নেতৃত্ব না পাওয়া নিয়ে মাথাব্যথা নেই মিরাজের
বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্ব আবার সাকিবকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। সাকিবকে নেতৃত্ব দেয়ার সময় নাম ছিল আরো দুইটি লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজের। লিটনকে সাকিবের ডেপুটি করা হয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দেয়া মিরাজের এ নিয়ে কোনো ভাবাবেগ নেই।
শুক্রবার (৩ জুন) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিএসপিএ বর্ষসেরা ক্রিকেটার ও ক্রীড়াবিদের পুরস্কর জেতার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন , ' ভাই হয়নি বলতে কী? সাকিব ভাই যেখানে আছে, সেখানে কীভাবে কী? সাকিব ভাই তো মনে করেন বাংলাদেশকে অনেক দিন লিড করছে। সাকিব ভাই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। বর্তমানে আমাদের দলের অবস্থা অনুযায়ী আমি মনে করি সাকিব ভাই বেস্ট। আরও যে সিনিয়র আছে, দায়িত্ব নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এখন আস্তে আস্তে খেলছি, তাদের দেখে শিখছি। তাদের দেখে শিখবো, আমাদের এক্সপেরিয়েন্স আরো ভালো হবে। অনেক সময় আছে। এটা নিয়ে আমি চিন্তিত না। যেটা আপনি বললেন, নাম আছে। এটা নিয়ে মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা হলো কীভাবে পারফর্ম করতে হবে, দেশকে কীভাবে ভালো খেলে এগিয়ে নিতে হবে। আমি এটাই চেষ্টা করি সবসময় যে নিজে প্রতিনিয়ত পারফর্ম করার জন্য। যেটা আপনি বলেছেন, কখনও আমার মাথায়ও ঢুকেনি। কারণ নিজের পারফরম্যান্স এবং দল কীভাবে রেজাল্ট করে এটা নিয়েই সবসময় চিন্তা করি।'
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ভরাডুবির পর বাংলাদেশ এবার উইন্ডিজে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে। আজ রাতেই প্রথম বহর চলে যাবে। মিরাজ মনে করেন অন্য সব সিরিজের মতো এই সিরিজও কঠিন হবে। তিন বলেন,'প্রত্যাকরা সিরিজই কিন্তু চ্যালেঞ্জের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আপনি দেশে খেলেন বা বাইরে, প্রতিটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। সব ম্যাচেই অনেক ফোকাস থাকে প্রতিটা খেলোয়াড়ের। দেশে খেললেই যে আমরা জিতে যাবো, এরকম না। ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, ভালো খেলেই আমাদের জিততে হবে। যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজে এর আগেও আমরা খেলেছি, অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষায় আছে।
তিনি বলেন,'যেহেতু তিনটা ফরম্যাটই আছে। শেষ বার টেস্টে আমরা ওরকম ভালো করতে পারিনি, এবার আমরা চেষ্টা করবো যেহেতু সাকিব ভাই আছে, উনি ভালো পারফর্ম করছে। আমাদের ব্যাটসম্যানদের যে ব্যাড প্যাচটা চলছে, আশা করি দ্রুতই সেটা কাটিয়ে উঠবে।'
প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়া মিরাজ এ-ই সফর দিয়ে আবার মাঠে ফিরবেন। নিজের ব্যাটিং, বোলিং নিয়ে তিনি বলেন,'চেষ্টা করছি। ব্যাটিংটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, আমার চেয়ে দলের জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি যেখানে ব্যাট করি, আমার জন্য ৫০ রান বা ১০০ রানের জুটি অনেক বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে। আমি হয়তো এটা চিন্তা করেছি, কাজ করেছি কোচের সঙ্গে। কীভাবে আমার এখানে উন্নতি করতে হবে, কীভাবে ব্যাটিং ভালো করতে হবে। ছোট ছোট জিনিস উন্নতি করেছি, হয়তো এটা কাজে লেগেছে।
বিএসপিএর একটা সঙ্গে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ ও বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কর জেতা নিয়ে মিরাজ বলেন, 'আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যে তারা প্রতি বছর খেলোয়াড়দের অ্যাওয়ার্ডটা দিয়ে থাকে। যেহেতু এই বছর আমি পেয়েছি অবশ্যই আমার অনেক ভালো লাগার বিষয়। এর আগে আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড়রা পেয়েছে, এবার আমি। ভবিষ্যতে আরও আয়োজন করবে এবং ক্রিকেটার বা অন্য খেলোয়াড়রা উৎসাহিত হবে তারাও এই আওয়ার্ড পেতে পারবে।'
এমপি/এএজেড