শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সিসিক নির্বাচন, আলোচনা-সমালোচনায় আনোয়ারুজ্জামান

শত মানুষের ভীড়ে তিনি শুধু একজনই নন, অন্যতম বটে। বিশালাকার দীর্ঘদেহী লোকটিকে আলাদা করে অবশ্যই চিনতে হবে বৈকি! আলোচনার টেবিলেও প্রাসঙ্গিক তিনি। কেউ বলেন 'ম্যাজিক ম্যান'। কারো কাছে তিনি সিলেটের রাজনীতির অন্যতম অভিভাবক। সমালোচনাও আছে। কেউ বলছেন, তিনি উড়ে এসে জোড়ে বসার চেষ্টা করছেন। আবার কেউ বলছেন তিনি সিলেটের স্থানীয় রাজনীতির কেউ নন। আর তাঁর অনুরাগীরা বলছেন, 'এই নগরীর প্রতিটি ইট-পাথর ওই নামটিকে ভালোভাবেই চিনে ও জানে।

প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার এই মানুষটি স্কুল জীবনে খেলাঘর কর্মী ছিলেন। কলেজ জীবনে এসে যোগ দেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। আওয়ামী রাজনীতির উত্থাল সময়েও সিলেটের রাজপথে সরব ছিলেন তিনি। দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচনকালীন অন্যতম 'পলিসি ম্যাকার' হয়ে তিনি দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সমর্থ হন। এমনকি উপজেলা পর্যায়েও কাজ করেছেন দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে। সুতরাং সিলেটে তিনি আগন্তুক নয়'।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন (সিসিক) নিয়ে এই মুহুর্তে নগর জোরে এই নাম রয়েছে ব্যাপক আলোচনায়। পক্ষে-বিপক্ষে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। যাকে নিয়ে এত আলোচনা সমালোচনা তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। নগরের ৫৬/৯ পাঠানটুলা এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারুজ্জামান সিসিকের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আরবিতে 'আনোয়ার' নামের অর্থ সুন্দর আলোকিত, স্পস্ট ও পরিচ্ছন্ন। অর্থের সাথে চেহারার মিল না থাকলেও অনুরাগীদের কাছে তিনি সবকটি গুনেই বিশেষিত। সিসিকে মেয়র পদে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে কেমন হবে-এমনটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

সাধারণ ভোটারদের অভিমত, দলীয় কোন্দলের কারণে সিসিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী পরাজিত হলেও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ক্ষেত্রে সেটি ঘটার কোনো সুযোগ নেই। কারণ দলের সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই কাজ করছেন তিনি। তাছাড়া এবারের সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের যেকোনো একজনকে বেছে নেওয়া হলেও সাবেকি ধারার কোন্দলে মেয়র পদটি হারানোর শঙ্কা থাকবে আওয়ামী লীগে। এক্ষেত্রে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হলে কোন্দল অবসানের পাশাপাশি বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে শতভাগ।

নগরীর চালিবন্দরস্থ ১৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দীনবন্ধু রায় দিপক বলেন, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এমন একজন নেতা যিনি সিলেটের স্থানীয় রাজনীতির পাশাপাশি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের অন্যতম একজন চালিকাশক্তি। একই সাথে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারকদের কাছেও বিশ্বস্থ একজন সিপাহশালার। দলীয় প্রধানসহ শেখ পরিবারের সাথে ঘণিষ্ট এই নেতা সিসিকের মেয়র পদে নির্বাচিত হলে নি:সন্দেহে সিলেটে উন্নয়ন বিপ্লব সাধিত হবে।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর প্রাথমিক শিক্ষা সিলেট নগরীর রায়নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তারপর সিলেট সরকারি কলেজে ভর্তি হন উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে। বুরুঙ্গা হাইস্কুলে পড়াকালীনই তিনি চম্পাকলি খেলাঘর আসর ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সংগঠক হিসেবে নিজের স্থান করে নেয়। তারপর সিলেট সরকারি কলেজে থাকাকালীন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। লন্ডনে এসে জড়িয়ে পরে যুবলীগকে সংগঠিত করার কাজে।

গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কারণে প্রথমে সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি নির্বাচিত হয়। যুক্তরাজ্যে যুবলীগের বিশাল কর্মী বাহিনী গড়ে তোলার পেছনে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর রয়েছে ঐতিহাসিক অবদান। সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্ব গুণে তিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার গ্রেফতার করার পর তাঁর মুক্তির দাবিতে যুক্তরাজ্যব্যাপি আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তার ছিল গুরুত্বপূর্ণ অগ্রণী ভূমিকা।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর রাজনীতির মূল ক্ষেত্র যুক্তরাজ্য হলেও সিলেটের রাজনীতিতে তিনি একজন পরিচিত মুখ। বিশেষ করে বিগত সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের পক্ষে, সংসদ নির্বাচনে ড. মোমেনের পক্ষে ও সিলেট-৩ এর উপ নির্বাচনে হাবিবুর রহমান হাবিবের পক্ষে তার অবদান কোন অংশেই কম ছিল না। তার সতীর্থদের মধ্যে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বর্তমানে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও হাবিবুর রহমান হাবিব সিলেট-৩ এর সাংসদ।

