওপেনার মাহমুদুল (১০) ও তামিম ইকবালের (৪৬) উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ স্বস্তিতেই লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল। কিন্তু বিধিবাম। চা বিরতির পর সেখানে নেমে আসে আকাশ কালো করে মেঘ। যে মেঘ বৃষ্টিতে পরিণত হয়ে ভাসিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান নাজমুল (২৬), এনামুল (২৩), সাকিব (৮) ও নুরুল হাসান সোহানকে (৭)। লিটন দাস ৩৪ মেহেদি হাসান মিরাজ ৫ রানে ব্যাট করছেন।
দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের মড়ক লেগে ৩৩ রানে হারায় এই চার উইকেট। নতুবা লাঞ্চ বিরতির পর দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ফর্মের সঙ্গে লড়াই করা নাজমুল হোসেন শান্ত ও আট বছর আবার সাদা পোষাকের ক্রিকেটে ফেরা এনামুল হক বিজয় বেশ ভালোই এগুচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে দলের রান ছিল দুই উইকেটে ১০৫। কিন্তু এই রানেই পরপর দুই ওভারে দুই ব্যাটসম্যান বিদায় নিলে বাংলাদেশের ভালো অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যায়। সেই নড়বড়ে অবস্থা থেকে পায়ের নিচের মাটি সরে যায় সাকিব ও নুরুল হাসান দুই অংকের ঘরে যাওয়ার আগেই বিদায় নিলে। ফলে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ছয় উইকেটে ১৩৮। এনামুল ও নাজমুল দুই জনেই এলবিডব্লিউর শিকার হন। এনামুল অভিষিক্ত ফিলিপের দ্বিতীয় শিকার হন। নাজমুল হন মায়ার্সের শিকার। জুটিতে তারা যোগ করেন ৩৭ রান। এনামুল ২৩ ও নাজমুল ২৬ রান করেন। সাকিব ৮ রান করেন সিলসের বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন। নুরুল হাসান সোহান ৭ রান করে জোসেফের বাউন্সারে পরাজিত হয়ে উইকেটের পেছনে ডি সিলভার হাতে ক্যাচ দেন।
এমপি/এএস