সুনামগঞ্জের পাঁচ উপজেলার শিক্ষার্থীরা নতুন বই পায়নি
সুনামগঞ্জে এ বছর চাহিদার তুলনায় বই কম আসায় পাঠ্যক্রম অনুযায়ী সব বই হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা। সুনামগঞ্জের পাঁচ উপজেলায় কোনো বই পাঠাতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আর যেসব উপজেলায় বই পৌঁছেছে সেখানেও প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির অনেক বিষয়ের পাঠ্যবই শিক্ষার্থীরা হাতে পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জের সরকারি এসসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মাকসুদ চৌধুরী। এ সময় একে একে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন বই। আনুষ্ঠানিকতায় জেলার অধিকাংশ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা বই পেলেও খালি হাতে ফিরেছে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের দায়িত্বশীলরা জানান, জেলার ১১ উপজেলার মোট চাহিদার ৩৫ ভাগ বই পাওয়া গেছে। প্রথম শ্রেণির জন্য ২ লাখ ৫৯ হাজার ২১৫টি ও দ্বিতীয় শ্রেণির ২ লাখ ৫০ হাজার ৪৫৫টি বইয়ের মধ্যে একটি বইও পাওয়া যায়নি।
সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় কোনো বই পাঠাতে পারেনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। উৎসব পালনের জন্য পাশের উপজেলা থেকে ধার করে আনা হয় বই।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুর রহমান বলেন, ‘যতটুকু জানি কাগজ সরবরাহের ঘাটতি থাকায় যথাসময়ে বই ছাপতে দেরি হওয়ার কারণে আমরা চাহিদা মতো বই পাইনি। চাহিদার ৩৫ শতাংশ বই এসেছে সুনামগঞ্জে। এর মধ্যে পাঁচটি উপজেলার জন্য কোনো বই আসেনি। বই উৎসব উদযাপনের জন্য অন্য উপজেলা থেকে বই আনা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কোনো বই এখনো সুনামগঞ্জে আসেনি। বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রাথমিকে বইয়ের ঘাটতি থাকলেও মাধ্যমিকে অতটা নেই, আমরা ৭০ শতাংশ বই পেয়েছি। জেলার সব বিদ্যালয়ে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ যে বইগুলো এখনো আসেনি, তা আগামী সপ্তাহের মধ্যে এসে পৌঁছাবে।
এসএন