সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাফল্যের ভাগ নিলে ব্যর্থতার দায়ও বিসিবির নেওয়া উচিত

মিরপুরের  উইকেটের  চরিত্র বুঝা  দায়। কখনো রান খরা। কখনো রান বন্যা। তবে রান খরাই বেশি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও রান করতে ব্যাটসম্যানদের সংগ্রাম করতে হয়। তামিম-মাহমুদউল্লাহ-মুমিনুলরা ভালো করতে না পারলেই কিংবা রান খরায় পড়লেই দোষ  চাপে উইকেটে উপর। আরও পরিষ্কার করে বললে কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার উপর।  

আবার এই মিরপুরেই বাংলাদেশ দল অস্ট্রেলিয়া- ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছে। ভারত-পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ও এসেছে এই মিরপুরে। আবার নিউ জিল্যান্ডকে ধবলধোলাইও করা হয়েছে মিরপুরে। এতো সাফল্য মুহুর্তেই বিলীন হয়ে যায়  একটি বা দুইটি ম্যাচে ভালো করতে না পারলে। যার দোষ গিয়ে পড়ে গামিনির  উপর। কিন্তু গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম গামিনির উপর দোষ দিতে  নারাজ। ব্যর্থতারে দায় তিনি নিজের উপর নিয়েছেন। ক্রিকেট বোর্ডেরও নেয়া উচিত বলে জানান।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজকে সামনে রেখে আজ পিচ পরিদর্শনে এনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কাউকে নিয়ে আলাদাভাবে মন্তব্য করব না। আপনাদেরকে যেটা একটু আগে বললাম তিন হাজার খেলা হয়, আপনারা খালি মেপে দেখবেন, মিরপুরের মত স্টেডিয়ামে আমরা ৬০ দিনের বেশি খেলা উচিত না। সেখানে জানুয়ারি থেকে শুরু করে ১২০ দিন খেলেছি আমরা। কন্টিনিউয়াস। এখানে স্বয়ং বিধাতা এসেও আমার মনে হয় না কোনোভাবে সম্ভব। দায়টা আমি নেব, আমাদের বোর্ড হিসেবে নেওয়া উচিত। আপনারা যদি কাউকে ব্যক্তিগত আক্রোশ করেন  আমার মনে হয় এটা খুব অন্যায় হবে। কারণ এই মাঠে যে জয়গুলো আছে তার মালাটাতো অন্য কাউকে পরাতে পারি। কিন্তু মালাটাতো আমরা বোর্ডই নেই ।’

তিনি বাংলাদেশের জয়গুলো  মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ আপনারা কিন্তু জয়গুলো দেখেন। , আমরা ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার মত পরাশক্তির বিপক্ষে টেস্ট জয় করেছি। আমরা নিউ জিল্যান্ডের মত দলকে একই মাঠে ফোর নীলে হারিয়েছি। আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতেছি এবং সব দলের বিপক্ষে জিতেছি। আমাদের যে সমালোচনা গুলো হয় অজ্ঞতার কারণে হয়। আমরা যদি বৈজ্ঞানিকভাবে উপলদ্ধি করি, তাহলে অনেক কিছু ভালো শোনাব ।’

মাহবুব আনাম শুনালেন উইকেট তৈরি করতে গিয়ে সমস্যার কথা। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে আরেকটা সমস্যা উইকেট বানানোর জন্য যে মাটিটা দরকার, সে মাটিতে যা গুণ থাকা দরকার তা সব জায়াগায় পাওয়া যায় না। আপনারা যদি দেখে থাকেন মিরপুরের উইকেট কালো মাটি দিয়ে বানানো। এই উইকেট আমরা পার্থের কিউরেটর দিয়য়ে বানিয়েছিলাম।’

বাংলাদেশে মাঠের সমস্যা  কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ আমাদের যে পরিমাণ খেলা তাতে ২০টা আন্তর্জাতিক মানের মাঠ তৈরি না করলে কোন ভাবেই সম্ভব না ।‘ কিন্তু চাইলেইতো আর  ২০ টা মাঠ  তৈরি করা সম্ভব নয়।

