বাংলাদেশের বোলারদের পরিশ্রান্ত করে চলেছেন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা
বলের পর, ওভারে পর ওভার বাংলদেশের বোলারর বোলিং করে যাচ্ছেন। কিন্তু পিচে থাকা স্বাগতিক উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা নাছোড় বান্দা। বল ছেড়েই চলেছেন। রান করার দিকে খুব একটা মনযোগী নয়। দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ছিল তাদের ইনিংসের শুরুর মতো। ইনিংসের শুরুতে তারা প্রথম পাঁচ ওভারে কোনো রানই নেননি। আজ দ্বিতীয় দিনের প্রথম ওভারের তিনটিই মেডেন। রান আসে দুইটি। চরম ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা। কোনো লোভই তাদের প্রলুব্ধ করতে পারছে না। তাদের এমন চরম রক্ষণশীল মনোভাবের কারণে বাংলাদেশ পেস আর স্পিন আক্রমণের সৈনিকদের দূর্বল করে তুলতে থাকেন। পরিশ্রান্ত করে তুলেন। প্রথম ঘন্টায় তারা সংগ্রহ করে ১৪ ওভারে মাত্র ৩৮। আর প্রথম সেশনে ৩১ ওভারে যোগ করে ৬৫ রান। তাদের রান তিন উইকেটে ১৫৯। ব্রেথওয়েট ২৩৯ নক খেলে ৭৫ ও ব্লাকউড ৪৮ বলে ৯ রানে অপরাজিত। এ সময় বাংলাদেশ একটি উইকেট তুলে নেয় বোনারের। শিকার ধরেন কাপ্তান সাকিব।
আগের দিন নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং দেখে কাপ্তান সাকিব আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন। টার্গেট করেছিলেন স্বাগতিকদের আড়াইশ রানের মাঝে আটকে রাখার। কিন্তু তার মনোভাব জেনে স্বাগতিকরা আরও নিজেদের খাচায় বন্দি করে ফেলেন। যে কারণে উইকেট পেতে বাংলাদেশের বোলারদের পরিশ্রম বেড়ে যায়।
উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য্য পরীক্ষায় বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ধৈর্য্য চ্যুতি ঘটে! তাইতো দেখা যায় নিশ্চিত আউট হওয়ার পরও আম্পায়ার আউট না দিলে বাংলাদেশ রিভিউ নেয়নি। এবাদতের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় পরিস্কার আউট ছিলেন বোনার। আবার এই বোনারেরই নিশ্চিত ক্যাচ নাজমুল হোসেন শান্ত স্লিপে দাঁড়িয়ে ধরার কোনো চেষ্টাই করেননি। এভাবেই হতাশার একটি শেসন পার করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য্য চ্যুতির কাজটি সুনিপুনভাবে করেছেন উইন্ডিজের কাপ্তান ব্রেথওয়েট। তিনি ২৬তম হাফ সেঞ্চুরি করতে বল খেলেন ১৭৪টি। তার সঙ্গে বোনারও কম যাননি। ৩৩ রান করে সাকিবের বলে বোল্ড হওয়ার আগে বল খেলেন ৯৬টি। দুই জনে মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬২ রান যোগ করেন ২৯.১ ওভারে। তারা পঞ্চাশ রান করেন ২৫.১ ওভারে। দলীয় শতরান আসে ৫৪.১ ওভারে। বোনার আউট হওয়ার পর জারমেইন ব্লাকউড আসার পরও একইভাবে খেলছেন।
এমপি/এএস