শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের ডিজাইনে মুগ্ধ বার্কলে
সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ((বিসিবি) পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে যাচ্ছে। জমি কেনা থেকে স্টেডিয়াম নির্মাণ সব কিছু হতে যাচ্ছে বিসিবির নিজস্ব তহবিল থেকে। এখানে ৩৭ দশমিক ৫ একর জমি কিনে সেখানে বাউন্ডারি (টিনের) দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ভেতরে একটি মাঠও তৈরি করা হয়েছে। যেখানে বিসিবির বিভিন্ন আসরের খেলা হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত খেলা হয়েছে ৭০ থেকে ৮০টির মতো।
শেখ হাসিনা আর্ন্তজাতিক স্টেডিয়াম ছাড়াও একাডেমি ভবন, একাডেমি মাঠ, সুইমিংপুল ও জিম থাকবে। এটি হবে একটি পূর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্স। এ সব দেখাতেই আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম থেকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানে। বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তাকে যখন স্টেডিয়ামের ডিজাইন দেখিয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিচ্ছিলেন, তখন গ্রেগ বার্কলেকে বেশ কয়েকবার ‘বিউটিফুল বিউটিফুল’ বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এ সময় তিনি বিসিবির সভাপতির কাছে জানতে চান আইসিসিরি পরবর্তী কোনো ইভেন্ট আছে বাংলাদেশে। জবাবে বিসিবির সভাপতি জানান ২০৩১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ যৌথভাবে।
আইসিসি সভাপতির পূর্বাচলে আগমন উপলক্ষে স্কুল ক্রিকেটের একটি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচও এখানে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তিনি এক ঘণ্টার মতো অবস্থান কালে ক্যামব্রিয়ান স্কুল ও কলেজ এবং উদয়ন সরকারি স্কুল মোল্লার টেকের ম্যাচটি নিজ আগ্রহ থেকে দেখতে যান। তিনি যাওয়ার পর দুই স্কুলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ছবি তুললেন। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ বসকে পেয়ে দুই স্কুলের ছাত্রদের মাঝেও বাড়তি উচ্ছ্বাস দেখা যায়। গ্রেগ বার্কলেও এ সময় বেশ হাসি-খুশি ছিলেন। এ সময় তাকে ডাবের পানি খাওয়ানো হয়। শিক্ষর্থীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে পূর্বাচল থেকে তিনি পরে সরাসরি হোটেল সোনারগাঁওয়ে চলে যান।
এর আগে গ্রেগ বার্কলে ১.০৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন। এখানে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনুস, আকরাম খান, ডা. ইসমাইল হায়দার মল্লিক, তানভীর আহমেদ টিটু, প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
এমপি/এমএমএ/