টস হেরে ফের ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
দেশে চলছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ। সর্বত্রই একটা উৎসব উৎসব আমেজ। রাত পোহালেই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। কিন্তু এ রকম উৎসব মুখর পরিবেশ নেই উইন্ডিজে সফরে থাকা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মাঝে। সেখানে সর্বত্রই হতাশা বিরাজমান। হারে হারে পিষ্ট। একটি জয়ই বদলে দিতে পারে হতাশার এই চিত্র। কিন্তু হারতে হারতে মনোবল তলানিতে গিয়ে ঠেকা সাকিব বাহিনীর জন্য তা এক কঠিন কাজ। দলের যা অবস্থা, তাতে করে জয়ের পরিবর্তে ড্র করতে পারলেও তা হবে অনেক বড় পাওয়া। আর তাও যদি সম্ভব না হয়, তাহলে কি আর করা? হারকে মেনে নিতেই হবে। আবার এখানেও পাওয়ার কিছু আছে। হারটা যদি হয় লড়াই করে। তার জন্য সৈয়দ শামসুল হকের ‘নুরুলদীনের সারাজীবন’ নাটকের সেই বিখ্যাত সংলাপ ‘জাগো বাহে কোনঠে সবায়’ মতো জেগে উঠতে হবে।
কী করবে সাকিব বাহিনী- এমন প্রশ্নের জবাব দিতে সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে টস করতে নেমে আবারও জিততে পারেননি সাাকিব। বাধ্য হয়ে উইন্ডিজ পেসারদের গোলার সামনে যেতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। কিছুটা আক্ষেপ নিয়ে বলেছেন টস জিতলে তিনিও বোলিং বেছে নিতেন। কিন্তু কী আর করা? এখন উইন্ডিজ পেসারদের গোলাই সামাল দিতে হবে ব্যাটসম্যানদের। সেরা একাদশে দুইটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ মুমিনুল হকের পরিবর্তে এনামুল হক বিজয় ও মোস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে শরিফুল ইসলামকে দলে নেওয়া হয়েছে।
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দুই টেস্টের সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছিল সাত উইকেটে। উভয় ইনিংসে বাংলাদেশের চরম ব্যাটিং ভরাডুবি হয়েছিল। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১০৩ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রানে অলআউট হয়েছিল। আট ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট ১৬। এক ম্যাচ কম খেলে উইন্ডিজের পয়েন্ট ৩০। আট ম্যাচে সবার উপরে আছে অস্ট্রেলিয়া।
এমপি/এএস