বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

এখনও থামছে না পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া

বক্তব্য প্রদানের ৫ দিন পরও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে সরব সিলেটের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। চলছে পক্ষে-বিপক্ষে নানা প্রতিক্রিয়া। নিজ দলের মানুষের প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং বিভিন্ন প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও বিষয়টি নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে যাচ্ছেন। আবার কারো প্রতিক্রিয়ায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও চলছে মারাত্বক ভাবে।

চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর এক অনুষ্ঠানে অলোচনা কালে সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.আবদুল মোমেন বলেন- 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেটি করতে ভারত সরকারকে আমি অনুরোধ করেছি'। এ বক্তব্যের পর ড. মোমেনকে নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। ব্যাপক সমালোচনার পর ড.মোমেন আত্মপক্ষ সমর্থন করে সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা প্রদান করেন।

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পর এক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, 'পররাষ্ট্রমন্ত্রী দলের কেউ নয়, সুতরাং তার বক্তব্যেও দায় আওয়ামী লীগের নয়-ব্যক্তিগত'।

রবিবার (২১আগস্ট) সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যদি কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত গল্প করেন সে দায় আমাদের নয়। দলের পক্ষ থেকে তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়নি'। হাছান মাহমুদ বলেন, 'তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ নন। তাই আওয়ামী লীগের পক্ষে কিছু বলার দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়নি'।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী দলের কেউ নয়-এমনটি বলেন দলের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আবদুর রহমানও। এরপর থেকে সিলেটে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। কেন্দ্রীয় নেতাদের এমন বক্তব্যের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সদস্য এবং নৌকা প্রতীকের হয়েই সংসদ নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়েছেন-এমনটি প্রকাশ করতে শুরু হয় প্রতিযোগীতা।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দলীয় প্রতীকে এমপি ও পরে সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন। তিনি বলেন, ড. এ কে মোমেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের এক নাম্বার সদস্য হিসেবে আছেন। এক নাম্বার সদস্য দলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ। তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমে ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট সিলেট মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এই কমিটির এক নাম্বার সদস্য হিসেবে রয়েছেন ড. মোমেন।

দলের মহানগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনও একই অভিমত প্রকাশ করেন। তাদের দাবি- যেহেতু তিনি দলের মহানগর শাখার এক নাম্বার সদস্য পদে আছেন, সেহেতু দলীয় পদে নেই-এমনটি বলার কোনো সুযোগ নেই।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান মহানগর কমিটির সদস্য প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী এ বিষয়ে নিজ ফেসবুক পোস্টে লিখেন, আলোচনা বা সমালোচনা দুটোই গণতান্ত্রিক চর্চারই অংশ । তবে তা হতে হবে গঠনমূলক,বিষয় ভিত্তিক এবং যৌক্তিক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিভিন্নজনের প্রতিক্রিয়ার জবাবে তিনি লিখেন, 'মাননীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে আওয়ামী লীগের অনেক নীতিনির্ধারকের বক্তব্যও আমরা শুনেছি, খোদ সাধারন সম্পাদকও এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। আমরা যারা আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এ বিষয়টি তাদের ভাবতে হবে । দলের একটা চেইন অব কমান্ড আছে । সুপ্রীম অথরিটি যখন বক্তব্য দেন বা যা বক্তব্য দেন-সেই বক্তব্য আমাদের সবার বক্তব্য হিসেবেই বিবেচিত হয়। আর সেটাই হচ্ছে দলীয় চেইন অব কমাণ্ড'।

তিনি লিখেন, 'আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ও মাননীয় মন্ত্রী সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় জনাব ওবায়দুল কাদেরের স্পষ্ট বক্তব্যের পরে আমরা যারা আওয়ামী ঘড়ানার রাজনীতিতে জড়িত তাদের আর কোন বক্তব্য থাকতে পারেনা । এর পরও যদি কেউ আলোচনা সমালোচনা বা 'পরনিন্দা চর্চা', বা 'ব্যাক্তি বন্দনা' করে থাকেন তবে তা 'দলীয় শৃংখলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের পর্যায়ভূক্ত' বলে বিবেচিত হবে। অতএব গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানোর আগে একটু ভাবুন আপনি কোন পর্যায়ভূক্ত হচ্ছেন'।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা বিজিত চৌধুরী এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, দলীয় লোককে প্রথমেই দলীয় আদর্শ এবং চেইন অফ কমান্ড মেনে কাজ করতে হয়। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী দলীয় লোক হয়েও যে বক্তব্য রেখেছেন, তা নি:সন্দেহে আত্মঘাতি। এই বক্তব্য দলকে নানা বিতর্কের মুখে ফেলে দিয়েছে।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারের, দলের নয়। তাই তিনি দলকে এমন বিপদের মুখে ফেলে দিতে পারেন না। তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদেরের স্পষ্ট বক্তব্যের পরে আমাদের এ বিষয়ে আর কোন বক্তব্য থাকতে পারেনা দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ লিখেন- বন্যেরা বনে সুন্দর,শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। রাজনীতি রাজনীতিবিদের হাতেই মানায়। একজনের অপরিপক্কতা একার নয় সবার ক্ষতি'।

এদিকে মন্ত্রীসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকছেন কি না-এ বিষয়েও চলছে নানা আলোচনা। কেউ বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর আগামী মাসের ভারত সফরের আগেই হয়তো এ বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্বান্ত আসতে পারে। সে সময়ের মধ্যে না হলে হয়তো ডিসেম্বরের মন্ত্রীসভা রদবদল করা হতে পারে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়তো বাদও পড়তে পারেন। আবার কেউ বলছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একজন দূরদর্শী কুটনৈতিক। অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি ভালোভাবেই জানেন, বলেই ড. এ কে মোমেনকে মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্টিত করেছেন।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