সিরিজ জয়ের প্রত্যাশায় উইন্ডিজের পথে মাহমুদউল্লাহরা
টেস্ট ক্রিকেটে যেখানে বাংলাদেশ উইন্ডিজের সঙ্গে পাত্তাই পাচ্ছে না, সেখানে রঙিন পোষাকে সমানে সমান। ওয়ানেডতে বাংলাদেশের ১৮ জয়ের বিপরীতে হার ২১টিতে। সর্বশেষ আট ম্যাচেই বাংলাদেশের জয়। ট-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই ব্যবধান আরও কম। বাংলাদেশের পাঁচ জয়ের বিপরীতে হার সাতটিতে। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশ দুইটিতে জিতে হেরেছে পাঁচটিতে।
টেস্ট সিরিজ জেতা আর সম্ভব হচ্ছে না। সেন্ট লুসিয়া টেস্ট জিততে পারলে সিরিজ ড্র করা সম্ভব হবে। অন্য যে কোনো ফলাফল বাংলাদেশের সিরিজ হার কেউ ঠেকাতে পারবে না। কিন্তু সাদা পোষাকে যাই হোক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্ব পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ দল শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে উইন্ডিজের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছে।
দলের অপর চার সদস্য হলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব, শেখ মেহেদি হাসান, মুনিম শাহরিয়ার ও নাসুম আহমেদ। দলের আরেক সদস্য তাসকিন আহমেদ তিন ম্যাচ করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এবারও একইভাবে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। টেস্ট সিরিজি জেতা হাতছাড়া হলেও মাহমুদউল্লাহ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে চান।
আজ সকালে হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের টার্গেট সিরিজ জয়। ইনশাআল্লাহ আমরা ভালো ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করব। এই মুহূর্তে আমাদের টিমের ব্যালেন্স খুব ভালো আছে। এটা ভালো একটা সিরিজ হবে।’
২০১৮ সালে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল সাকিবের নেতৃত্বে। সেবার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। যুক্তরাষ্ট্রে সেবারই বাংলাদেশ প্রথম খেলেছিল। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলকে পেয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দের শেষ ছিল না। মাঠ ভর্তি হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশি সমর্থকদের উপস্থিতিতে। এবার নেতৃত্বে মাহমুদউল্লাহ। প্রথম ম্যাচ হেরেও পরের দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এবারও সিরিজ জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করলেও মাহমুদউল্লাহ স্বাগতিকদের শক্তিশালী দল হিসেবে উল্লেখ করে চ্যালেঞ্জ থাকবে বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘তারা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে খুব ভালো দল। আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। ওদের কন্ডিশনে খেলা। অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জ থাকবে। কিন্তু শেষবার যখন গিয়েছি, ভালো ক্রিকেট খেলে সিরিজ জিতেছি। ইনশাআল্লাহ এবারও চেষ্টা করবো সিরিজ জেতার।’
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে ২, ৩ ও ৭ জুলাই।
এমপি/এমএমএ/