সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সিসিক নির্বাচন শুরুর আগেই বাকযুদ্ধ নগর আওয়ামী লীগে

এখনও মেয়াদ শেষ হয়নি সিলেট সিটি করপোরেশনের। তবে থেমে নেই আগ্রহী মেয়র প্রার্থীরা। নগর ভবনের চেয়ারে বসতে ইতিমধ্যে সরগরম করে তুলেছেন তারা। এই তালিকায় এক এক করে ৮ জনের নাম থাকলেও সম্প্রতি আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নাম যুক্ত হওয়ায় সিসিকের নির্বাচনী উত্তাপ এখন অনেকটা দৃশ্যমান। আর এই উত্তাপে বাড়ছে ক্ষোভ, বিভক্তি এবং বাকযুদ্ধ। সিসিক নির্বাচনে সম্প্রতি দলীয় গ্রিণ সিগন্যালের দাবিদার আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বিপরীতে বাকী ৮ প্রার্থীরা একজোট-এমন বার্তাও ধ্বণিত হচ্ছে। এর আগে সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হতে দীর্ঘদিন থেকে মাঠে সরব ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটি এম হাসান জেবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু ও সদস্য প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী।

এদিকে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ছবি সম্বলিত পোস্টারে শোভা পাচ্ছে নগরীর সর্বত্র। ‘সিসিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে দেখতে চাই’-এমন শুভ কামনা জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ,শ্রমিকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মীদের নামে সাঁটানো পোস্টার দেখা যাচ্ছে নগরীর অলিতে-গলিতে। এমন পরিস্থিতিতে দলীয় পরিবেশ এখন অনেকটাই অশান্ত। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গেল নির্বাচনে সিলেটে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের বিষয়টিও এর মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হচ্ছে এবং একই সঙ্গে দিনশেষে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পক্ষে দলীয় পাল্লা আরও বেশি ভারী হয়ে উঠবে।

সিসিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী জুন মাসে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়াদ শেষ হচ্ছে। চলতি বছরের অক্টোবর মাসের দিকে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে বিএনপির অবস্থান এখনও স্পষ্ট না হলেও দলীয় প্রার্থী নিয়ে নগর আওয়ামী লীগে এক ধরনের টানাপোড়ন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে দলের ভেতরে থাকলেও এখন প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে নেতা-কর্মীরা।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের স্থানীয় একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। তিনি বক্তব্যের এক পর্যায়ে আনোয়ারাজ্জামান চৌধুরীর ভূঁয়সী প্রশংসা করে বলেন, করোনাকাল থেকে তিনি মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। সুদূর প্রবাসে থেকেও থেমে নেই তার কর্মযজ্ঞ।

সময়ে-অসময়ে দেশের মানুষের প্রতি তার মমত্ববোধ ফোটে উঠেছে কর্মের মাধ্যমে। এ সময় তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামানকে আগামী সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দেন। এরপর শুরু হয় তোলপাড়। যদিও এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দলের নগর শাখার সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান প্রসঙ্গে নগরীর ভোটার নন এবং উড়ে এসে জুড়ে আসা লোক বলে উল্লেখ করেছিলেন।

এদিকে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের বক্তব্যের একদিন পর প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠান সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ। বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়-‘এই বিবৃতি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভাজন ও উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

নগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত ওই
বিবৃতিতে সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোয়ন নিয়ে দলীয় প্রধানের এমন কোনো নির্দেশনা মহানগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা পাননি বলে দাবি করেন তারা। সেইসঙ্গে দলীয় প্রার্থী নিয়ে নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত না হওয়ারও আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তারা জানান, সোমবার সিলেট সিটি করপোরেশনের একটি ওয়ার্ডে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সিসিক মেয়র পদে নির্বাচনের মনোনয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন তা মহানগর আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

এ বিষয়ে দুই নেতা ‘সুস্পষ্টভাবে’ জানান, প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে তারা পাননি। অতএব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট মহানগরের শৃঙ্খলাসহ দলীয় ভাবমূর্তি যাতে বিনষ্ট না হয় এবং বিভ্রান্তি যাতে না ছড়ানো হয় সেজন্যে তারা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

বিবৃতির বিষয়ে যোগাযোগ করলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী বলেন, তারা (মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) যে অভিযোগ এনে বিবৃতি দিয়েছেন তাতে এমন কোনো শব্দ আমার বক্তব্যে ছিল না। সিলেটে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে আমি কোনো বক্তব্যই রাখিনি। আমি বলেছি, আনোয়ারুজ্জামান বন্যা, করোনাসহ মানুষের সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে ছিলেন এবং নেত্রী তাকে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। অথচ তারা কেন এমন বিবৃতি দিলেন বুঝে উঠতে পারছি না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন সহ-সভাপতি বলেন, দলীয় প্রধান জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরী। তিনি সিলেটের অবস্থা আঁচ করতে পেরে এমন একজনকে প্রার্থী ঘোষণা করতে চান,যাকে মনোনয়ন দিলে দলীয় অবস্থান নড়বড়ে হবে না। সেক্ষেত্রে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর দাবি যদি সত্যি হয়, সেটিকে দলীয় প্রধানের অন্যতম একটি কৌশল বলে বিবেচনা করছি।