গেল ২২ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ওই দিন সিলেট বিমান বন্দরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ,তাঁতী লীগ ও আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মীর ঢল নামে সিলেট বিমানবন্দরে। পরে মোটর সাইকেলের একটি বিশাল বহর সঙ্গে নিয়ে নগরীতে প্রবেশ করেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এর মাত্র তিনদিন আগেই নগরীতে সিসিক মেয়র হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী-এমন বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিমানবন্দরে হাজারো নেতাকর্মী ও গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে আনোয়ার চৌধুরী সে ব্যাপারে মুখ না খুলে বরং অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা জানালেন দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি।

একই সাথে তিনি বলেন, এই শহরের উন্নয়নে, বিপদে, দুর্যোগ-দূর্বিপাকে বিগত দিনে নগরবাসীর পাশে ছিলেন, সিলেটের জননন্দিত সাবেক মেয়র (মরহুম) বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। বর্তমানেও কাজ করে যাচ্ছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, এটি এম হাসান জেবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু। তাদের প্রত্যেকেই জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন রাজনীতির সুফল পবিত্র এই নগরে পৌছে দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

বিশেষ কোনো বার্তা পেয়ে সিলেট এসেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিমানবন্দরে এই নেতা জানান, প্রতিটি নির্বাচনের আগেই আমি সিলেটমুখী হই, এটি নতুন কোনো বিষয় নয়। তাছাড়া, যেহেতু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সিসিক নির্বাচনও সমাগত সে হিসেবে নগরে আমার আগমণ অহেতুক নয়। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত একজন মানুষ। তারই সুযোগ্য কন্যা দলীয় প্রধানের নির্দেশ অনুযায়ী কল্যাণ ধারার রাজনীতিতে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। সে হিসেবে নেত্রী শুধু আমাকেই নয়, দলের যাকেই যেখানে কাজে লাগাবেন সেখানেই একজোট হয়ে কাজ করতে পারলে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষ আওয়ামী রাজনীতির শতভাগ সুফল পেতে সক্ষম হবেন।

এদিকে সিলেট আসার দুই দিন পর তিনি রাজধানীতে গিয়ে দেখা করেন দলীয় প্রধানের সাথে। একই সাথে দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সিলেট ১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গেও দেখা করেন। ফিরে এসে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দলীয় প্রধান আমাকে মাঠে কাজ করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। তিনি কোথায় কা কে কাজে লাগাবেন, একমাত্র তিনিই জানেন। তাছাড়া, সকলেরই জানেন আমি বিগত দুই দুইবার সিলেট-২ আসনে সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন চাই। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পাই নি।

এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জানান, যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসার পর প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও সিলেটের কৃতি সন্তান নজিবুর রহমান, ড. ফরাস উদ্দিন,সিএম কয়েস সামি, ড. এ কে আবদুল মোমেনসহ দেশের একাধিক স্বনামধ্যন্য লোকজন ফোনে শুভকামনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমি জানি না। মানুষ কেন আমাকে এত ভালোবাসে। আমি সকলের ভালোবাসা ও দোয়া মাথায় তোলে নিলাম। এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে নিজেকে শেষ দিন পর্যন্ত প্রস্তুত রাখতে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ'।

সিসিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দীর্ঘদিন থেকে যারা কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁরা আপনাকে মেনে নেবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিসিক নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রশ্নটি আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক। কারণ আমি প্রার্থী হিসেবে নিজেকে উল্লেখ করতে চাই না। সবাই দলের হয়ে কাজ করেন, কিছু পাওয়ার জন্য।

প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম ঘোষণা করলেন, তাদের মধ্যে আমার নেতা, সহকর্মী ও অনুজ রয়েছেন। সে হিসেবে দলীয় প্রধানের সিদ্বান্তই এক্ষেত্রে চূড়ান্ত। আর মেনে নেয়ার বিষয়টি এখানে যায় না। কারণ যারা আওয়ামী আদর্শ ধারণ করেন, তাদের মধ্যে অভিমান সৃষ্টি হলেও বিভাজন থাকে না। দিনশেষে সবাই হয়ে যায় জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত এক একটি ভ্যানগার্ড।
এএজেড

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত