সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে জাহাঙ্গীর মিয়া (৩৫) নামের এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) সকালে উপজেলার সাচনাবাজার ইউনিয়নের মফিজনগর গ্রামের পাশে হাওরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহাঙ্গীর মফিজনগর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। নিহত জাহাঙ্গীরের স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর সকালে নৌকা নিয়ে জাল দিয়ে গ্রামের পাশের হাওরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন তার মরদেহ উদ্ধার করে।
মফিজনগর গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য কবির আলম বলেন, জাহাঙ্গীর দরিদ্র মানুষ। সকালে নৌকা নিয়ে জাল দিয়ে হাওরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে। ঈদের দিনে তার মৃত্যুতে আনন্দের পরিবর্তে গ্রামে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মফিজনগর গ্রামের একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বর্তমান স্বামী নাসিরের সঙ্গে চমক (বামে), আগের স্বামী খান এইচ কবিরের সঙ্গে চমক (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে শোবিজের অন্যতম আলোচিত নাম অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। গত ২১ জুন হঠাৎ করেই সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে বিয়ের ছবি প্রকাশ করে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তবে বিয়ের পরেই নতুন করে আলোচনায় আসে তার স্বামী আজমান নাসিরের আগের দুই বিয়ের প্রসঙ্গটি। যা নিয়ে এখনও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
বর্তমান স্বামী নাসিরের সঙ্গে চমক। ছবি: সংগৃহীত
জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১০ জুন নাসির প্রথম বিয়ে করেন সামান্তা ইসলামকে। ২০১১ সালে তাদের সংসারে আসে একটি কন্যা সন্তান। এরপর ২০২০ সালে তাদের বিবাহিত জীবনের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৮ সালে লামিয়া ফারহিনকে বিয়ে করেন নাসির। ২০২০ সালে তাদের সংসারেও একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তারপর ২০২৩ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন নাসির।
বর্তমান স্বামী নাসিরের সঙ্গে চমক। ছবি: সংগৃহীত
এ দুই বিয়ের পর ২০২৪ সালে চমককে তৃতীয় বিয়ে করেন নাসির। একে একে তিন বিয়ে করায় বিচলিত চমক ভক্তরা। এমন পরিস্থিতিতে সমালোচনার তোপে পড়ে আজ (৪ জুলাই) আজমান নাসির তার ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা পোষ্ট করেছেন। যেখানে তার আগের দুই বিয়ের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ওই পোষ্টে স্ত্রী চমকের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে ট্যাগ করেছেন নাসির।
এদিকে নাসিরের দুই বিয়ে যখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, ঠিক সেই সময় জানা গেল চমকেরও আগে বিয়ে হয়েছিল একটি। জানা গেছে, ২০১৪ সালের নভেম্বরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন চমক। তার স্বামীর নাম খান এইচ কবির।
আগের স্বামী খান এইচ কবিরের সঙ্গে চমক। ছবি: সংগৃহীত
বিয়ে হওয়ার পর ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি চমকের স্বামী ফেসবুক পেজে ম্যারিড ইউথ চমক স্ট্যাটাস দেন। চমকের বর্তমান স্বামীর বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই সাবেক স্বামীর সঙ্গে চমকের তোলা দুটি সেলফিও ঘুরপাক খাচ্ছে নেট দুনিয়ায়।
চমকের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিযোগিতার আয়োজক অন্তর শোবিজ কর্তৃপক্ষ জানান, আমরা জেনেছিলাম চমক বিবাহিত। সেজন্য তাকে যৌথভাবে তৃতীয় করা হয়েছিল। তা না হলে তাকে আমরা দ্বিতীয় করতাম। এর আগে চমক বলেছিল, ছেলেটি নাকি তার প্রেমিক। কিন্তু আমরা অনুসন্ধানে বের করেছিলাম সে-ই চমকের স্বামী। স্বামীর সঙ্গে রাজধানীর উত্তরায় থাকতেন।
এদিকে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে দ্বিতীয় রানারআপ হওয়ার পর থেকে তার স্বামী খান এইচ কবিরের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়ে। এক পর্যায় তাদের বিচ্ছেদ হয়। বর্তমানে কবির দেশের বাহিরে থাকেন।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৭’ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ নির্বাচিত হয়ে শোবিজে পা রাখেন চমক। এমবিবিএস পরীক্ষা শেষ করে নাটক ও সিরিজে অভিনয় শুরু করেন। চমকের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ‘অসমাপ্ত’, ‘ভাইরাল হাজব্যান্ড’, ‘হাউস নং ৯৬’, ‘মহানগর’ ইত্যাদি।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের সব স্থলবন্দরে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্দরের সেবা কার্যক্রম পেপারলেস করার লক্ষ্যে বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের পর তৃতীয় বন্দর হিসেবে ভোমরা স্থলবন্দরে অটোমেশন চালু করা হয়েছে। প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। আগামী দিনের প্রাণকেন্দ্র হবে এই বন্দর। ভোমরা স্থলবন্দরের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে পণ্য সরবরাহ সচল রাখার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
ছবি: সংগৃহীত
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভোমরা বন্দরে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, সুবিধা-অসুবিধা আছে। নতুন কোনোকিছুতে ধীরে ধীরে আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাই। ব্যবসাবান্ধব ও ব্যবসাকে আরও মসৃণ করার জন্য ভোমরা বন্দরে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন করা হলো।
তিনি বলেন, যারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করেছে, তারা ভুল বলছেন, মিথ্যা বলছেন। যদি তিনি দেশ বিক্রি করে দিতেন, তাহলে স্থলবন্দর করতেন না। যারা বলছেন, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিশ্বে বন্ধু নাই; তাদের দেখা দরকার, আন্তর্জাতিক ফোরামে আমাদের কী অবস্থা।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, আশরাফুজ্জামান আশু, লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন (জিএটিএফ) ডিরেক্টর ফিলিপ আইলার, সুইসকন্টাক্টের ডিরেক্টর (গ্লোবাল প্রোগ্রামস) বেনজামিন ল্যাং।
বাংলাদেশি জনশক্তি ওমান এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই মানব সম্পদ থেকে দুই দেশই উপকৃত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করে ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বলেন, এটা সত্য এবং তারা দুই দেশের অর্থনীতির জন্যই কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বিন আবদুল করিম আল-বালুশী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন।
পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।
বৈঠকে ওমানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ওমান দীর্ঘ সময় ধরে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি বজায় রাখছে এবং আগামীতে প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণ অঙ্কে পৌঁছাতে পারে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার বিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।
সার আমদানি বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, সরকারের সঙ্গে সরকার (জিটুজি) চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এই প্রস্তাব যাচাই করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বল্পোন্নত থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হলে ভালো হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি নৌকা উপহার দেন ওমানের রাষ্ট্রদূত।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।