প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার অপেক্ষায় চা শ্রমিকরা
চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলন ১৫ দিনে গড়িয়েছে। দেশের প্রতিটি চা বাগানের মতো মৌলভীবাজারের ৯২টি বাগানেও বিরাজ করছে শূন্যতা। নেই কাজের চাপ, নেই পাতা তোলার হিড়িক। গত ১৫ দিন ধরে ধর্মঘট ও এর আগে ৪ দিন কর্মবিরতি পালন করেছেন চা শ্রমিকরা।
এদিকে চলমান সংকট নিরসনে শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকাল ৪ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। সেই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন চা শ্রমিকরা।
সকালে জেলার ভাড়াউড়া চা বাগানে গিয়ে কথা হয় চা শ্রমিক উমা বাউড়ির সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের মা। আমরা মায়ের দিকে চেয়ে আছি। গত ১৫ দিন আমরা খেয়ে না খেয়ে আন্দোলন করেছি। আমাদের মা নিশ্চয় সব শুনেছেন এবং দেখেছেন। আজ তিনি যে ঘোষণা দিবেন আমরা সেটা মেনে সঙ্গে সঙ্গে কাজে যোগ দিব।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের আগে দেশের ৭ ভ্যালির চা বাগানগুলোর পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিল বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন। সেখানে পঞ্চায়েত প্রধানরা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বালিশিরা ভ্যালির সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, আজ বিভিন্ন জায়গায় ভ্যালির সভাপতি, সম্পাদক ও পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে আমরা সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য যে মজুরি নির্ধারণ করবেন সেটি আমরা সানন্দে মেনে নিব।
এদিকে টানা ১৫ দিনের মতো জেলার ৯২টি চা বাগানে বন্ধ রয়েছে চা পাতা উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ। চা শ্রমিকরা আজও কাজে যোগ না দিয়ে বিভিন্ন বাগানের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
এসজি