রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চা শ্রমিক আন্দোলন

১৪ বছরে মজুরি বেড়েছে সাড়ে ৮৭ টাকা

ফাইল ছবি

দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন চা শ্রমিকরা। দফায় দফায় বৈঠক হলেও কোনো কার্যকরী সিদ্ধান্ত আসেনি। এর ফলে ১৮ দিন ধরে চলছে তাদের এই আন্দোলন। এর মধ্যে প্রথম ৪ দিন তারা দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন। আর ১৪ দিন ধরে চলছে ধর্মঘট।

এদিকে ২০০৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গত ১৪ বছরে চা শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে সাড়ে ৮৭ টাকা। ২০০৮ সালে দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত একজন চা শ্রমিকের সর্বোচ্চ মজুরি ছিল ৩২ টাকা ৫০ পয়সা। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে চা শ্রমিকদের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ড চা শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম দৈনিক মজুরি নির্ধারণ করে দেয়। তখন 'এ' ক্লাস বাগানের জন্য মজুরি নির্ধারণ হয় ৪৮ টাকা, 'বি' ক্লাস বাগানের জন্য ৪৬ টাকা এবং 'সি' ক্লাস বাগানের জন্য ৪৫ টাকা নির্ধারিত হয়।

২০১৪ সালের ১০ আগস্ট গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী পরিষদ। নির্বাচনের পর বাংলাদেশীয় চা সংসদের সঙ্গে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের যে চুক্তি হয় তাতে চা শ্রমিকের দৈনিক নগদ মজুরি দাঁড়ায় 'এ' ক্লাস বাগানের জন্য ৮৫ টাকা, 'বি' ক্লাস বাগানের জন্য ৮৩ টাকা এবং 'সি' ক্লাস বাগানের জন্য ৮২ টাকা। এ বেতন কাঠামো ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।

গোপন ব্যালটের মাধ্যমে চা শ্রমিক ইউনিয়নের তৃতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ২৪ জুন। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের বিজয়ী প্যানেলের সঙ্গে বাংলাদেশীয় চা সংসদের সর্বশেষ চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয় ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দুই বছরের জন্য কার্যকর চুক্তিপত্র অনুসারে চা শ্রমিকদের মজুরি 'এ' ক্লাস বাগানের জন্য ১২০ টাকা, 'বি' ক্লাস বাগানের জন্য ১১৮ টাকা এবং 'সি' ক্লাস বাগানের জন্য ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

দৈনিক নগদ মজুরির পাশাপাশি শ্রমিক কলোনিতে একটি ঘর ছাড়াও প্রান্তিক সুবিধা হিসেবে চা শ্রমিকরা আরও কিছু সুবিধা পান। যেমন: ভাতা, হাজিরা উৎসাহ বোনাস, হ্রাসকৃত মূল্যে রেশন, ফসল উৎপাদনের জন্য ক্ষেতল্যান্ড ব্যবহারের সুযোগ (যে শ্রমিক এ সুযোগ গ্রহণ করে, তার রেশন আনুপাতিক হারে কেটে নেওয়া হয়), চিকিৎসা সুবিধা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন ইত্যাদি।

দৈনিক মজুরি এবং অন্যান্য যেসব সুবিধা চা শ্রমিকরা পান সেসব যোগ করলে তাদের মোট দৈনিক প্রাপ্তি ২০২০ সালে এসে ২০০ টাকারও কম এমন দাবি বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও অন্যান্য অনেকের।

এর মধ্যে ২০১৯ সালের শেষার্ধে চা শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণের জন্য তৃতীয়বারের মতো নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে সরকার। মজুরি বোর্ডে শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের প্রতিনিধি রয়েছে। মজুরি বোর্ডে শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি রামভজন কৈরী জানিয়েছেন, নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কাছে তারা দৈনিক নগদ মজুরি ৩০০ টাকা দাবি করছেন।

