বাহরাইনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ক্যাবরেরার বাংলাদেশের মিশন শুরু
এশিয়া কাপ ফুটবলের বাছাইপর্বে কাল বাংলাদেশের মিশন শুরু হচ্ছে। প্রতিপক্ষ বাহরাইন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এশিয়া কাপ বাছাই শুধু একটি খেলা বাছাইপর্ব পার হয়ে মূল পর্বে খেলার আশা করা শুধুই দুরাশা মাত্র। কারণ বাংলাদেশের গ্রুপে আছে বাহরাইন ছাড়া মালয়েশিয়া ও তুর্কমেনিস্তানের মতো শক্তিশালী দলও।
এ রকম প্রতিপক্ষের খেলা আসরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হবে তিনটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন কর। কারণ এ রকম শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সচরাচর খেলার সুযোগ পায় না বাংলাদেশ। এবার যখন সুযোগ পেয়েছে অভিজ্ঞতা অর্জন করে নেওয়াটাই হবে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বুকেত জলিল ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ‘ই’ গ্রুপে দুই দলের ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা সোয়া তিনটায়।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত বাহরাইনের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলেছে, তাও ৪৩ বছর আগে ১৯৭৯ সালে। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ২-০ গোলে হারলেও লড়াই করেছিল। আর সেসময় বাংলাদেশের ফুটবলও ছিল তুমুল জনপ্রিয়। এখন ফুটবলের সেই সুদিন আর নেই। তাইতো জামাল ভূঁইয়ারা যে খেলতে গিয়েছেন, সে খবর কজনেই রেখেছেন?
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাহারাইনের অবস্থান ৮৯, সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিগুণের বেশি ১৮৮। এই র্যাঙ্কিংই বলে দেয় দুই দলের শক্তির পার্থক্য কতটা আকাশ আর পাতাল। শক্তির এমন বিশাল পার্থক্য নিয়ে বাংলাদেশ জিতবে সেটা আশা করা যায় না। তবে যেহেতু বাংলাদেশ পয়েন্ট আশা করছে, সেই হিসেবে কাল বাহরাইনও হতে পারে শিকার। এখানে বাংলাদেশকে উৎসাহ যোগাচ্ছে এই আসর খেলতে যাওয়ার পূর্বে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ড্র করেছিল। আর সেই ড্র'কে দেখা হয়েছিল জয়ের সমান। এই দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় কালকের ম্যাচে যদি বাংলাদেশ ড্র করে,তখন হয়তো আবারও বলা হবে জয়ের সমান ড্র।
এই ম্যাচ দিয়ে জামাল ভূঁইয়াদের স্প্যানিশ নতুন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার মিশনও শুরু হবে।
এমপি/এসজি/