তাই যে মাঠগুলো আছে, সে গুলোর উন্নয়নে কাজ শুরু করেছেন জানিয়ে মাহবুব আনাম বলেন, ‘আপনারা জানেন গতবছর আমরা সিলেটের পর চট্টগ্রামের কাজ ধরেছি। সেটা অতিসত্বর শেষ হয়ে যাবে। এই অফ সিজনে আমরা রাজশাহীতে কাজ ধরবো, আমরা বগুড়াতে কিছু কাজ ধরেছি। সেটা বাইরের অনুশীলন উইকেট। আমরা প্রত্যেকটা স্টেডিয়ামের একটা মাস্টারপ্ল্যান করতে যাচ্ছি, যেটা প্রেসিডেন্ট মহোদয় আগেই বলেছেন যে প্রত্যেকটা রিজিয়নে আমাদের ভালো একটা ফেসিলিটিজজ থাকবে। যেটাতে খেলার বাইরে অনুশীলন এবং একাডেমি থাকবে। তো মাস্টারপ্ল্যান এর জন্য আমরা এখন রাজশাহী আর খুলনা- এই দুইটাকে সার্ভে করে, কোথায় কি প্রস্তুত করা যায় সেগুলো আমরা দেখব। এ বছরে আমাদের পরিকল্পনাই মিরপুরের অ্যাডিশনাল উইকেট এবং রাজশাহী আর বগুড়া- এই তিনটা ভেন্যুকে আমরা সম্পূর্ণরূপে আপডেট করব। ‘

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম নিয়ে আলাদা পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মাহবুব আনাম বলেন, ‘মিরপুরে অনুশীলনের জন্য সেন্ট্রারে আমরা আরো চারটি উইকেট তৈরি করতে যাচ্ছি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমরা কাজে হাত দিব। কারণ আপনারা জানেন এখানে বিভিন্ন সময় জাতীয় দল বা অন্যান্য দল অনুশীলন করে থাকে। কাজেই সেন্ট্রারে আমাদের যে আটটি উইকেট আছে, সেগুলো ইফেক্টেড হয়। সে ক্ষেত্রে লোকাল খেলাগুলোর জন্য আমরা ভালো উইকেট দিতে পারি না। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেন্টারে আমরা দুই দিকে আট-আট করে ১৬ ফিটের আমরা আরো চারটি উইকেট করব যেগুলো অনুশীলনের জন্য ব্যবহার করা হবে।’

বাংলাদেশে যে কয়টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম  আছে, তার  সব কটিই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের বানানো। বিসিবি নিজের টাকা দিয়ে পূ্র্বাচলে শেখ হাসিনা আর্ন্তজাতিক  স্টেডিয়াম নির্মান করছে। এই সংখ্যা তারা বাড়ানোর দিকে মনযোগি হতে যাচ্ছে। সেই  লক্ষ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছে।

মাহবুব আনাম বলেন, ‘ ইতোমধ্যে ঢাকায় বেশ কিছু মাঠ ক্রয়ের ব্যাপারে কথা হয়েছে। আমরা জায়গা পরিদর্শন করেছি। এগুলো যেহেতু প্রাইভেট সেক্টরের জমি, সেই জমিগুলোর কাগজপত্র আমরা যাচাই-বাছাই করছি। বাছাই শেষ হলে আগামী বোর্ড মিটিংয়ে হয়তো আমরা সেগুলো ক্রয়ের জন্য পরিকল্পনা পেশ করব। আমাদের ইচ্ছা ঢাকায় যাতে ছয়টি উন্নত মানের ভেন্যু থাকে। তাতে ঢাকায় যে পরিমাণ খেলাগুলো হয়- প্রিমিয়ার লিগ বা অন্যান্য খেল, সেগুলো যাতে সুন্দরভাবে করা যায়। এখন আমরা ফতুল্লাকে নিয়ে স্ট্রাগল করছি। ফতুল্লার কাজ শুরু হলে ওখানে আমরা দুইটা মাঠ পেয়ে যাব। পূর্বাচলে আমরা দুইটি মাঠ করবো। এর বাইরে মিরপুর তো রয়েছেই। বিকেএসপি আছে। তার বাইরেও দুটো মাঠ করার মত ঢাকার আশেপাশে জায়গা ক্রয় করা হবে ‘