বাংলাদেশ চা শ্রমিকের পাশাপাশি অন্য কিছু পক্ষও তাদের সুপারিশ পাঠিয়েছে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কাছে। তবে মালিক পক্ষ বলছে, চায়ের দাম পড়ে গেছে। কাজেই মজুরি বাড়ানোর সুযোগ নেই। শ্রমিকদের চরমভাবে হতাশ করে মঞ্জুরি বোর্ড ২০২১ সালের জুনে শ্রম মন্ত্রণালয়ে যে সুপারিশ পাঠায় তাতে শ্রমিকদের মজুরি না বাড়িয়ে ১২০ টাকাই রাখা হয়। বরং শ্রমিকরা এতদিন ধরে যেসব সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছেন তা কমানোর সুপারিশ করে মজুরি বোর্ড। তবে শ্রম মন্ত্রণালয় শ্রম আইন অনুসরণ করে মজুরি বোর্ডের প্রস্তাবিত মজুরি কাঠামো পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠায়। এরপরও মজুরি বোর্ড তার সুপারিশে কোনোরকম পরিবর্তন না আনায় ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে চা শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের ব্যাপারে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, এ সভায় কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মজুরি বোর্ডকে। এরপরও মজুরি না বাড়ানোর ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে থাকা মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ (সিনিয়র জেলা জজ) অবসরে যাওয়ায় এখন পর্যন্ত মজুরি বোর্ড চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এমন পরিস্থিতি চা শ্রমিকদের জন্য চরম হতাশাজনক। কারণ তারা বর্তমানে যে মজুরি পাচ্ছে তা ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর। ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে তাদের মজুরি বাড়ার কথা। একদিকে মজুরি বোর্ড নিয়ে অচলাবস্থা অন্যদিকে মালিক-শ্রমিক পক্ষের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বিলম্ব। সাধারন চা শ্রমিকরা দ্রুত মজুরি নিয়ে এ অচলাবস্থার অবসান চান।

মজুরি বোর্ডে শ্রমিকপক্ষের একমাত্র প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাহী উপদেষ্টা রামভজন কৈরী বলেন, মজুরি নিয়ে এসব সমস্যার প্রধান হলো মজুরি বোর্ড। তারা এত মিটিং-আলোচনার পরও এক টাকাও বাড়াতে চায়নি। মজুরি বোর্ড যদি মালিকদের কথা না শুনে একটা নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত দিত তাহলে আজকের এই সমস্যা তৈরি হতো না। আমি মজুরি বোর্ডের কাছে যে প্রস্তাব করেছিলাম সেগুলো তারা উপেক্ষা করেছে। তাই আমি ওইসব মিটিং এ স্বাক্ষর না করেই বেরিয়ে এসেছি।

বাংলাদেশ চা কন্যা নারী সংগঠনের সভাপতি খাইরুন আক্তার বলেন, এই যে মজুরি বৃদ্ধির হার সেটা কোনোভাবেই সন্তোষজনক নয়। উপমহাদেশের ১৮৭ বছরের চা শিল্পের ইতিহাসে যদি ১ টাকা করে প্রতিবছর মজুরি বাড়ত তাহলেও আমাদের মজুরি ১৮৭ টাকা হতো। মজুরি বোর্ড ও মালিকপক্ষ মিলে চক্রান্ত করে আমাদের মজুরি বাড়াতে চায় না।

এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান তারা।

তবে বাংলাদেশ চা শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোহন রবিদাস বলেন, এই যে গত দুই চুক্তিতে অল্প অল্প করে টাকা বাড়ানো হলো এ নিয়ে ইউনিয়ন কোনো আন্দোলন করল না। ইউনিয়ন যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করত তাহলে আমাদের বর্তমান মজুরি ৩০০ টাকাই থাকত।

এদিকে টানা ১৪ দিনের মতো ধর্মঘট পালন করছেন চা শ্রমিকরা। শুক্রবারও জেলার ৯২টি চা বাগানে কোথাও কোনো কাজ হয়নি। আন্দোলনরত চা শ্রমিকরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু শনিবার বাগান মালিকদের সঙ্গে বসবেন তাই তারা আজ বাগানের ভেতরই মিছিল সমাবেশ করেন।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।

এসজি

Header Ad

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত এক সপ্তাহে প্রায় ২০ হাজার প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। আবাসন, শ্রম এবং সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়, যা সৌদির সরকার এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরবের বার্তাসংস্থা সৌদি গেজেট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মোট ১৯ হাজার ৬৯৬ জন অবৈধ বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শনিবার সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার সহযোগিতায় নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচালিত যৌথ নিরাপত্তা অভিযানের সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সৌদি গেজেট বলছে, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১১ হাজার ৩৩৬ জন রেসিডেন্সি আইন লঙ্ঘনকারী, ৫ হাজার ১৭৬ জন সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনকারী এবং ৩ হাজার ১৮৪ জন শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী রয়েছেন। এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় ১ হাজার ৫৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৩২ শতাংশ ইয়েমেনি নাগরিক, ৬৫ শতাংশ ইথিওপিয়ান নাগরিক এবং তিন শতাংশ অন্যান্য জাতীয়তার।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ আইনলঙ্ঘনকারীদের বিষয়ে তথ্য দিতে সরকারি হেল্প লাইন নম্বর চালু করেছে। দেশটির মক্কা, রিয়াদ এবং পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের বাসিন্দারা ৯১১ এবং অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দারা ৯৯৯ ও ৯৯৬ নম্বরে কল করে আইনলঙ্ঘনকারীদের তথ্য দিতে পারেন।

Header Ad

আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি

গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছেন। শপথ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নিয়ত সহি। জাতিকে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। আর এ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার তাই করব।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমাদের আছে। এর আগে তথ্য ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকাকালে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসেছি।

যে শপথ নিয়েছি এর সম্মানটা রাখতে চাই। আমার শপথ ভঙ্গ হবে না, আমি এই দায়িত্বকে জীবনের একটি অপরচুনিটি (সুযোগ) হিসেবে দেখছি। দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, তারা ফ্রি ফেয়ার একটা ইলেকশনের জন্য সংগ্রাম করেছে, অনেক আন্দোলন করেছে। বিগত বছরগুলোতে অনেকে রক্ত দিয়েছে। আমি তাদেরকে একটা ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল (স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য) ইলেকশন দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুত বদ্ধ। আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমি ইনশাল্লাহ কনফিডেন্ট। আমরা সবাই মিলে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে, দেশবাসীর সহযোগিতা নিয়ে, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতাসহ এ জাতিকে একটা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচন করতে গেলে কিছু এসেনশিয়াল সংস্কার লাগবে। যেমন- এখন নানা রকম কথা হচ্ছে- আনুপাতিক ভোটের হারে এবং আগের নিয়মে হবে। সংবিধানে যদি এটার ফয়সালা না হয় তাহলে আমরা নির্বাচনটা করব কীভাবে। ইলেকশন করতে ইয়ং জেনারেশন যারা ভোট দেওয়ার জন্য বছরের পর বছর মুখিয়ে আছে, তাদেরকে তো ভোটার লিস্টে আনতে হবে। আমাকে ভোটার লিস্ট করতে হবে, কোথায় কোথায় রিফর্মশেনের দরকার হবে, সেটা আমরা পাব। এ বিষয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশন কাজ করছে। আগে তাদের পরামর্শ আসুক। এর যেগুলো গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। সংবিধান যদি ঠিক না হয়, তাহলে আমাদের যাত্রা এলোপাথাড়ি হয়ে যাবে। সংস্কার কমিশন কাজ করছে, এটা শেষ হোক। আর বেশিদিনতো নেই। সরকার বলছে ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনগুলোর রিপোর্ট দেবে। আপনারা আশস্ত থাকুন, আমাদের নিয়ত সহি। ইনশাল্লাহ একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন হবে। এবার আরেকটা সুযোগ এসেছে, রাজনৈতিক দলগুলো, যারা নির্বাচন করবে তারা ১৫-১৬ বছর ধরে বলে আসছে আমরা ভোটের অধিকার চাই। আমরা আমাদের ভোট দিতে চাই। সুতরাং আমরা তাদের সঙ্গে পাব। তাদের দাবিকে বাস্তবায়ন করব, তারাও জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ।

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার ইচ্ছে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিফর্ম কমিটির সুপারিশ আসুক, অনেক বির্তক চলছে, বিতর্কের ফয়সালা হোক। ফয়সালা হলে আপনারা দেখতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নিয়োগ পান সাবেক সচিব এ এম এম মো. নাসির উদ্দীন। তার সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনারের নামও ঘোষণা করা হয়।

তারা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

নিয়োগ পাওয়ার পর সেদিন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

বিসিএস ক্যাডার ও নন–ক্যাডার মিলে মোট ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। এর মধ্যে ক্যাডার পদে ১২ হাজার ৭১০ জন এবং নন-ক্যাডারে ৫ হাজার ৪৩৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

এছাড়াও দ্রুত সময়ের মধ্যে ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে বলে জানান জনপ্রশাসন সচিব। তিনি বলেন, ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএসে ২০৬৪ জন, ৪৪তম বিসিএসে ১৭১০ জন, ৪৫তম বিসিএসে ২৩০৯ জন, ৪৬তম বিসিএসে ৩১৪০ জন এবং ৪৭তম বিসিএসে ৩৪৮৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

জনপ্রশাসন সিনিয়র সচিব বলেন, নন-ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএস থেকে ৬৪২ জন, ৪৪তম বিসিএসের ১৭৯১ জন, ৪৫তম বিসিএসে ১৫৭০ জন, ৪৬তম বিসিএসে ১১১১ জন, ৪৭তম বিসিএসে ৩২৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

ক্যাডার ও নন ক্যাডার মিলিয়ে ১৮১৪৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