বাংলাদেশে পেসে বোলিংয়ে বিপ্লব চলছে
বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণে এখন বিপ্লব চলছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় দলে খেলা পেসার আল আমিন হোসেন। বাংলাদেশ টাইগার্স ক্যাম্পের অনুশীলন শেষে মিরপুরে আজ তিনি বলেন, ‘এখন বাংলাদেশে পেস বোলিং বিপ্লব চলছে। ৩/৪টা করে পেস বোলার খেলে। যারা বাইরে আছে তারাও খুব ভালো করছে।’
জাতীয় দলে আল আমিনের পথ চলা শুরু হয় ২০১৩ সালে। শুরুটা ক্রিকেটের আভিজাত্য টেস্ট ম্যাচ দিয়ে। প্রতিপক্ষ ছিল নিউ জিল্যান্ড। মিরপুরে সেই ম্যাচে আল আমিন ১৬ ওভার বোলিং করে ৫৮ রান দিয়ে তিনি পেয়েছিলেন কোরি অ্যান্ডারসনের। একই বছর মিরপুরেই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তার টি-টেয়েন্টি ম্যাচেও অভিষেক হয়। ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। দুইটি উইকেটই পেয়েছিলেন একই ওভারে।
এবারও তার দুই শিকারের একজন ছিলেন টেস্টের শিকার কোরি অ্যান্ডারসন। অপরজন ছিলেন লুক রঞ্চি। ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনি প্রথম খেলেন পরের বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুরে। ৮ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে তিনি উইকেট পেয়েছিলেন শুধু কুমার সাঙ্গাকারার। সেই আল আমিন কিন্তু নিজেকে নিয়মিত করতে পারেননি জাতীয় দলে। ইনজুরি, ফর্মহীনতা আর শৃঙ্খলা ভঙ্গ তাকে ছিটকে ফেলে দেয়। যে কারণে তিনি জাতীয় দলে আসা-যাওয়ার মিছিলে শামিল হন। ৯ বছরে ৭ টেস্ট, ১৫ ওডিআই এবং ৩১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। নামের পাশে উইকেটও খুব বেশি নয়। টেস্টে ৯টি, ওডিআইতে ২২টি এবং টি-টোয়েন্টিতে ৪৩টি। সর্বশেষ আর্ন্তজাতিক ম্যাচ খেলেছেন মিরপুরে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে উইকেট পেয়েছিলেন দুইটি।
আল আমিন বর্তমান আছেন বাংলাদেশ টাইগার্স ক্যাম্পে। যে ক্যাম্পকে মনে করছেন তার মতো অবস্থানে থাকা ক্রিকেটারদের জন্য খুবই ভালো একটা উদ্যোগ। জানিয়েছেন সাদুবাদ। দিয়েছেন বিসিবিকে ধন্যবাদ। নিজেদের ভুল-ত্রুটি নিয়ে কাজ করতে পারছেন। জাতীয় দলের ফেলার স্বপ্নও দেখছেন।
আল আমিন বলেন, ‘খুব ভালো একটা প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা হয়েছে, ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা যারা জাতীয় দলের সঙ্গে সংযুক্ত নেই তাদেরকে নিয়ে ক্যাম্পে স্থানীয় কোচ তালহা ভাই, নাজমুল ভাইরা খুব ভালো কাজ করছেন। অনেক দিন ধরে হয়ত আমরা খেলছি কিন্তু নিজেদের ভুলভ্রান্তি ধরতে পারছিলাম না। এখানে ভিডিও হচ্ছে, যার যে সমস্যা সেটা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কাজ হচ্ছে।’
জাতীয় দলে ফেরার প্রসঙ্গে তিনি নিজেকে অভিষেকের আগের পর্যায়ে ভাবছেন। যখন জাতীয় দলে সুযোগ করে নেয়ার জন্য নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিতেন।
তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট খেলতে হলে জাতীয় দলের মত জাতীয় দলের বাইরেও খেলতে হবে। এটাই আসলে জীবন। যখন জাতীয় দলে খেলিনি, তখন তো বাইরে পারফর্ম করেই দলে ঢুকেছি। ইনজুরির কারণে জাতীয় দলে ছিলাম না। চেষ্টা করছি পারফর্ম করে কীভাবে আবার কামব্যাক করা যায়।সামনে ‘এ’ দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর আছে। এখন এটা নিয়ে চিন্তা করছি না। স্কিল ক্যাম্পের পর প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। নির্বাচকরা সুযোগ দিলে চিন্তা করা যাবে।’
জাতীয় দল বর্তমানে উইন্ডিজ অবস্থান করেছে। পেস বোলিংয়ে বাংলাদেশের বিপ্লব ঘটেছে বলেই আমি উইন্ডিজের পেস বোলিংয়ের চেয়ে বাংলাদেশের পেস আক্রমণকে এগিয়ে রেখেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় ওদের পেস বোলিংয়ের চেয়ে আমাদের পেস বোলিং অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে।’
উইন্ডিজ ভালো করতে হলে আল আমিন মনে করেন ব্যাটসম্যানদের রান করতে হবে । তিনি বলেন, ‘দেশের বাইরে চ্যালেঞ্জ সবসময় ব্যাটাসম্যানদের। দক্ষিণ আফ্রিকাতে পেসার- স্পিনাররা ভালোই করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ব্যাটসম্যানরা ভালো করলে ফলাফল আমাদের পক্ষে আসবে।’
এমপি/এমএমএ/