আম্মু তুমি ফিরে এসো- লাইভে এসে অঝোরে কাঁদলেন তিশার বাবা
খন্দকার মুশতাক-সিনথিয়া ইসলাম তিশা এবং তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরের বইমেলায় নিজেদের বই প্রকাশ করে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজটির একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশা। তাদের বিয়ের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা এখনো চলছেই।
১৮ বছরের তিশা বিয়ে করেছেন ৬০ বছরের খন্দকার মুশতাককে। এখনো এ বিয়েকে মেনে নেয়নি তিশার পরিবার। শুধু তাই নয়, এ বিয়েকাণ্ড আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আর এসব কারণেই অসম এই জুটিকে নিয়ে সকল মহলেই চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
এবার বয়সে বড় জামাইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম। তার অভিযোগ, ব্ল্যাকমেইল করে তিশাকে বিয়ে করেছেন মুশতাক। এমন পরিস্থিতিতে নিজের মেয়েকে ফিরে আসার জন্য আকুতি জানালেন তিনি।
সম্প্রতি তিশাকে উদ্দেশ্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে আসেন সাইফুল। এসময় তিনি বলেন, আমি মুশতাকের ছায়াটাও দেখতে চাই না। মুশতাকের নামটা শুনলে আমার ওজুটাও নষ্ট হয়ে যায়। আম্মু তুমি আমার কাছে ফিরে এসো, কোনো কারণে যদি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়, সেটার আবার লাইনে তুলে সামনে আগানো যায়। তুমি আমার কাছে ফিরে এসো, মুশতাকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, একটা মেয়ে কতটা জিম্মি হলে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে। তিশাকে খুব রেস্ট্রিকসনে রাখে, তাকে মোবাইলেও কথা বলতে দেয় না। কথা বলতে দিলে মুশতাক পাশে বসে থাকে। একদিন আমার স্ত্রী তিশাকে বলছিল, মুশতাকের কাছ থেকে না এলে তোমার জীবনটা ধ্বংস হয়ে যাবে?
জবাবে তিশা বলেন, আম্মু আমার অনেক অশ্লীল ছবি ওর (মুশতাক) কাছে আছে। ছবিগুলো দিলে লাথি দিয়ে চলে আসতাম।
প্রসঙ্গত, সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদের অসম বয়সি বিয়ে নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। ঢাকার একুশে বইমেলায় গিয়েও হেনস্তার শিকার হন এ দম্পতি। ১৮ বছরের তিশা বিয়ে করেছেন ৬০ বছরের খন্দকার মুশতাককে। এখনো এ বিয়েকে মেনে নেয়নি তিশার পরিবার। শুধু তাই নয়, এ বিয়েকাণ্ড আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এখনো বিষয়টি বিচারাধীন।