৩০০ বছরের পুরনো সেতু ভাঙার বিষয়ে গণশুনানি রবিবার
সিলেটের গোলাপগঞ্জে প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো একটি সেতু ভাঙতে গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য সেতুটি ভাঙার কাজ শুরু হলে সচেতন মহলের প্রতিবাদের মুখে তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয় ও পরিবেশবাদী সংগঠন সেতুটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে অক্ষত রাখার দাবি জানালে রবিবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের বাউসি এলাকার দেওরভাগা খালের উপর নির্মিত ‘দেওয়ানের পুল’ ভাঙা নিয়ে গণশুনানির নোটিশ জারি করা হয়। সেতু এলাকায় এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করেছেন এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইনামুল কবীর।
জানা গেছে, ১৭৪০ সালে দেওরভাগা খালের উপর তৎকালীন দেওয়ান (রাজস্ব কর্মকর্তা) গোলাব রায়ের নির্দেশনায় এই সেতুটি নির্মিত হয়। সেই থেকে সেতুটি ‘দেওয়ানের পুল’ হিসেবে পরিচিত।
আরও জানা গেছে, রাস্তা সম্প্রাসরণ ও নতুন সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে গত ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে ৩০০ বছরের পুরনো এই সেতুটি ভাঙার কাজ শুরু হয়। কাজ শুরুর পরই সচেতন মহল থেকে প্রতিবাদ ওঠে। সেতুটি অক্ষত রেখে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি ওঠে। এই অবস্থায় স্থানীয় সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম নাহিদ সেতুটি ভাঙার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
এরপর স্থানীয় কিছু লোকজন জরাজীর্ণ সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এ অবস্থায় এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইনামুল কবীর গণশুনানির নোটিশ জারি করেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গোলাপগঞ্জ উপজেলাধীন হেতিমগঞ্জ-ঢাকা দক্ষিণ-চন্দরপুর-বিয়ানীবাজার সড়কের ৫৫০মিটার চেইনেজে এলজিইডি পুরাতন ব্রিজটি (দেওয়ানের পুল) ভেঙে আধুনিক যুগোপযোগী ব্রিজ নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করেন। এর প্রেক্ষিতে কয়েকটি পত্রিকায় ব্রিজটি না ভাঙার অনুরোধ করেন সচেতন মহল। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন পুরাতন ব্রিজটি না ভেঙে নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য মানববন্ধন করেন। বিষয়টি সরকারের নজরে এলে স্থানীয় লোকজনের মতামত গ্রহণের জন্য গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছে।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে এখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণ হওয়ার কথা রয়েছে।
এসআইএইচ