মুশফিকের সেঞ্চুরি যেন ‘পুরান চাল ভাতে বাড়ে’
সেঞ্চুরি যে কোনো ব্যাটসম্যানের জন্য আরাধ্য। কখনো কখনো কোনো কোনো সেঞ্চুরি আবার প্রতিবাদের ভাষাও হয়ে উঠে। চট্টগ্রাম টেস্টে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি ছিল সেই রকমই প্রতিবাদের ভাষা। সেই সেঞ্চুরির আগে দলের সিনিয়র ক্রিকেটার হঠাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন বিসিবির সভাপতি। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল শুধু মুশফিকুর রহিমের নাম।
সেঞ্চুরি করে মুশফিক জানিয়ে দিয়েছিলেন পুরান চাল ভাতে বাড়ে। সেই মুশফিক এবার সেঞ্চুরি করেছেন ঢাকা টেস্টে। পিঠাপিঠি সেঞ্চুরি। তার এবারের সেঞ্চুরির ভাষা ছিল প্রতিরোধের ডাক। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ৬.৫ ওভারে ২৪ রানে নেই দলের টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যান। সেখান থেকে শুরু তার লড়াই। সহযোদ্বা হিসেবে পেয়ে যান লিটনকে। ব্যস দুজনে মিলে শুরু করেন লড়াই। যে লড়াইয়ে দুই জনেই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। প্রথমে লিটন, পরে মুশফিক।
মুশফিকের প্রতিবাদের ভাষা থেকে প্রতিরোধের ভাষা। দুইটি সেঞ্চুরিকে দুইভাবে সংজ্ঞাযিত করা যায়। তবে চট্টগ্রামের সেঞ্চুরি করতে তিনি যে রকম সময় নিয়েছিলেন এবারের সেঞ্চুরিতে সে রকম সময় নেননি। চট্টগ্রামে ব্যাট করতে নেমেছিলেন দলের ভালো অবস্থানে। কিন্তু তার নিজের অবস্থান ভালো ছিল না। তাই তিনি ছিলেন বেশ সাবধানী।
যে কারণে ক্যারিয়ারের মন্থর সেঞ্চুরি করেন তিনি। বল খেলেছিলেন ২৭০টি। বকাউন্ডারি ছিল মাত্র চারটি। এবার দলের ক্রান্তিকালে নেমে তিনি সেঞ্চুরি করেন ২১৮ বলে ১১ চারে। সময় নেন ৩১৪ মিনিট। ক্যাারিয়ারে এটি ছিল তার নবম সেঞ্চুরি। ১০ সেঞ্চুরি করে তামিম ইকবাল এবং ১১ সেঞ্চুরি করে মুমিনুল আছেন তার উপরে।
এমপি/এমএমএ/