টেস্ট ক্রিকেটকে কখনো না বলিনি: মোস্তাফিজ
উইন্ডিজ সফরে মোস্তাফিজ খেলবেন কি খেলবেন না তা রবিবারই (২২ মে) জানা যাবে বলে শনিবার (২১ মে) মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে জানিয়েছিলেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। রবিবারই উইন্ডিজ সফরের জন্য নির্বাচকরা দল ঘোষণা করবেন। সেখানেই বিষয়টি তখন জানা যাবে। রাতে নির্বাচক কমিটির তিন সদস্য প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু,দুই সদস্য হাবিবুল বাশার সুমন ও আব্দুর রাজ্জাক সভা করে বের হয়ে যাওয়ার সময় মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। সাংবাদিকরা বারবার মোস্তাফিজ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারা সবাই ছিলেন নিরুত্তর। রবিবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু তার প্রয়োজন হয়নি। মোস্তাফিজ নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি কখনো টেস্ট খেলার বিষয়ে না করেননি।
শ্রীলঙ্কা সিরিজে পর উইন্ডিজ সফর নিয়ে মোস্তাফিজের টেস্ট খেলার বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে আবার আলোচনায় চলে আসে। বিশেষ করে শরিফুল ইনজুরিতে পড়ার পর। তাসকিন আহমেদ আগে থেকেই ইনজুরিতে পড়ে দলের বাইরে আছেন। দুই জনই দলের মূল বোলার। তাদের ঘাটতি পূরনের মতো পেসার দেশে নেই। যে কারণে নির্বাচকদেরে মোস্তাফিজের দ্বারস্থ হওয়া।কিন্তু বিসিবির পক্ষ থেকে চাওয়া হলেও মোস্তাফিজের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি। এমন কি বিসিবির পক্ষ থেকে তার টেস্ট খেলার বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ উইন্ডিজ সফরে খেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার কথাও জানানো হয়। মোস্তাফিজের জবাব রবিবারে পাওয়া যাবে বলে জালাল ইউনুস জানিয়েছিলেন। কিন্তু এরই মাঝে জানা গেছে বিসিবির চিঠির জবাবে মোস্তাফিজ জানিয়েছেন তিনি টেস্ট খেলার ব্যাপারে অনাগ্রহের কথা বলেননি। তবে উইন্ডিজ সফরে তিনি যেতে ইচ্ছুক নন। কারণ তিনি দীর্ঘদিন টেস্ট খেলছেন না। তিনি সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চট্টগ্রামে উইন্ডিজের বিপক্ষে। যে কারণে তিনি চান ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে সাদা পোষাকের ক্রিকেটে ফিরতে। তার জন্য তার সময়ের প্রয়োজন। এরই মাঝে ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ এব্যাপারে মোস্তাফিজের সঙ্গে যোগযোগ করলে তিনি উইন্ডিজ সফরের খেলার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘ আমি টেস্ট খেলতে চাই না এ কথা কখনো বলিনি। বিসিবি যদি চায় আমি দলের স্বার্থে খেলতে প্রস্তুত আছি।’ তিনি বলেন, ‘ বিসিবি আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি বলবো দলের প্রয়োজনে আমি যে কোনো সময় প্রস্তু আছি এই ফরম্যাটে দেশকে সেবা দিতে।’
মোস্তাফিজ এবারের আইপিএলে খেলেছেণ দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে। তার দল কোয়ালিফায়ারে উঠতে পারেনি। শেষ ম্যাচে এবারে আসরে সবার আগে বাদ পড়া মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কাছে হেরেছে পাঁচ উইকেটে। মোস্তাফিজ দিল্লির হয়ে আট ম্যাচ খেলে ৩২ ওভার বোলিং করে উইকেট পেয়েছেন আটটি। কিন্তু ১ মে লৌখনাও সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে খেলার পর একাদশের বাইরে চলে যান। এরপর আর কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি।
২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত তিনি টেস্ট খেলেছেন মাত্র ১৪টি। উইকেট পেয়েছেন ৩০টি ইনিংসে পাঁচ উইকেট একবারও নিতে পারেননি। সেরা বোলিং ছিল ৩৭ রানে চার উইকেট।
এমপি/এএস