সাকিবের আরেকটি কীর্তি
সাকিব আল হাসান এমনই। অন্যরা যেখানে কঠোর অনুশীলন করে নিজেদের প্রস্তুত করে তুলেন, সেখানে তিনি বেখেয়ালি। অনুশীলন কমই করে থাকেন। করোনা থেকে মুক্ত হয়ে সরাসরি খেলতে নেমে যান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ব্যাটিং কিছু সময় অনুশীলন করলেও বোলিং অনুশীলন করেনই নি। তারপরও ব্যাট হাতে ২৬ আর বল হাতে দুই ইনিংসে তিন ও এক চার উইকেট নিয়েছিলেন। এবার উইন্ডিজ সফরে দল যখন আগেই চলে গিয়েছে, সাকিব তখন ছুটি কাটাতে যুক্তরাষ্ট্রে। যে কারণে তার খেলা হয়নি তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। এ নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তার জবাব ছিল আত্মবিশ্বাসী। ব্যাটিং নিয়ে তিনি কখনো সেভাবে ভাবেন না তার প্রতিচ্ছবি দেখা গেল অ্যান্টিগা টেস্টে। উভয় ইনিংসে হাঁকিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। উভয় ক্ষেত্রেই দলের চরম বিপর্যয়। প্রথম ইনিংসে ৪১ রানে চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর খেলতে নেমে তিনি ৫১ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রানে চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দলের সামনে হারের চোখ রাঙ্গানি থাকা অবস্থায় তিনি করেন ৬৩ রান।
উভয় ইনিংসে ফিফটি বা ততোর্ধ রানের ইনিংস খেলা সাকিবের জন্য নতুন কিছু নয়। এটি ছিল ৬২ টেস্টের ক্যারিয়ারের চতুর্থবার। আর উইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয়বার। প্রথম তিনি উভয় ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস হাঁকিয়েছিলেন ২০১০ সালে হ্যামিলটনে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৭ ও ১০০ রানের ইনিংস খেলে। সাকিবের এ রকম দুইটি ইনিংসের পরও বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ৪০৮ ও ২৮২ রানে। বাংলাদেশ হেরেছিল ১২১ রানে।
সাকিবের পরেরগুলো ছিল শুধুই হাফ সেঞ্চুরির। দ্বিতীয়টি ছিল ২০১১ সালে এই উইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুরে প্রথম ইনিংসে ৭৩ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৫৫ রান। উভয় ইনিংসে বাংলাদেশের রান ছিল যথাক্রমে ২৩২ ও ২৭৮। ম্যাচে উইন্ডিজ জিতেছিল ২১৯ রানে।
সাকিব তৃতীয়বার এই কীর্তি গড়েন ২০১৭ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে। তিনি করেছিলেন ৮১ ও ৫৯ রান। বাংলাদেশের রান ছিল ৩৯১ ও ২৯১/৯ (ডি.)। বাংলাদেশ জিতেছিল ১৪৩ রানে। এরপর তিনি আজ আবার করলেন দলের ক্রান্তিকালে। তার এমন দুইটি ইনিংস দলের হার এড়াতে পারবে কি না তা বলা যাচ্ছে না। তবে প্রথম ইনিংসে তার ৫১ রান বাংলাদেশ দলের সম্ভ্রম রক্ষা করেছে আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৩ রান বাংলাদেশকে কিছুটা লড়াই করার মতো অবস্থায় নিয়ে গেছে।
এমপি/এএস