তিনি বলেন, মেয়র পদে যে ৮ প্রার্থী ইতিমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তাদের মধ্যে যেকোনো একজনকে বেছে নিলে এই বিভাজন আরও প্রকট আকার ধারণ করত। যারা না বোঝে এই বিভাজনে সুর মেলাচ্ছেন, তারা নিজের পায়ে কুঁড়াল মারছেন।

দলীয় একটি সূত্রে জানা যায়, আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী হিসেবে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ‘গ্রীণ সিগনাল’ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি। এ সময় সিটি নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীও তাকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বলে দাবি আনোয়ারুজ্জামানের।

বাকযুদ্ধ ও নগর আওয়ামী লীগের বিভক্তি বিষয়ে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন,‘আপনার কথার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি। কারণ নগর আওয়ামী লীগে বিভক্তি থাকলে প্রতিদিন আমার গণসংযোগে এতো সদস্য সম্পৃক্ত হতেন না। তাছাড়া জেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের সকল শ্রেণির নেতা-কর্মী আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।’

তিনি বলেন, দল এবং ব্যক্তির মধ্যে বিস্তর ফারাক। সুতরাং কারো ব্যক্তি অভিমত কখনোই দলীয় হতে পারে না। যেখানে নির্বাচনের তফশীল এখনও ঘোষণা করা হয়নি, সেখানে নগর শাখায় লিখিত কোনো নির্দেশনা আসার সুযোগ নেই।

এ ব্যাপারে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন বলেন, এসব (প্রার্থিতা) বিষয়ে দলীয় কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। এখানে আমিসহ আরো কয়েকজন সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছি। সবাই কাজ করছি। তিনি (আনোয়ারুজ্জামান) নতুন মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে দল যাকে প্রার্থী করবে, তার পক্ষেই আমরা সবাই কাজ করব।

এসআইএইচ

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে দেশে কিছু লোডশেডিং চালু রাখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, কিছু লোডশেডিং না দিলে ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে যাবে। তবে লোডশেডিং যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে চেষ্টা করা হবে। তিনি জানান, শহর ও গ্রামে সমানভাবে লোডশেডিং কার্যকর করা হবে।

সচিবালয়ে গ্রিড বিপর্যয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে দেশে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গরমের কারণে আগামী দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তখন চাহিদা মেটাতে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে। তিনি আরও বলেন, যে হারে এসি স্থাপন করা হচ্ছে, সে হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়নি। অনেকে অকারণে লাইট, ফ্যান ও এসি চালু রাখায় বিদ্যুৎচাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল ও খুলনায় ২৬ এপ্রিল যে গ্রিড বিপর্যয় ঘটে, তার তদন্তে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বুয়েটের উপ-উপাচার্য আবদুল হাসিব চৌধুরীকে। কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ, দায়ী ব্যক্তিদের ভূমিকা ও ভবিষ্যতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সুপারিশ করবে।

মেট্রোরেল এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকার কারণও তদন্তে নেওয়া হয়েছে। বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হককে প্রধান করে একটি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেল বন্ধ থাকার মূল কারণ ছিল বিদ্যুৎ সংকট।

এ সময় মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, দেশে গ্যাসের উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং এলএনজি আমদানির আর্থিক সামর্থ্যও কমে গেছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

পিজিসিবি ও পিডিবি জানায়, আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ সার্কিট লাইনের ৪০০ কিলোভোল্টের দুটি তার কাছাকাছি আসায় শর্ট সার্কিট হয় এবং সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর ফলে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৫টি জেলা—খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী—প্রায় ১৫ মিনিট থেকে ৯৬ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে এবং রাত সাড়ে আটটার পর পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।

Header Ad
Header Ad

গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের পূবাইলের হায়দরাবাদ এলাকায় একাধিক শিশু-কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মসজিদের ইমাম গণপিটুনির শিকার হয়ে পরে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত ইমামের নাম রহিজ উদ্দিন (৩৫), তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার বাদশা মিয়ার ছেলে এবং হায়দরাবাদ আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় এক কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ ওঠে রহিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এতে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে, এমনকি তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং নির্যাতিত এক কিশোরের বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।

পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। একই রাতের (২৭ এপ্রিল) দিবাগত ৩টার দিকে রহিজ উদ্দিন কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা কারাগারের জেল সুপার রফিকুল কাদের জানান, মৃত ইমামের শরীরে গণপিটুনির চিহ্ন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হওয়ার ফলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যুবরণ করেন।

পূবাইল থানার ওসি এসএম আমিরুল ইসলাম বলেন, রহিজ উদ্দিন স্থানীয় স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেদের নিজের থাকার কক্ষে এনে কম্পিউটার গেমস ও মোবাইল গেম খেলার সুযোগ দিতেন এবং কোমল পানীয় খাওয়াতেন। ওই পানীয় সেবনের পর অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাদের বলৎকার করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক কলেজছাত্রের কাছ থেকে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে তাকে গণধোলাই দেয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি