সাঁতরে ভৈরবের উদ্দেশে সিলেট থেকে ক্ষিতীন্দ্রের যাত্রা
সিলেটের কিন ব্রিজ সংলগ্ন চাঁদনীঘাট থেকে সাঁতরে ভৈরব যাচ্ছেন প্রখ্যাত সাতারু ক্ষিতীন্দ্র বৈশ্য। একুশে পদকপ্রাপ্ত ৭১ বছর বয়সী এই বীর মুক্তিযোদ্ধা সোমবার (২৯ আগষ্ট) সকাল ৬টায় সিলেটের সুরমা নদীর চাঁদনীঘাট থেকে সাঁতার শুরু করেন।
বর্তমানে ছাতক পার হয়ে প্রায় ৮-৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্র বৈশ্য। সাঁতারে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে সিলেট থেকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজার ফেরিঘাটে পৌঁছাবেন তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেন সাঁতার যাত্রায় থাকা নৌ-বাহিনীর এসআই আনোয়ার।
বীর মুক্তিযোদ্ধার নেওয়া এই উদ্যোগে সহায়তা করছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ড। এ ছাড়াও সার্বিকভাবে তাকে সহযোগিতা করছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, নৌ-পুলিশ ও সিলেট সিভিল সার্জনের একটি দল। জরুরি সেবা দলটি নৌকায় সার্বক্ষণিক ক্ষিতীন্দ্রের সঙ্গে থাকবে।
এ বিষয়ে সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত বলেন, ‘ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র সাঁতারে নামার আগেই তার শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষিতীন্দ্র যতক্ষণ পানিতে অবস্থান করবেন, ততক্ষণ আমাদের চিকিৎসক দল তার সঙ্গে থাকবে। নৌকায় অক্সিজেন সিলিন্ডার, নেবুলাইজার, জরুরি ওষুধপথসহ চিকিৎসক দল অবস্থান করছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত তার শারীরিক কোনো সমস্যা হয়নি। সাঁতার কেটে বেলা ১১টায় তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজিতে পৌঁছান বলে জানা গেছে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল বলেন, ২৮১ কিলোমিটারের মধ্যে সুরমা নদীর ১৪৪ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার, ধনু নদের ৮৪ দশমিক ৩১ কিলোমিটার, ঘোড়াউত্রা নদীর ৩৪ দশমিক ২৭ কিলোমিটার ও মেঘনা নদীর ১৮ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার পাড়ি দেবেন ক্ষিতীন্দ্র। সাঁতার চলাকালে তিনি পানিতে খাওয়া-দাওয়াসহ যাবতীয় কাজ করবেন। সফলভাবে সাঁতার সম্পন্ন করলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা হবে।
জানা গেছে, ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্রের বাড়ি নেত্রকোনার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক পদে থাকা অবস্থায় অবসরে যান তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় এমএসসি পাস করা ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র সাঁতার কেটে এখন পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ে ৪টি পুরস্কার পেয়েছেন।
এসআইএইচ