বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

চা শ্রমিক আন্দোলন

১৪ বছরে মজুরি বেড়েছে সাড়ে ৮৭ টাকা

ফাইল ছবি

দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন চা শ্রমিকরা। দফায় দফায় বৈঠক হলেও কোনো কার্যকরী সিদ্ধান্ত আসেনি। এর ফলে ১৮ দিন ধরে চলছে তাদের এই আন্দোলন। এর মধ্যে প্রথম ৪ দিন তারা দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন। আর ১৪ দিন ধরে চলছে ধর্মঘট।

এদিকে ২০০৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গত ১৪ বছরে চা শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে সাড়ে ৮৭ টাকা। ২০০৮ সালে দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত একজন চা শ্রমিকের সর্বোচ্চ মজুরি ছিল ৩২ টাকা ৫০ পয়সা। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে চা শ্রমিকদের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ড চা শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম দৈনিক মজুরি নির্ধারণ করে দেয়। তখন 'এ' ক্লাস বাগানের জন্য মজুরি নির্ধারণ হয় ৪৮ টাকা, 'বি' ক্লাস বাগানের জন্য ৪৬ টাকা এবং 'সি' ক্লাস বাগানের জন্য ৪৫ টাকা নির্ধারিত হয়।

২০১৪ সালের ১০ আগস্ট গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী পরিষদ। নির্বাচনের পর বাংলাদেশীয় চা সংসদের সঙ্গে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের যে চুক্তি হয় তাতে চা শ্রমিকের দৈনিক নগদ মজুরি দাঁড়ায় 'এ' ক্লাস বাগানের জন্য ৮৫ টাকা, 'বি' ক্লাস বাগানের জন্য ৮৩ টাকা এবং 'সি' ক্লাস বাগানের জন্য ৮২ টাকা। এ বেতন কাঠামো ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।

গোপন ব্যালটের মাধ্যমে চা শ্রমিক ইউনিয়নের তৃতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ২৪ জুন। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের বিজয়ী প্যানেলের সঙ্গে বাংলাদেশীয় চা সংসদের সর্বশেষ চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয় ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দুই বছরের জন্য কার্যকর চুক্তিপত্র অনুসারে চা শ্রমিকদের মজুরি 'এ' ক্লাস বাগানের জন্য ১২০ টাকা, 'বি' ক্লাস বাগানের জন্য ১১৮ টাকা এবং 'সি' ক্লাস বাগানের জন্য ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

দৈনিক নগদ মজুরির পাশাপাশি শ্রমিক কলোনিতে একটি ঘর ছাড়াও প্রান্তিক সুবিধা হিসেবে চা শ্রমিকরা আরও কিছু সুবিধা পান। যেমন: ভাতা, হাজিরা উৎসাহ বোনাস, হ্রাসকৃত মূল্যে রেশন, ফসল উৎপাদনের জন্য ক্ষেতল্যান্ড ব্যবহারের সুযোগ (যে শ্রমিক এ সুযোগ গ্রহণ করে, তার রেশন আনুপাতিক হারে কেটে নেওয়া হয়), চিকিৎসা সুবিধা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন ইত্যাদি।

দৈনিক মজুরি এবং অন্যান্য যেসব সুবিধা চা শ্রমিকরা পান সেসব যোগ করলে তাদের মোট দৈনিক প্রাপ্তি ২০২০ সালে এসে ২০০ টাকারও কম এমন দাবি বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও অন্যান্য অনেকের।

এর মধ্যে ২০১৯ সালের শেষার্ধে চা শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণের জন্য তৃতীয়বারের মতো নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে সরকার। মজুরি বোর্ডে শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের প্রতিনিধি রয়েছে। মজুরি বোর্ডে শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি রামভজন কৈরী জানিয়েছেন, নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কাছে তারা দৈনিক নগদ মজুরি ৩০০ টাকা দাবি করছেন।