এমপি/এমএসপি

Header Ad

বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা

ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে কর্মরত চিকিৎসকরা সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশ নিতে বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাদের এই নতুন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আবদুল হাই স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন দপ্তর কিংবা সংস্থায় কর্মরত চিকিৎসকদের বৈদেশিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বছরে (সর্বশেষ ১২ মাস) সর্বোচ্চ দুইবার বৈদেশিক সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ কিংবা কর্মশালা ইত্যাদিতে যেতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অভিজ্ঞ বা যে বিষয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত (দায়িত্ব পালনরত), কেবল সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অধ্যয়নরত সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হয়ে গমন করতে পারবেন।

আমন্ত্রণকারী সংস্থার নিজস্ব ডোমেইনভুক্ত ওয়েবমেইল থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওয়েবমেইলে (secretary@hsd.gov.bd, cc: admin1@hsd.gov.bd) আমন্ত্রণপত্রের অনুলিপি বা কপি পাঠাতে হবে। আমন্ত্রণকারী সংস্থা যাবতীয় খরচ (ভিসা ফি, উভয় পথের বিমানভাড়া, আবাসন ব্যবস্থা বা খরচ ইত্যাদি) বহন করবেন বলে সংস্থা থেকে প্রত্যয়নপত্র প্রমাণক হিসেবে দাখিল করতে হবে।

এ ছাড়া বৈদেশিক প্রমাণস্বরূপ প্রোগ্রামে যোগদানের ও সমাপ্তি দিনের ছবি দাখিল করতে হবে। যথাযথ মাধ্যমে অগ্রায়নকৃত আবেদনে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ থাকতে হবে। অগ্রায়নের আগে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্র ১ নম্বর থেকে থেকে ৯ নম্বর শর্ত যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলো (ভেরিফায়েড অ্যান্ড ফাউন্ড ওকে) লিখে প্রত্যয়ন করতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়, যা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিবেচ্য মনে করেন।

অফিস আদেশে আরও বলা হয়, উপরিউক্ত নির্দেশনাসমূহ আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে চিকিৎসকদের আমন্ত্রণের ভিত্তিতে বিদেশে সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ বা কর্মশালা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো।

Header Ad

বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর

ছবি: সংগৃহীত

শাকিব খানকে কেন্দ্র করে তাঁর দুই সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর দ্বন্দ্বটা নতুন কিছু নয়। ঢালিউড সিনেমার দুই নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সম্পর্কটা কেমন, সেটা একেবারেই অজানা নয় ভক্তদের। বর্তমানে যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বৈরিতায় রূপ নিয়েছে।

সবশেষ শবনম বুবলীর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে এই দুই নায়িকার কোন্দলের চিত্র আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে। গত ২০ নভেম্বর ছিল বুবলীর জন্মদিন। দিনটিতে পরিবারের মানুষদের নিয়েই ঘরোয়া পরিবেশে কেক কেটেছেন তিনি। সেই মুহূর্ত তুলে ধরেছেন ফেসবুকে। যেখানে ভালোবাসা জানিয়েছেন ভক্তরা।

তবে বুবলীর জন্মদিনের তিনদিন পর রোববার (২৪ নভেম্বর) অপু বিশ্বাস ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘লেট পোস্ট। হ্যাপি টয়লেট ডে, ২০ নভেম্বর।’ সঙ্গে একটি অট্টোহাসির ইমোজি জুড়ে দেন তিনি।

সরাসরি কিছু না বললেও পরোক্ষভাবে বুবলীর জন্মদিন নিয়েই ঠাট্টা করেছেন এই নায়িকা। যেটা বুঝতে কষ্ট হয়নি ভক্তদের। কারণ ২০২২ সালেও বুবলীর জন্মদিনে খোঁচা দিয়েছিলেন অপু বিশ্বাস। ওই বছর বুবলী গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, জন্মদিন উপলক্ষ্যে শাকিব খানের কাছ থেকে ডায়মন্ডের নাকফুল উপহার পেয়েছেন তিনি।

সেই খবর ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকগুলো হাসির ইমোজি দিয়ে অপু লিখেছিলেন, ‘কী যে মজা’! চুপ থাকেননি বুবলীও। দুজনে জড়িয়ে পড়েন ভার্চুয়াল যুদ্ধে। একজন অন্যজনকে নিয়ে নানা রকম কটু মন্তব্যও করেন।

