সীতাকুণ্ডের ঘটনায় তামিম ইকবাল ‘মানুষ মানুষের জন্য’
সমাজ সেবা বা সামাজিক কর্মকাণ্ডে তামিমের জুড়ি মেলা ভার। করোনার সময় ঘরবন্দি মানুষকে একটু মনের খোরাক দিতে তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ শো করেছিলেন। এসেছিলেন বিদেশি তারকা ক্রিকেটারও। আবার নাফিসা নামে এক তরুণীর মাধ্যমে দুর্গত মানুষের দুয়ারে খাবার পৌঁছে দিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
সেই তামিম ইকবালের অন্তর ছুঁয়ে গেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের কারণে। ঘটনার পরপরই তিনি শনিবার দিবাগত রাতেই নিজের ফেসবুকে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সহমর্মিতা জানিয়েছিলেন।
তিনি লিখেছিলেন, ‘চট্টগ্রামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সকলকে অনুরোধ করব চট্টগ্রাম মেডিকেলে অবস্থান করার জন্য। সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা অনেক, প্রচুর পরিমাণ রক্তের প্রয়োজন হচ্ছে। দয়া করে যে যেখানে আছেন সাধ্যের মধ্যে থাকলে এক্ষুণি ছুটে যান। আপনার এক ব্যাগ রক্ত হয়তো বাঁচিয়ে দিতে পারে একটি প্রাণ। আপনার পরিচিত রক্তযোদ্ধা বন্ধুদেরও আসার জন্য অনুরোধ করুন। মানুষ মানুষের জন্য।’
সবার শেষে তিনি লিখেছেন ‘মানুষ মানুষের জন্য।’
এদিকে আজ একটি টেলিকম কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বসেডর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি আবারও নিজের সহমর্মিতা জানিয়ে পাশে থাকার কথা বলেছেন। তামিম ইকবাল বলেন, ‘যা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আহত ও নিহত হয়েছে, তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের সবার দোয়া আছে। বাংলাদেশে মনে হয় এরকম ঘটনা আগেও ঘটেছে। যখনই এরকম কোনো ঘটনা ঘটে আমরা দেশ হিসেবে একসঙ্গে এগিয়ে আসি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটাও একই রকম ঘটনা। আমরা যে যেখানে আছি— ঢাকা বলেন, সিলেট বলেন, খুলনা বলেন- আমরা আমাদের দিক থেকে ছোট-বড় যতোটুকু পারি, যেভাবে পারি, সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসি। এটা গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি তারা সবার কাছ থেকে সবরকমের সহযোগিতা পাবে। আর আমাদের দোয়া তাদের সাথে আছে। আমরাও তাদের পাশে আছি।’
সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন মারা গিয়েছেন।
এমপি/এসএন