বাংলাদেশ চা শ্রমিকের পাশাপাশি অন্য কিছু পক্ষও তাদের সুপারিশ পাঠিয়েছে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কাছে। তবে মালিক পক্ষ বলছে, চায়ের দাম পড়ে গেছে। কাজেই মজুরি বাড়ানোর সুযোগ নেই। শ্রমিকদের চরমভাবে হতাশ করে মঞ্জুরি বোর্ড ২০২১ সালের জুনে শ্রম মন্ত্রণালয়ে যে সুপারিশ পাঠায় তাতে শ্রমিকদের মজুরি না বাড়িয়ে ১২০ টাকাই রাখা হয়। বরং শ্রমিকরা এতদিন ধরে যেসব সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছেন তা কমানোর সুপারিশ করে মজুরি বোর্ড। তবে শ্রম মন্ত্রণালয় শ্রম আইন অনুসরণ করে মজুরি বোর্ডের প্রস্তাবিত মজুরি কাঠামো পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠায়। এরপরও মজুরি বোর্ড তার সুপারিশে কোনোরকম পরিবর্তন না আনায় ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে চা শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের ব্যাপারে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, এ সভায় কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মজুরি বোর্ডকে। এরপরও মজুরি না বাড়ানোর ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে থাকা মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ (সিনিয়র জেলা জজ) অবসরে যাওয়ায় এখন পর্যন্ত মজুরি বোর্ড চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এমন পরিস্থিতি চা শ্রমিকদের জন্য চরম হতাশাজনক। কারণ তারা বর্তমানে যে মজুরি পাচ্ছে তা ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর। ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে তাদের মজুরি বাড়ার কথা। একদিকে মজুরি বোর্ড নিয়ে অচলাবস্থা অন্যদিকে মালিক-শ্রমিক পক্ষের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বিলম্ব। সাধারন চা শ্রমিকরা দ্রুত মজুরি নিয়ে এ অচলাবস্থার অবসান চান।

মজুরি বোর্ডে শ্রমিকপক্ষের একমাত্র প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাহী উপদেষ্টা রামভজন কৈরী বলেন, মজুরি নিয়ে এসব সমস্যার প্রধান হলো মজুরি বোর্ড। তারা এত মিটিং-আলোচনার পরও এক টাকাও বাড়াতে চায়নি। মজুরি বোর্ড যদি মালিকদের কথা না শুনে একটা নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত দিত তাহলে আজকের এই সমস্যা তৈরি হতো না। আমি মজুরি বোর্ডের কাছে যে প্রস্তাব করেছিলাম সেগুলো তারা উপেক্ষা করেছে। তাই আমি ওইসব মিটিং এ স্বাক্ষর না করেই বেরিয়ে এসেছি।

বাংলাদেশ চা কন্যা নারী সংগঠনের সভাপতি খাইরুন আক্তার বলেন, এই যে মজুরি বৃদ্ধির হার সেটা কোনোভাবেই সন্তোষজনক নয়। উপমহাদেশের ১৮৭ বছরের চা শিল্পের ইতিহাসে যদি ১ টাকা করে প্রতিবছর মজুরি বাড়ত তাহলেও আমাদের মজুরি ১৮৭ টাকা হতো। মজুরি বোর্ড ও মালিকপক্ষ মিলে চক্রান্ত করে আমাদের মজুরি বাড়াতে চায় না।

এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান তারা।

তবে বাংলাদেশ চা শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোহন রবিদাস বলেন, এই যে গত দুই চুক্তিতে অল্প অল্প করে টাকা বাড়ানো হলো এ নিয়ে ইউনিয়ন কোনো আন্দোলন করল না। ইউনিয়ন যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করত তাহলে আমাদের বর্তমান মজুরি ৩০০ টাকাই থাকত।

এদিকে টানা ১৪ দিনের মতো ধর্মঘট পালন করছেন চা শ্রমিকরা। শুক্রবারও জেলার ৯২টি চা বাগানে কোথাও কোনো কাজ হয়নি। আন্দোলনরত চা শ্রমিকরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু শনিবার বাগান মালিকদের সঙ্গে বসবেন তাই তারা আজ বাগানের ভেতরই মিছিল সমাবেশ করেন।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।

এসজি

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