সেই ঘটনার দুই বছর পর আবারও বুবলীর জন্মদিনে তাকে খোঁচা দিতে গেল অপু বিশ্বাসকে। যা মোটেও ভালোভাবে নেননি নায়িকার ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার শিকার হচ্ছেন তিনি।

অপুকে উদ্দেশ্য করে কেউ লিখেছেন, বুবলীকে নিয়ে আপনার হিংসা কমছে না। কারো মন্তব্য, আপনাদের কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করুন। কেউ আবার অপুর মানসিকতার ধরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। এরপর ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান আব্রাম খান জয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে ডিভোর্সের পর একই বছরের ২০ জুলাই বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব খান। সেই সংসারে ২০২০ সালের ২১ মার্চ সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্ম হয়। এর কয়েক বছরের মাথায় তাদের বিচ্ছেদের খবর শোনা যায়।

Header Ad

কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে একটি ভাস্কর্য ভাঙারির দোকানে বিক্রি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, বরং এটি পাক আর্মির আদলে হওয়ায় নিজেই এটি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভাস্কর অধ্যাপক ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী ওরফে জোসি।

রোববার (২৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘ঘটনাটিকে বিকৃত করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। তবে এটিকে একটি মহল রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ভাস্কর্যটির ঠিকমতো রূপ দেওয়া যায়নি। তাই এটি কাজে লাগানোর সুযোগ নেই। তাই ওয়েস্টেজ (অপচয়) হিসেবে আমি বিক্রি করে দিয়েছিলাম। রোববার আবার ফেরত নিয়ে এসেছি।

কিন্তু এই প্রচারণাকে অসত্য ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি বলে দাবি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিকস ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, এক যুগ আগে নওগাঁর জেলা পরিষদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ঠিকাদারের কথায় ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু শর্ত না মেনে নির্মাণ করায় তারা এটি গ্রহণ করেনি। পরে তাদের রড-সিমেন্ট দিয়ে আরেকটি ভাস্কর্য নির্মাণ করে দেন। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারু অনুষদের পেছনে মেহেরচণ্ডী মধ্যপাড়ায় তার নিজের স্টুডিওতে রাখা ছিল এটি। নিজের জায়গাতেই এ স্টুডিওটি। এখানে নানা শিল্পকর্ম নির্মাণ করেন ড. আমিরুল মোমেনীন।

ড. আমিরুল মোমেনীন আরও বলেন, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের ভাস্কর্যটিও কর্তৃপক্ষ পছন্দ করেনি। এ জন্য হস্তান্তর করা যায়নি। বেশ কয়েক বছর ধরে এখানে রাখা আছে। কিন্তু এখন স্টুডিওর এই জায়গাটি বিক্রির চেষ্টা করছি। তাই স্টুডিওর সব ওয়েস্টেজ বিক্রি করে দিচ্ছি। কয়েক দিন আগে কয়েকজন এসে বলল, মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি কিনতে চায়। তাদের কাছে ভাঙারি লোহার মতো কেজি দরে নামে মাত্র টাকায় বিক্রি করেছিলাম। আমি তখন জানতাম না তারা ভাঙারির দোকানের জন্য কিনছে। পরে পত্র-পত্রিকায় দেখেছি এ ঘটনা। তারা আসল ঘটনা না জেনেই এগুলো লিখেছে। আমি কখনোই কাউকে বলিনি, বর্তমান পরিস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য বিক্রি করা বা রাখা যাবে না। বর্তমান সরকার তো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী নয়। আর কোথাও এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু একটি মহল অপপ্রচার চালিয়ে এ ঘটনাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে। আমি এটার প্রতিবাদ করছি।

উল্লেখ্য, গেল ৫ আগস্টের পর বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি কোথাও বিক্রি করা সম্ভব নয়, তাই ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দিয়েছেন ভাস্কর ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী এমন সংবাদে গেল কয়েক দিন ধরেই গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ছবিটি পোস্ট করে কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে। ছবিটি শেয়ার করে তীর্যক কবিতা লিখে নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন বিতর্কিত লেখক তসলিমা নাসরিনও।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি
ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি